উৎসর্গ ও লেখার ধারনা-
শায়মা বনিকে এবং বনির " চলে গেলো ঈদ আর রয়ে গেল আমার এবারের মোমশেডিং ঈদ সজ্জা " - Click This Link
ঈদের বন্ধ চলছে। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর পড়ন্ত বিকেলে অলস আমি বাসায় বসে বসে টিভি দেখছিলাম, হঠাৎ লোডশেডিং । গরমে টিকতে না পেরে বেরিয়ে গেলাম বাসা থেকে । মনের অজান্তেই ও আনমনে হাটছিলাম বারিধরা লেকের পাড় দিয়ে।
হঠাৎ, এক করে এক বাসা থেকে কেউ অপূর্ব মায়াময়ী ও কিন্নরী কণ্ঠে বলে উঠল, " আরে ভাইয়া, তুমি এদিকে ,এই সময়" ?।
গাছপালার ঘনত্ব ও বিদ্যুৎ না থাকার কারনে আলো আধারী পরিবেশের কারনে তাকে সঠিক চিনতে পারিনি (কারন, আমি চশমা ছাড়া ভালভাবে দেখিনা এবং তখন বাসা থেকে বেরিয়ে আসার সময় চশমা নিয়ে আসতে ভূলে গেছি) তবে এটা বুঝতে পারছিলাম চমৎকার সৌন্দর্যের অধিকারী এবং ব্যক্তিত্বময় একজন নারী যার একটা ভাল মনও রয়েছে। যদি ভাল মন না থাকত তাহলে এই ভরদুপুরে আমাকে ডাকত না । কারন, আমি তাকে চিনতে পারিনি এখনো তবে আমি হয়ত তার পরিচিত।
আমি বললাম, " এই তো - বাসায় বিদ্যুৎ নেই আবার ডিজেলের বাড়তি দামের কারনে জেনারেটরও বন্ধ । কাজেই একটু হাওয়া খাওয়ার জন্য লেকের পাড়ে হাটার জন্য এদিকে আসা"।
তিনি বললেন, " ভাইয়া , এটাই আমার বাসা । বাসায় আস , একটু চা- নাস্তা করে যাও"।
আমি মনে মনে ভাবতেছি," কি বিপদে পড়লমা!!! চিনিনা , জানিনা - চায়ের নিমন্ত্রণ " । তবে অবচেতন মনে বার বার মনে হচছে সে আমার চেনা ,অনেক দিনের চেনা আপনজন, তবে মনে করতে পারছিনা - এই যা। তবে তাহার আন্তরিকতার কারনে তাকে চিনতে পারিনি বা সে কে তা জিজ্ঞাসা করতেও লজজা পাচছিলাম । আর তাই ,তাকে সরাসরি বলতেও পারছিলাম না। আবার, মনে মনে বর্তমান সময়ের নানা ঘটনা-দূর্ঘটনার কথা চোখের সামনে ভেসে আসায় এটাও ভাবছিলাম যে এত সুন্দর একজন নারী ও এত ভাল আচরণ যার সে নিশ্চয়ই বাসায় নিয়ে বিপদে ফেলবেনা । দেখিনা, কি হয়।
তারপরেও ,স্বাভাবিক ভদ্রতার খাতিরে বললাম, " কি দরকার এসব ঝামেলার? যদি আপনার আপত্তি না থাকে তাহলে চলেন কফি শপে । দু জনে কফি খাই"।
সে বলল, " ভাইয়া , তুমি কি বলতো? আবার বাসার সামনে থেকে এসে চলে যাবে , তা হবেনা। আসো বাসায়"।
আমি বললাম,"এই অবেলায় এবং বাসায় বিদ্যুত নেই । আবার আপনার বাসায় জেনারেটরও চলছে এমন নয়। এই আধো অন্ধকারে বাসায় গিয়ে আপনাকে ঝামেলায় ফেলানো কি ঠিক হবে"?
তিনি বললেন, " ভাইয়া , তুমি এ ব্যাপারে একটুও ভেবনা। আমার বাসায় সবসময় সে সবের প্রস্তুতি থাকে, মোমবাতি আছেনা"?
কি আর করা। অনুরোধে ঢেকি গেলার মতো , তাহার অনুরোধ ফেলতে না পেরে এবং একজন সুন্দরী রমণীর সাহচর্য পাবার সুযোগ না হারাতে ধীর পায়ে অনুসরণ করে ঢুকলাম তাহার বাসায়।
বাসায় ঢুকেই আমি অবাক!!!!!!!!!!
এ আমি কোথায় আসলাম?
আমি ভাবলাম, আমি হয়ত কোন যাদুঘর কিংবা অন্য কোন আশ্চর্য ভূবনে চলে গেছি।
চোখ কচলে আবার দেখলাম !!!!!!!
