এশিয়ার সর্ব দক্ষিণের বাংলাদেশ নামক দেশটিতে যা অবস্থা দাড়িয়েছে, পথে-ঘাটে, রাস্তায়- রাস্তায় বিজ্ঞানীর চাষ হয়। গায়ে গায়ে ধাক্কা খাওয়ার মত অবস্থা অনেকটা। কোন মতে মনের মধ্যে একবার বৈজ্ঞানিক হওয়ার স্বাদ জাগলেই হলো। বাংলাদেশে বিজ্ঞানী হওয়া, প্যান্টের চেইন লাগানোর চাইতেও সহজ। চোখ কান বন্ধ করে একবার ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম কে ছোট করে একটা গালি দিয়ে দেন, ব্যাস আপনার কাজ শেষ। এরপর আপনি মুহূর্তেই হয়ে যাবেন বিখ্যাত একজন বিজ্ঞান চিন্তক। আপনার পাশে কথা বলার জন্য পেয়ে যাবেন একদল সতীত্বহীন মিডিয়া। বাকি সকল কাজ তাদের। আপনাকে বিজ্ঞানী প্রমাণ করা যেন তাদের জন্মগত অর্পিত দায়িত্ব।
সেই সাথে এখানে আপনি আরো পাশে পাবেন একদল রাজনৈতিক বেশ্যাদের। যারা টাকার জন্য বা নিজের প্রয়োজনে দেহ দান করে তারা যেমন বেশ্যা, তেমনি ঐ একই প্রয়োজনে যারা নিজের মন ও আদর্শ বিক্রি করে তারা মানসিক বেশ্যা। বাংলাদেশে এক প্রজাতির রাজনৈতিক পদার্থ আছে যারা ছাত্র জীবনে প্রগতি, সাম্যবাদ আর আদর্শের ফেণা তুলে জিভটাকে সাদা করে ফেলে। অথচ যদি কোন ক্রমে রাজনীতিতে টিকে যায় তাহলে হাল ধরে গিয়ে নৌকার। আপনার বিজ্ঞানী হওয়ার স্বাদ পূরণের জন্য এরা সর্বক্ষণ প্রস্তুত। কারণ এদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আপনার মত বিজ্ঞানীদের নিয়ে ;যাদের ধর্মের নাম শুনলেই চুলকানি শুরু হয়।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশ নামক এইদেশটি এখন বৈজ্ঞানিকের উর্বর ভূমি। আপনি চাইলে এখন সহজেই একজন বিজ্ঞানী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। আপনার জন্য খোলা আছে বাংলাদেশের রাস্তা ঘাট। অবশ্য রাস্তাঘাটে জন্মানো মানুষের সংখ্যাও ইদানিং উঠতির দিকেই মনে হয়। আর যমদূতও আজকাল পথে ঘাটেই একটু বেশি থাকে বলে মনে হচ্ছে। তো হয়ে যান এবার বিজ্ঞানী, কিন্তু যমদূত থেকে সাবধাণ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৯