রোহিঙ্গা রিফিউজিদের পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করা সরকারের জন্য ওভারটাইম বা অতিরিক্ত কাজ।
তার মেইন দায়িত্ব হলো ১৬ কোটি বাঙালির মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা। যেমন:
১)খাদ্য: সেই হিসেবে চাউলের দাম থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখা। যা একেবারে নেই বললেই চলে। বরং, মেহনতি মানুষদের এই প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র সংগ্রহ করতে ঘাম ঝড়াতে হয় নিয়মিত।
২)বস্ত্র: সাধারণ মানুষের পরিধেয় বস্ত্র বিশেষ করে শীতের দিনে প্রয়োজনীয় পোশাক/কম্বল সবার জন্য নিশ্চিত করা।
৩)বাসস্থান: দেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন বস্তিতে কিংবা শহরের বিভিন্ন স্টেশন কিংবা বাজারে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন কারী প্রত্যেকের নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করা। যা আজো বহু দেরী..
৪)শিক্ষা: বস্তির শিশু থেকে শুরু করে গ্রাম ও শহরের প্রত্যেকটি শিশুর শিক্ষা ১০০% নিশ্চিত করা। শুধু প্রাথমিক শিক্ষাই নয় বরং শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করে বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণার প্রতি জোর দিয়ে খাদ্য, চিকিৎসা, যোগাযোগ সহ জীবনের প্রত্যেকটি খাতে গবেষক তৈরীর পরিবেশ নিশ্চিত করা। এবং শিক্ষা শেষে প্রত্যেক নাগরিকের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা।
৫)চিকিৎসা: গনতান্ত্রীক প্রত্যেক দেশে প্রত্যেক নাগরিকের সুচিকিৎসা পাবার অধিকার সংবিধান দিয়ে দিয়েছে। সেই অভিষ্ঠ লক্ষ থেকে আম্রা বহু পিছনে পরে আছি। আমাদের দেশে চিকিৎসা এখনো অনেক ব্যয়বহুল যার ফলে নিন্ম আয়ের মানুষ তো বটেই মধ্যম আয়ের মানুষও সময়মত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায় না। অথচ সরকারের দায়িত্ব প্রত্যেক নাগরিকের চিকিৎসা নিশ্চিত করা।
এই সমস্ত মৌলিক চাহিদা যথাযথ ভাবে নিশ্চিত করার পর আরো অনেক অনেক দায়িত্ব রয়েছে যা দেশের সরকার প্রধানকে অবশ্যই পালন করতে হবে। এবং এই সব দায়িত্ব পালনের শর্ত মেনে নিয়েই একজন মানুষ সরকারের চেয়ারে বসে। অন্যান্য দায়িত্বগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
সংবিধান অনুযায়ী মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, মানুষের কথা বলার অধিকার বা বাঁক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, উন্নত জীবনের লক্ষে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা, বেশি বেশি কল কারখানা তৈরীর মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, উন্নত ও আদর্শ কুটনীতির মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক বজায় রাখা, ইত্যাদি।
কাজেই দেশের মানুষর প্রতি বেসিক দায়িত্ব ঠিকোটাক মত পালন করে অন্য অতিরিক্ত কাজ যত ভালোই করুক তাকে সফল বলা যায় না। বিশাল এক পরিবারের কর্তা যদি পরিবারের সবার প্রয়োজন না মিটিয়ে শুধু মাত্র মেহমানকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকে তাহলে পরিবারে কখনোই শান্তি আসবে না।
আজ খবরে দেখলাম জনৈক মন্ত্রী মহোদয় এক পাবলিক মিটিং এ রোহিঙ্গা বিষয়ে সরকারের সফলতা ব্যাখ্যা করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে ভোট দেবার অনুরুধ জানালেন। পশ্চাৎপদ আবেগী এই জাতিকে ঠিক মত বুঝাতে পারলে তারা ঠিকই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার স্মৃতি স্মরণ করে ঠিকই নির্বাচনে ভোট দিবে, কারণ এরা নিজেদের অধিকার সমন্ধে সচেতন নয়।