না ঠিকই দেখছি।
হরেক রংগের ও নানা রকম মোমের আলোয় আলোকিত ঘর এবং তার সাথে সাথে দেয়ালে দেয়ালে না কারুকার্য খচিত শিল্পকর্ম এবং --------------------------- ?
এবং টেবিলে চমতকার সব আয়োজনের সাথে রাজকীয় সব খাবার দাবারের এলাহী সব আয়োজন।
তিনি আমাকে বললেন, " ভাইয়া তুমি বস , আমি আসছি "।
বলেই তিনি ভিতরের রুমে চলে গেলেন।
আমি মনে মনে ভাবছি, খাবার দাবারের এত সব আয়োজন । সাথে সাথে এমন অদ্ভুত আলো-আধারী (অদ্ভুত এ কারনে মনে হচছিল, আমি আমার জীবনে শুধু সাধা মোমই দেখেছি । আর এখানে লাল,নীল,হলুদ,সবুজ নানা রকমের মোমের আলো এক অন্যরকম আবহ তৈরী করেছিল ) পরিবেশ।
মনে মনে ভাবছি, " এসব কোন নরবলীর আয়োজন নয়ত "?
আবার ভাবছি, ধুর যা হবার তাই হবে। জীবনত একটাই । এত সুন্দর মোহময়ী পরিবেশ,চমতকার একজন রমণী এবং এত ভালো ভালো সব খাবার দাবার। এর পরে যদি সেরকম কিছু ঘটেই তাহলে হাসতে হাসতে জীবন দিয়ে দিব। ধুকে ধুকে বা অসুখে কিংবা দূর্ঘটনায় মরার চেয়ে এরকম মরণ হাজার গুন ভাল হবে ।
আমার এতসব ভাবনার মাঝে সে রুমে এসে বলল, " ভাইয়া একটু ফ্রেস হয়ে নেও। তা বলে আমাকে ওয়াসরুম দেখিয়ে দিল। ওয়াসরুমে ঢুকে ত আমি তাজ্জব!!!!!!!!!!
আমার মনে হলো, এটা কি ওয়াসরুম বা শৌচাগার ?
এতো প্রয়োজনীয় ও সৌখিন সব জিনিষের প্রর্দশনাগার । আর সব কিছু এত সব সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো যে কোনটা ব্যবহার করে এলোমেলো করতে মন চাইলোনা। কাজেই যে জন্য ওয়াসরুমে যাওয়া তা ভুলে শুধু বেসিনের কলটা হালকা করে ছেড়ে হাতে মুখে একটু পানি দিয়ে বেরিয়ে আসলাম আর মনে মনে ভাবলাম, " এসব ব্যবহারে নয় দেখাতেই সুখ"।
ওয়াসরুম থেকে বের হওয়ার পর তিনি একটা তোয়ালে এগিয়ে দিয়ে বললেন," হাত-মুখ মুছে নেও ভাইয়া" । তোয়ালেটা হাতে নিয়ে আরেক দফা হতবাক। এত সুন্দর ও এত নরম তোয়ালে আমি কখনো না ব্যবহার করেছি না দেখেছি।তোয়ালেটা হাতে নিয়ে শুধু অনুভব করছি তোয়ালেটাকে , তার আসল কাজ ( ব্যবহার ) ভূলে গেছি এবং এত সব ভাবনার মাঝে কখন যে হাত মুখ শুকিয়ে গেছে তা বুঝতে পারিন। আর তাই আলগোছে তোয়ালেটা রেখে দিলাম চেয়ারের উপর আর মনে মনে বললাম, " তুমিও দেখতেই ভাল ব্যবহার করে নষ্ট করার মাঝে নয়"।
ডাইনিংয়ের একটা চেয়ার টেনে বললেন, " ভাইয়া বস"।
কিছুটা জড়োসড়ো হয়ে চেয়ারের দিকে তাকিয়ে ভাবছি , এ কি চেয়ার ? নাকি অন্যকিছু।
এ যেন চেয়ার নয় ,রাজকীয় চেয়ার।
কি তাহার ডিজাইন!!!!!!!!!! কি চমতকার তাহার আদুল গা ।
সেই চেয়ারে আমার মত হাভাতে মানুষ কিভাবে বসব তা ভেবেই ইতঃস্তত করছি। তাহার , "কি হল - বসনা কেন ভাইয়া" বলায় ভাবনার জাল ছিড়ে সংকোচের সাথে বসে পড়লাম চেয়ারে।
আমি কিছুটা মিনমিনিয়ে বললাম, " বাসায় কেউ নেই? কাঊকে দেখছিনা যে?
