somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিডিয়াদস্যু মতিউর রহমানের ভণ্ডামী (পর্ব ১)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ১৯৯৮ সালে ট্রান্সকম গ্রুপের সাথে পত্রিকা প্রকাশনায় যুক্ত হন, তখন তাঁর কর্মীবাহিনীর সাথে যে নীতি এবং আদর্শের কথা বলতেন পরবর্তীতে তা সব ভণ্ডামী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে তার কর্মীদের কাছে।

প্রথমে তিনি মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু ভাইকে বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেন। (তিনি সমকালের উপসম্পাদক এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে নতুন একটি দৈনিক পত্রিকা বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।) এই মঞ্জু ভাইয়ের বড় গুণ হচ্ছে, পারফেকশান। একটি নিউজ (বিশেষ করে লিড নিউজের বেলায়) সব রকম ত্রুটিমুক্ত করে পাঠকদের কাছে পরিবেশন করতে চাইতেন। মতিউর রহমানের নীতি ছিল, অনেক কাজ কিন্তু খুব দ্রুত করতে হবে। সেজন্য কিছু ত্রুটিও সমস্যা নয়। কারণ, প্রেসের সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পত্রিকার নিউজ গোছাতে হয়। এ সময় দরকার ছিল মঞ্জু ভাইকে অনেক কপি দেখার দায়িত্ব না চাপিয়ে সহযোগিতা করা। উপরন্তু, একজন সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে মঞ্জু ভাই তার সম্পাদকের সাথে অনেক সময় দ্বিমত প্রকাশ করতেন। মতিউর রহমানের তা ভালো লাগতো না। তাঁর মানসিকতা হচ্ছে, একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করা। এমনকি মালিক লতিফুর রহমানকেও তিনি ছলে-বলে-কৌশলে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত রাখতেন। (লতিফুর রহমান তাঁর মূল্য দিচ্ছেন কালের কণ্ঠের পাল্টা-আঘাতের মাধ্যমে নিজের ইমেজের বারোটা বাজিয়ে, অথচ প্রথম আলোর এই সাফল্যের পেছনে মতিউর রহমানের চেয়েও বড় অবদান লতিফুর রহমানের।)

প্রথম আলো'র আমরা সবাই তখন একই ফ্লোরে কাজ করতাম। তাই মতিউর রহমানের কর্মতৎপরতার অনেক কিছুই হতো প্রকাশ্যভাবে। একদিন দেখা গেল, কাঁচঘেরা সম্পাদকের কক্ষে মঞ্জু ভাইকে অনেক বকাঝকা করছেন। মঞ্জু ভাইও উচ্চস্বরে উত্তর দিচ্ছেন। ফলাফল দেখা গেল, মতিউর রহমানের হুঙ্কার, 'বের হও অফিস থেকে। এক্ষুণি বের হও।' মঞ্জু ভাই বলছেন, 'আচ্ছা বের হচ্ছি।' এরপর মঞ্জু ভাই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতেই মতিউর রহমান নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে মঞ্জু ভাইয়ের ঘাড় ধরে ঠেলে নিয়ে চল্লেন মেইন দরজার দিকে। এভাবে ঘাড় ধাক্কিয়ে দোতলা থেকে সিএ ভবনের নিচ পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। আমরা সব কর্মীরা হা হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম মঞ্জু ভাইকে অপমান করার দৃশ্য। রাগে উন্মত্ত মতিউর রহমানের এমন চেহারা দেখে সব সিনিয়র জুনিয়র সব কর্মীর মনে ভয় ঢুকে গেল।

অথচ ইনি জাতিকে জ্ঞান পরিবেশন করে বেড়ান। দুই নেত্রীকে উচিত অনুচিত শেখান। ভণ্ডামি আর কাকে বলে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৩
২১টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৌলবাদ: ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রযুক্তি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১




মজার বিষয়—

আজকের মৌলবাদীরা রোকেয়া বেগমকে মুরতাদ ঘোষণা করে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, অথচ নিজেদের অস্তিত্ব টিকেই আছে যাদের ঘৃণা করে— সেই “কাফেরদের” বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে। ইতিহাস পড়লে এদের বুকফুলা হাওয়া বের... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩



শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট

লিখেছেন আরোগ্য, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬



ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×