somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুখবর : বাংলাদেশ " সিলেট ও মৌলভীবাজারে’ উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়ামের সন্ধান "

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের অনেক অনেক পজিটিভ দিক রয়েছে।
আমাদের আত্মায়, সত্বায়, আচরনে দেশাত্ববোধে, আতিথেয়তায়, সম্পদে সর্বত্র।

কিন্তু সেগুলো আড়ালেই থেকে যায়। ব্যক্তিক পর্যায় থেকে জাতীয় সর্বত্রই যেন।

আমাদের দেশের প্রতি স্রষ্টার অপার করুনা দেশের প্রতিটি ইঞ্চিতে লুকানো। এমন উর্বরা ভুমি আর কোথায় আছে বলুন। কাকের মলের থেকেও জন্মায় বিশাল বটবৃক্ষ! অবহেলায় ফেলে রাখা আটি থেকে জন্মায় বিশাল আম গাছ।
খনিজ সম্পদেও আমরা ভরপুর। সৈকতের বেলাভূমিতেই বালুর সাথে মিশে অবহেলায় পড়ে আছে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ!

দৈনতা শুধু একখানে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। যে জন্য আফ্রিকা যেমন হীরার খনির মালিক হয়েও আজ বহুধা বিভক্ত হয়ে দুর্বল, দরিদ্র আর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের তালিকায়.. আমরাও যেন তেমনি সম্পদকে মাটির নীচে ফেলে রেখে নিজেরাই অবহেলায় অবহেলিত হচ্ছি।
যেটুকু ছিটে ফোটা আমাদের জানায় তা নিয়েও নোংরা দেশপ্রেমহীন খেলা চলে। গ্যাস অন্যতম। সমুদ্রব্লক ইজারা দিতে গিয়ে আমরা ব্যক্তি এবং দলের আখের গোছাতে গিয়ে দেশকে পেছনেই রাখি ব্যাকবেঞ্চার বানিয়ে! বিগত চুক্তি, বিদেমী কোম্পানীর দূর্গটনা, ক্ষতিপূরণ আদায়ের কাহিনীতো প্রমাণ সহ সেদিকেই ইংগিত করে।

অনকে আগে থেকেই ছিটোফোটা নিউজে জেনেছি বগুড়ায় রয়েছে পৃথিবির সবচে শ্রেষ্ঠ মানের নীলা। যার মজুদ আনুমানিক ৫০ হাজার বিলিয়ন ইউএস ডলার!!!অথচ জাতীয় পর্যায়ে সে সব নিয়ে আগ্রহ কই?
ইউরেনিয়াম নিয়েও শুনছি কত কথা। সিলেট মৌলভী বাজারে পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম ষ্টক!
এবং আজ সেই খবরের নতুন ভার্সটাই আপনাদের সাথে সুখবর হিসাবে শেয়ার করত চাইছি-
খবরটা শির্ষ নিউজডট কমে ছাপা হয়েছে।

বাংলাদেশের সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে মূল্যবান পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম প্রচুর পরিমাণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পরমাণু বোমার প্রধান উপকরণ এই ইউরেনিয়াম।
তারা জানান, এসব অঞ্চলে এই তেজস্ক্রিয় খনিজের ঘনত্বও অনেক বেশি। এখন সরকার এগিয়ে এলেই এই খনিজ থেকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
বুধবার রাজধানীর আগারগাওয়ে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বাপশক) সম্মেলন কক্ষে ‘ইউরেনিয়াম সার্চিং অ্যান্ড কোয়ান্টিফিকেশন: এন অ্যাটেম্পট অ্যান্ড সাকসেস’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ কে এম ফজলে কিবরিয়া।
পরমাণু শক্তি কমিশনের নিউক্লিয়ার সেফটি, সিকিউরিটি ও সেফগার্ডস বিভাগের প্রধান এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, সিলেট ও মৌলভীবাজারের বেশ কয়েকটি স্থান থেকে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা সম্পন্ন পাথর সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এসব পাথরে ইউরেনিয়ামের উপস্থিতি রয়েছে। কিছু কিছু পাথরে উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম রয়েছে, যার ঘনত্ব ৫০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) এরও বেশি।
ড. ফজলে কিবরিয়া বলেন, পাথর সংগ্রহ করে ‘গামা স্প্রেকট্রোস্কপি’ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে এগুলোতে ইউরেনিয়াম ধরা পড়ে। পরে ‘এনার্জি ডিসপার্সিব এক্সরে’ পরীক্ষার মাধ্যমে নমুনায় ইউরেনিয়ামসহ অন্যান্য সম্ভাব্য মৌল শনাক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, কিছু কিছু পাথরে উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম রয়েছে। এটা অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক খবর।

