জন্মেছেন সুদানে। সেই সুদান ভেঙে এখন আরও একটি আলাদা দেশ হয়েছে—দক্ষিণ সুদান। কিন্তু সেই শৈশবেই তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। অনেক দিন ধরে সেই দেশেই আছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নেই। গুওর মারিয়ালের কোনো পাসপোর্টই নেই! কিন্তু সুদানি এই দৌড়বিদের অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন তাতে অপূর্ণ থাকছে না। অলিম্পিকে ঠিকই দৌড়াবেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) তাঁকে দৌড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। তবে কোনো দেশের হয়ে নয়। তবে দৌড়াতে হবে অলিম্পিক পতাকা নিয়ে।
দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হয়েছে গত বছর। এখনো আইওসির স্বীকৃতি পায়নি। ফলে দক্ষিণ সুদানের হয়ে দৌড়ানোর স্বপ্নটা পূরণ হলো না এই ম্যারাথন দৌড়বিদের। মারিয়াল অবশ্য বলছেন, দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধি হয়েই ম্যারাথনে নামবেন তিনি, ‘অবশেষে দক্ষিণ সুদানের আকুতিতে সাড়া দিলেন তাঁরা। বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা জায়গা করে নিল দক্ষিণ সুদান। অলিম্পিকে হয়তো আমি তাদের পতাকা বহন করব না, কিন্তু তার পরও তারা সেখানে থাকবে। স্বপ্ন অবশেষে সত্যি হলো। দক্ষিণ সুদানের আশাও বেঁচে থাকল।’
গত বছর অলিম্পিকের কোয়ালিফাইং টাইমিং করার পরও লন্ডনের টিকিট মিলছিল না। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনেটর আবেদন করার পর প্রথম এ নিয়ে সংবাদ হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁকে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিল আইওসি। মারিয়াল ছাড়াও নেদারল্যান্ডস আটলান্টিসের তিন অ্যাথলেট এবার অলিম্পিক পতাকা নিয়ে অংশ নিচ্ছেন।
বর্তমানে অ্যারিজোনার বাসিন্দা মারিয়াল যুক্তরাষ্ট্রেই নিচ্ছেন অলিম্পিকের প্রস্তুতি। সবুজ সংকেত পাওয়ার পর নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অনুশীলনে। বলেছেন, ‘দৌড়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। ওয়াও! এটা সত্যিই খুব উত্তেজনাকর। বলে বোঝানো মুশকিল। আমি ভাষাহীন। শরীরের উত্তাপই বেড়ে যাচ্ছে। এখন আমাকে একজন অলিম্পিয়ানের মতো করেই অনুশীলন করতে হবে।
Source
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



