[প্রথম অংশ]
ঝনাৎ করে এক প্রভাতে
খুলে গেল সকল ঘরের আগল
সকাল থেকে সারাবেলা হাওয়ারা আসছে দক্ষিণ আমাজান হতে।
ঘরহারা ক্ষ্যাপা বাউলের মত
টকটকে জেল্লাদার বাসন্তী রং উড়ুনি গায়ে
সাঁই সাঁই করে ছড়িয়ে যায় পাহাড়-প্রান্তর বনভূমির কাছে।
মাটির ভাণ্ডারে অমল জলকণা
উদ্ভিদের ছোট ছোট লাল পায়ের অঙ্কুরে
ভিজিয়ে দিয়ে মেঘমালার দেশে বাড়িয়ে দিয়েছে শাখা প্রশাখার হাত
যেন এক দিবসের ব্যবধানে
পত্রহীন শীর্ণ অনাদরের উপেক্ষিত মাদার গাছে, যৌবনের
সেকি উদ্বাহু বিস্তার ঘন নীল পাতায় ছাওয়া কোরক মুখে তীব্র লাল ফুল।
এক ঝাঁক শালিক আর ছাতারে পাখি
গোত্র দ্বন্দ ভুলে মনের সুখে গাইছে
যৌবনের পদাবলী বসন্ত দিনের অভিজ্ঞান।
অশত্থের মৌনতায় এসেছে চাঞ্চল্য
আরো প্রসারিত শাখা মনসিজ বাসনার বেদনায় আতুর
মিষ্টি হাওয়ার উন্মাদ কোকিলের ধ্রুপদী আলাপে আনে প্রসন্ন উচ্ছ্বাস।
বহুবর্ণ প্রগাঢ় পট্টবাস জড়িত
যুবতীরা উদগ্র বাসনায় বেপথু চন্দ্রালোকে ভিজে ভিজে
পঞ্চদশায় অরণ্য কিংবা তটরেখা ধরে নিশিপাওয়ার মতো চলেছে কোথায়।
[বাকি অংশ]
নদীর বালুভূমিতে এক দল যুবক
পৃথিবীর সকল কবিদের সকল কবিতা
সারারাত চাঁদের আলেঅয় শুয়ে শুয়ে করে অনুভব।
প্রভাবিত যুবদল মুদ্রিত চোখে
ক্ষীণ স্রোতা নদী তটের শীতল বালুকা বেলায়
তন্ময় যাতনায় মৃদঙ্গ আর সেতারের গভীর আলাপে নিজেকে করে নিরাকার।
পুষ্ট প্রকৃষ্ট স্তনাধারে উল্লাসিত
যুবতীরা হেটে হেটে মধ্যযামে ঘাসের ক্ষেতে সুগন্ধি পদ চিহ্ন এঁকে সেতার
ও কবিতা মগ্ন নিশিথচারী নিঃসঙ্গ যুবকদের টানে ঝুমঝুম করে হেঁটে যায়।
দূরাগত সেতারার হাওয়ার গভীর আলাপ
অসংখ্য তরুর অপরিমেয় সুগন্ধি পদতলে পীড়িত অজস্র কুসুমের স্পর্শে
মধ্য বসন্তে দেহের গভীর স্তরে ম্তরে অমোঘ বেদনার ঝড় তোলে
কি এক অভিপ্রেত পিপাসার উন্মাদ মদির
চিরায়ত বসন্ত প্রবাহিত উদ্দাম প্রভঞ্জনের মত্ত তারা
অসংখ্য বিহঙ্গ আর অজস্র কুসুমের অপরিমেয় নির্যাসিত
ঘ্রাণের অসাধারণ জাতক হে প্রিয় বসন্ত।
..............................................................
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



