ভণ্ড পীরের ভয়ংকর পদ্ধতির ঘটনায় আরো যেসব তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে, তাতে ধারণা করা যাচ্ছে, প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ ঘটনার নির্মমতা নিয়ে অতিবাণিজ্য করেছে।
প্রথম আলোতে কর্মরত আমার পরিচিতজনেরাও বলেছে, ছবি তুলতে দিতে রাজি হচ্ছিলনা ভণ্ড আমজাদ। তাকে ফুসলানো হয়েছে যে, সে একরম চিকিৎসার মাধ্যমে একটি ভালো কাজ করছে, ছবি তুলে মানুষকে জানালে সে বিখ্যাত হবে, আরো অনেকেই এই সেবা নিতে আসবে। মানুষের উপকার হবে। বলদ পীর আশ্বস্ত হয়েছে। তাই চিকিৎসার বিভিন্ন আইটেম সে প্রদর্শন করেছে। ঐদিনের খবরটি আবার পড়ে দেখুন, ধারণা করতে পারবেন।
যদি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের মানবতাবোধ থাকতো, তাহলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের মাধ্যমে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে পারতো। তা না করে জাতিকে চমকে দিতে চেয়েছে, পত্রিকাকে হটকেক করতে চেয়েছে। সফলও হয়েছে।
তবে মাঝখানের ৬ দিন ঘটে যাওয়া নির্যাতনের জন্য সহযোগী হিসেবে ঐ সাংবাদিক আর ফটোগ্রাফারের সাথে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষেরও শাস্তি পাওয়া উচিত। আপনার প্রতিবেশী খুন হলে আপনি যদি থানা-পুলিশকে না জানান তাহলে দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে আপনাকেও কৈফিয়ত দিতে হবে। বিদেশেতো বটেই বাংলাদেশেও এধরনের প্রতিবেশীদের থানা-পুলিশ ছেড়ে দেয়না।
প্রথম আলো পাঠকদের বলদ বিবেচনা করে আসছে, এটাই তাদের মূর্খতা। আলামত দেখে মনে হচ্ছে, সেদিন দূরে নয় লাখ লাখ পাঠকের আস্থাভাজন পত্রিকাটি সেইসব পাঠকদের দ্বারাই ঘৃণিত হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