তিনি বললেন, " বাসায় তেমন কেউ নেই,ঈদের ছুটিতে বাবা মা গ্রামের বাড়ীতে গিয়েছে ।সাথে আমাদের একমাত্র কন্যা শালুক ও । বাসায় শুধু আমি আর আমার হাসব্যান্ড। সে দুপুরে খাওয়ার পর একটু ঘুমিয়েছে। আর এই ফাকে আমি একটু বৈকালিক চা নাস্তার আয়োজন করছি।
টেবিলের দিকে তাকিয়ে আমি বললাম, " দুই জন মানুষের জন্য চা-নাস্তার এত আয়োজন"?
সে কিছুটা লাজুক হেসে বলল, " ভাইয়া আমি আসলে সাজু-গুজু এবং খাবার তৈরী করতে খুব ভালবাসি। আর আমার হাসব্যান্ডও আমার এসব কাজের জন্য সহযোগীতা করে এবং সেও উপভোগ করে আমার এসব ক্রিয়েটিভিটি। আর তাই -- "
আমি বললাম, " ভালো"।
আমি অবাক নয়নে টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখছি আর ভাবছি, " কি নেই সেই টেবিলে"। রুচি-সৌন্ধর্যের সাথে সাথে এতসব খাবার দাবার ও দামী সব তৈজসপত্র দেখতে দেখতে ভাবছি -" এ যে এলাহী কারবার"।
সে একটি প্লেট টেনে নিয়ে বললো, " ভাইয়া আগে একটু ফিরনী খাও'। বলে প্লেটে ফিরনী দিতে লাগলো।
আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, প্লেটের কালার সাথে সাথে ফিরনীর কালারও সেইম। একটু পরে আরও লক্ষ্য করলাম আরে একি!!!
- আমি কি ভুল দেখছি নাকি? তাহার অজান্তে চোখ দুটি একটু কচলে নিলাম ।
আবার দেখলাম , না ঠিকই দেখছি ।
প্লেটের কালার (লাল) সাথে ফিরনীর কালার এবং মোমবাতির কালারও একই । সব সেইম টু সেইম ।
এ কি কোইন্সিডেন্স? নাকি সময় ও সাধনা করে মিলানো?
কি আর করা?
"পড়েছি মোঘলের হাতে খানা খেতে হবে সাথে" - তবে হাতে নয় । চামচের টুংটাং আওয়াজের সাথে সাথে ঈষৎ হেসে সাবার করে দিলাম ফিরনীটুকু (মিস্টি খাবার আমি আবার ব্যাপোক ভালবাসি কিনা)।
তিনি আবার আরেকটা ফিরনীর বাটি টেনে নিয়ে বললো, " এটা থেকে আরেকটু ফিরনী খাও। আমি অবাক হয়ে আলো আধারীতে ফিরনীর কালার দেখলাম আর সাথে সাথে মনে পড়ে গেল শৈশবের কথা । কারন, ফিরনীর কালার ছিল একদম হলুদ যা মনের মাঝে শৈশবকেই ফিরিয়ে আনছিল না চাইতেও"। তবে চক্ষু লজ্জার খাতিরে তা খাবনা বলতে পারছিলাম না। যাই হোক ফিরনী দেখতে যেমনই হোক খাইতে খবুই মজাদার হয়েছিল।
তার পর দিল নবাবী সুলতানী সেমাই ।
আহা কি স্বাদ ।
জীবনে অনেক সেমাই খেয়েছি ,তবে নবাবী সেমাই এই প্রথম। আর খেতে খেতে ভাবছিলাম যার সবকিছুতেই নবাবী সেখানে শুধু এ সেমাইর নামই কেন নবাবী?
এ সব খাবার-দাবারের নামই নবাবী হওয়া উচিত ছিল।
সেমাই শেষ হতে না হতেই তিনি অতি আদরে দিল ওনার ভাষায় স্পেশাল জরদা উইথ আমের টুকরা।
আহা !!!!!!!!!!! কি বলব?
বলার কিছু নেই ।
শুধু চোখ বুঝে স্বাদ আস্বাদন ও ভূরিভোজন।
এদিকে আমার অবস্থা যায় যায়। পেটে আর একবিন্দু পরিমান জায়গা খালি নেই ।
সে বললো , " ভাইয়া এ কেকটা একটু চেখে দেখ! আমার নিজের হাতে বানানো"
আমি একটু হেসে বললাম, " এসব খাবার-দাবারই কি আপনার নিজের হাতে বানানো নয়"
সে হেসে বলে, " ভাইয়া এটা স্পেশাল"।
আমি বললাম, " আপনি এবং আপনার সবকিছুই স্পেশাল"।
সে একটু মুচকি হাসি হাসলো আর সেই হাসি দেখে আমার বুকের মাঝে কেমন যেন চিন চিন করে ব্যাথা অনুভব করলাম আর মনে মনে ভাবলাম, "আমার উনি হাসলে এত ভালো লাগেনা কেরে"?
