somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মালয়েশিয়ায় বেড়াতে গেলে যে খাবার গুলোর স্বাদ নিয়ে দেখতে পারেন

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বলা হয়ে থাকে মালয়েশিয়ার কয়েক প্রকারের খাবার না পরখ করে দেখলে এই দেশ ভ্রমণই অপূর্ণ থেকে যায়। ভ্রমণ পিয়াসী যারা বৈচিত্রময় খাবার খুঁজে বেড়ান তাদের জন্য মালয়েশিয়ার লোভনীয় কয়েকটি খাবার আইটেম তুলে ধরা হলো।
নাসি লেমাক : নারকেল দুধের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকারের মসলা যেমন- আদা, গরম মসলা, দারুচিনি দিয়ে তৈরী এক থালা সুগন্ধি ভাত একজন অতিথির উপভোগ করাই অপরিহার্য কর্তব্য। ঐতিহ্যগতভাবে এই ভাতের সঙ্গে ভাজা মাছ, সিদ্ধ ডিম, বিশেষ সস, শশার টুকরা, মচমচে বাদাম এবং স্থানীয় রেনদাং ও মাংসের তরকারীযোগে পরিবেশন করা হয়। বহু মালয়েশিয়ান তাদের জীবনের প্রতিটি দিন এই খাবার তাদের তালিকায় রাখার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সাতায় : কাঠিতে বিদ্ধ করে কয়লার আগুনে ঝলসানো মুরগি বা গরুর মাংসের টুকরা এই খাবারের প্রধান উপকরণ। বাদামের তৈরী ডিপ, চালের কিউব, কাঁচা পেঁয়াজ এবং শশার কিউব সহযোগে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
তেহ্ তারিক : তেহ্ তারিক আক্ষরিক অর্থেই কড়া চা। অভিজ্ঞ হাতে তৈরী এই চা এক কাপ থেকে অপর কাপে স্থানান্তরের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরী হয়ে থাকে। চা-এর ঘ্রাণ বৃদ্ধির জন্যেই এর উত্তাপ কমানো হয়ে থাকে। ঘণ দুধের তৈরী এই চা দিনের যে কোন সময়ে উপভোগের জন্য আদর্শ পানীয়।
রোটি চানাই : ঐতিহ্যবাহী মালয়েশিয়ানদের সকালের নাস্তায় উপভোগ করার জন্য তৈরী এই রুটি মচমচে করে তৈরী করা হয়ে থাকে। এর সঙ্গে পরিবেশন করা হয় মুরগি বা বুটের তরকারি। আটার ছোট্ট একটি গোলক দক্ষ হাতে শূণ্যে উড়তে উড়তে বৃহদাকার রুটিতে পরিণত হয়। এরপর ভাজা হয় তাওয়াতে এবং এর পুরো নির্মান প্রক্রিয়া উপভোগ করতে করতেই আপনার সামনে হাজির হবে গরম রোটি চানাই। এরপর আপনার দ্বায়িত্ব একে উপভোগ করা।
রেন্দাং : রেন্দাং একটি গাঢ় এবং শুকনো মালয়েশিয়ান খাবার। এর প্রধান উপকরণ গরু অথবা মুরগির মাংস। রেন্দাং সাধারণত ভাত বা আঁঠালোভাবে তৈরী বিশেষ ভাত (গ্লাটিনাস)-এর সঙ্গে খাওয়া হয়। বিশেষভাবে হরি-রায়া উৎসবে এই খাবার থাকতেই হয়। রেন্দাং স্বাদে ঝাল এবং ‘মসলার স্বাদের’ হয়ে থাকে।
এয়ার বাতু কাম্পুর (এবিসি) : তপ্ত দুপুরের ক্লান্তি দূর করতে শীতল এই ডেজার্ট আইটেম-এর তুলনা নেই। খাবারটির অপর নাম এইস কাচাং। একটি বাটিতে বরফ কুঁচির সঙ্গে লাল শিমের বিচি, বাদাম, ভূট্টা এবং বিভিন্ন ফল সহযোগে তৈরী করা থাকে। স্বাদ বাড়ানোর জন্য ঘন দুধ এবং চিনির শিরা ব্যবহৃত হয়।
সেনডল : বরফ কুঁচির সঙ্গে নারকেল দুধ এবং স্বাদ বৃদ্ধির জন্য চিনির শিরা ব্যবহার করে তৈরী হয় সেনডল। এর প্রধান উপকরণ নুডুলস এবং সাজিয়ে পরিবেশনের জন্য ব্যবহার করা হয় সবুজ শিম এবং বাদাম।
নাসি বিরিয়ানি : রসনাবিলাসীদের মধ্যে যারা ভাত জাতীয় খাবার পছন্দ করেন তাদের জন্য লোভনীয় খাবার নাসি বিরিয়ানী। বাসমতি চাউলের সঙ্গে মাংস এবং বিভিন্ন প্রকারের মসলা সহযোগে এটি তৈরী হয়ে থাকে। ভোক্তার পছন্দ অনুযায়ী ডিম, মুরগি এবং খাশির বিরিয়ানী সহজেই পাওয়া যাবে ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানে। বিরিয়ানীর সঙ্গে বিশেষ ধরণের তরকারী এবং টক দই দিয়ে শশার সালাদ পরিবেশন করা হয়।
বাক কুট তেহ্ : বিভিন্ন ভেষজ উপকরনের সঙ্গে শূকরের মাংস দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে চাইনিজ ঘরানার এই খাবার তৈরী হয়। চারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচি, স্থানীয় দং কুয়েই, রসুন ইত্যাদি মাংসের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। বাড়তি ঘ্রাণ সংযুক্ত করতে এই মসলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একই খাবার হালালভাবেও তৈরী করা হয়ে থাকে মুরগির মাংস দিয়ে যার নাম চি কুট তেহ্।
চিকেন রাইস : খুবই সাধারণ এবং সবার জন্য উপাদেয় এই খাবারটি ভাত-এর সঙ্গে মুরগির রোস্ট, কাবাব বা ফ্রাই করে পরিবেশন করা হয়। সঙ্গে বাড়তি স্বাদ যোগ করার জন্য সঙ্গে দেয়া হয় আদার পেস্ট, মরিচের সস এবং সয়া সস।
লাকসা : এক অনন্য স্বাদের নুডুলস স্যুপের নাম লাকসা। খাবারে ব্যবহৃত অপর উপকরণ হলো নারকেল দুধ, সামুদ্রিক মাছ বা গুল্ম, শিমের বিচি, শশা এবং মসলা। খাবারটির ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ পেতে লাসকা পেনাং, লাসকা জহর এবং লাসকা সারাওয়াক গ্রহণ করতে হবে। এর প্রতিটির রয়েছে নিজস্বতা।
চার কুয়ায় তেঔ : চাইনিজ কিচেনের একটি অতি জনপ্রিয় সিজলিং চার কুয়ায় তেঔ-এ ভর্তি প্লেট আপনাকে দেবে রসনা বিলাসের এক অনন্য অভিজ্ঞতা। সাধারণ নুডুলসকে উচ্চতাপে ভেজে ঝিনুক, চিংড়ি এবং মুরগির মাংস দিয়ে তৈরী করা হয় খাবারটি। পরিবেশনকালে ব্যবহার করা হয় মচমচে বুট এবং বিভিন্ন ভেষজ উপকরণ। কখনো কখনো হাঁসের ডিম স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়।
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কবিতাঃ হে বলবান