তিনি আরো জানান, জাপান ও কোরিয়ায় কয়েকটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। দু’দেশের পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের সাথে বাংলাদেশের ফলাফল সঙ্গতিপূর্ণ।

এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটাই বাংলাদেশে প্রথম চেষ্টা যার মাধ্যমে সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলাগুলোর নমুনা সংগৃহীত ঠিক কোনস্থানে কত ঘনত্বের ইউরেনিয়াম রয়েছে, সেসব স্থানের জিপিএস রেকর্ড সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশে ইউরেনিয়াম রয়েছে এমন খবর জানা থাকলেও লোকেশনের সঠিক ডাটাবেজের অভাবে সেসব ফলাফল বর্তমান সন্ধানে তেমন কাজেই আসেনি। এমনকি কোনো কোনো স্থানে ইউরেনিয়ামের কোনো অস্তিত্বই পাওয়া সম্ভব হয়নি।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) প্রকাশিত ইউরেনিয়াম উত্তোলন সম্বন্ধীয় বইয়ে উল্লেখিত তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপী যেসব খনি থেকে বর্তমানে ইউরেনিয়াম উত্তোলন করা হচ্ছে সেগুলোর অধিকাংশতেই এর ঘনত্ব ৩০০-১০০০ পিপিএম।

এটা খুশির খবর যে, আমাদেরও উত্তোলনযোগ্য ঘনত্বের ইউরেনিয়াম রয়েছে। এখন প্রয়োজন কতটুকু এলাকাজুড়ে এমন ঘনত্বের ইউরেনিয়াম রয়েছে এবং দেশের আর কোথায় কোথায় এমন ঘনত্বের ইউরেনিয়াম রয়েছে তা খুঁজে বের করা। এ জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।’

সেমিনারের ‘বাপশক’ এর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ড. দিলীপ কুমার সাহা, ভৌত বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক ড. আলেয়া বেগম, মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী আনিছা বেগম, খাদ্য ও তেজস্ক্রিয় ইনিস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. খোরশেদ আলম, বৈজ্ঞানিক তথ্য বিভাগের পরিচালক ড. হিমাংশু, প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী জাফর সাদেক, তেজস্ক্রিয় খনিজ ইউনিটের প্রাক্তন পরিচালক ড. ইউনুস আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপর গবেষণা করেন এমন ১০০ জন বিজ্ঞানীও অংশগ্রহণ করেন।
===
আশা করব আমাদের জাতীয় স্বার্থে জনগণের সুফলবাহী চুক্তির মাধ্যমে সরকার এই সম্পদ উত্তোলন করতে সক্ষম হবে। এবং বিশ্বে এক অনন্য স্থান অর্জনে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক রহমতকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যেত সক্ষম হবে।
আর খুব সতর্কতার সহিত বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে হুটু-তুতসির মতো বিরাজমান মূখোমূখি দুই দলের অবস্থানকে পাশপাশি অবস্থানে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।
নইলে মোড়লরা আমাদের নিজেদের মধ্যে বিরাজমান বিভেদকে কাজে লাগিয়ে তারা সহজেই সস্তায় মূল্যবান সম্পদ নিতে চেষ্টা করবে। যার নমুনা আমরা দেখেছি আফগানিস্তানে, ইরাকে, সিরিয়া সহ অন্যান্য বহু দেশে।

এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। সকল শংকাকে মিথ্যা প্রমাণ করে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
৩৬টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×