যাই হোক ,খাবোনা খাবোনা করেও কয়েক টুকরো কেকে পেটে চালান করতে করতেই শাহী কাপে ঢেলে দিল এক কাপ চা।আহা সেই চায়ের যে কি স্বাদ বলার মত নয়।
চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে ডাইনিংয়ের দেয়ালে ঝোলানো একটা পেইন্টিং নজরে পড়ল। আলো-আধারীতে তা আমাকে দেখতে দেখে বললো, " ভাইয়া - এটা আমার বোন আয়না পুতুলের জন্য বানিয়েছি।সুন্দর না "?
আমি মনে মনে ভাবছি, " আয়না পুতুল" কারো নাম। যার নাম এত সুন্দর , না জানি সে কত সুন্দর ?
অবশ্য আমার সামনে যিনি আছেন তিনিও তার ছবি থেকে বহুগুন বেশী সুন্দর । যদিও এখনো তার নামটাই আমি জানিনা।তবে মনে মনে ভাবছি , আমি তাকে চিনি, তবে মনে করতে পারছিনা।
এদিকে, ডাইনিং থেকেই চমতকার গাছ-গাছালী-ফুলে পরিপূর্ণ একটা বেলকনী নজরে পড়ল । কিছুটা সামনে এগিয়ে যেতেই সে বলল, " যাওনা ভাইয়া বেলকনীতে ভালো লাগবে''। আমি ধীর পায়ে এগিয়ে গেলাম বেলকনিতে । চমতকার বেলকনীতে গাছপালার ফাকে বেতের চমতকার কারুকাজ করা একটি টেবিলের সাথে চারটি চেয়ার দেখে একটিতে বসলাম জড়সড়ো হয়ে ।আর দেখতে লাগলাম চমতকার প্রকৃতি ও পরিবেশকে। যদি আকাশে কিছুটা মেঘ ছিল এবং এ কারনে সূর্যের আলো ছিলনা বলে একটা আলো-আধারীর মায়াময় পরিবেশ বিরাজমান ছিল।
চায়ের কাপটা টেবিলের উপর রাখতে গিয়ে দেখলাম টেবিলে একটা ডাইরী। যদিও ডাইরি সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত এবং কারোর ডাইরিই কারোর দেখা উচিত নয় তবে মনের অজান্তেই ডাইরির কভার পেইজ উল্টাতেই দেখলাম মুক্তাক্ষরে লেখা, " বিধাতার কাছে আবারো কৃতজ্ঞতা এই আমাকে মনের মত যা খুশি তাই করতে পারার আনন্দময় একটা জীবন দানের জন্য"।
লেখাটি পড়েই ডাইরিটা বন্ধ করে দিলাম আর কিছুটা আনমনেই বেলকনি থেকে ডাইনিং এ আসতেছিলাম। তিনিও সেসময় হয়ত আমাকে ডাকতেই বেলকনীর দিকে যাচছিলেন। আর তখনই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে আসলো।
বিদ্যুতের আলোতে সামনে দাড়িয়ে থাকা মানবীকে দেখে মনের অজান্তেই সুতীব্র আওয়াজে গলা থেকে বেরিয়ে আসলো, " শায়মা বনি !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! আপনি"
সে কিছুটা হেসে বললো। ভাইয়া আমি শায়মা । আমি তোমার শায়মা বনি ।
আমি কিছুটা হেসে বললাম , " আসলেইত!!!!!!!!!!!!! ,আপনিই আমার শায়মা বনি"।
আসলে ,
শায়মা বনির" চলে গেলো ঈদ রয়ে গেল তার রেশ" এর লেখায় মন্তব্য করব করব বা কি করব ভাবতে ভাবতে , ড্রাফট করি । লিখি আর মুছি, মুছি আবার লিখি । শেষ পর্যন্ত মন্তব্য লিখতে লিখতে হয়ে গেল অনেক বড় । আবার কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব - হয়ে গেল ঈদনামা (শায়মানামা)। আর তাই তাই দিয়ে দিলুম পোস্ট আকারে এবং উৎসর্গ আমার দশভূজা বোন শায়মাকে।
যাকে দেখলেই ভাললাগা কাজ করে আর মনে পড়ে সেই বিখ্যাত উক্তি, " যে রাধে সে চুল ও বাঁধে"।
বেঁচে থাকুক শত বছর আমার শিল্প-সাহিত্যিক ও সাজুগুজু মনা শায়মা বনি। এক জীবনে মহান আল্লাহ পূরণ করুক তাহার সকল চাওয়া-পাওয়াকে।
ভালবাসা অবিরাম - শায়মা বনি । ভালবাসা সবাইকে।
খোদা হাফেজ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৮