লিখেছেন ইসিয়াক, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

কে আছিস বলবান!
হ্ আগুয়ান।
দে সাড়া দে ত্বরা।
ধরতে হবে হাল,বাইতে হবে তরী, অবস্থা বেসামাল।

জ্বলছে দেখ প্রাণের স্বদেশ
বিপর্যস্ত আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
মানবিকতা, মূল্যবোধ, কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতির বাতিঘর।
সর্বত্র আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলন পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলনের পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন

লালবদর নীলা ইস্রাফিল এখন বলছেন ও স্বীকার করছেন যে—
জুলাইয়ের সবকিছুই ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন।
মুগ্ধের হত্যাও সেই ডিজাইনের অংশ।

অভিনন্দন।
এই বোধোদয় পেতে দেড় বছর লাগলো?

আমরা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক ৩০০০ কোটী টাকার লোভেই দেশে ফিরেছে

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১০



তারেক এসেছে, বলেছে, I have a plan; তারেকের প্ল্যানটা কি? এই মহুর্তে তার প্ল্যান হতে পারে, নমিনেশন বাণিজ্য করে কমপক্ষে ৩০০০ কোটি টাকা আয়। ৩০০ সীটে গড়ে ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

বই : টক অব দ্য টাউন

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮

বই : টক অব দ্য টাউন



একটি বই হঠাৎ করে এতটা আলোচনায় আসবে আমরা কি ভাবতে পেরেছি ?
বাংলাদেশের মানুষ অতি আবেগপ্রবন , বর্তমান রাজনৈতিক অস্হিরতার মধ্যে ও
বাঙালীর স্বভাবসুলভ অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×