somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সমশের
অসত্য, আমানবিকতার বিরুদ্ধে সমালোচনায় অপ্রতিরোধ্য। আস্তিক, তবে বাড়াবাড়ী অপছন্দ। কোমল, কিন্তু নৈতিকতার ক্ষেত্রে কঠোর। চাওয়া একটাই, প্রাণের জন্মভূমিটা হোক সুন্দর ও শান্তিময়। আনন্দে ভরে ঊঠুক সবার প্রান।

অপরুপ রাঙ্গামাটি এবং স্বপ্নের জম্মুল্যান্ড-১=মাহবুব সুয়েদ

১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশে গেলাম গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি।নভেম্বরের ১৪ তারিখে হঠাৎ করে ই আমার এক ছোট ভাই প্রস্তাব করে বসে রাঙ্গামাটি/কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসার।নিজে থাকি আটলান্টিক তীরবর্তি সাগরকন্যা 'লিসবন' শহরে।কাজে ই কক্সবাজারে সাগর তীরে যাওয়ার খুব একটা আগ্রহ খুজে পেলামনা।২০০৭সালে এর আগেও একবার রাঙ্গামাঠি-কক্সবাজার সফর করেছিলাম বন্ধু এনামের সাথে তাও টানা ৫ দিন।এবার দ্বীর্ঘ প্রবাস জীবনের ফাকে দেশের মাটিতে ভ্রমনের প্রস্তাবকে ভালো ই নিলাম।প্লানমত সে দুইদিন পরে রাতের টিকিট কাটলে আমরা নববিবাহিত মন্ত্রীর সুন্দর ট্রেনে করে রওয়ানা করলাম সিলেট থেকে চিটাগাংযের উদ্দেশ্যে।সেদিন চট্রগ্রামে স্থানীয় বিএনপির বিভাগজুড়ে হরতাল ছিল (আমার দুর্ভাগ্য,দুইবাই গেলাম আর দুই বারই হরতাল ছিল)।চট্রগ্রাম স্টেশনে নেমে সিএনজি করে গেলাম বদ্দারহাটে।সেখান থেকে বাস পাওয়া যাবে এই আশায়।বদ্দার হাটে যাওয়ার পরে ড্রাইভারদের টানাটানিতে পড়ে গেলাম।যাইহোক অনেক কষ্টে একটা সিএঞ্জি পেলাম হাটহাজারি পর্যন্ত।সেখান থেকে আরো দুইবার সিএনজি চেঞ্জ করে অবশেষে রাঙ্গামাটি শহরে বনরুপা বাজারে পৌছলাম।রেষ্টুরেন্টে নাস্তা করতে ঢুকলাম আর ফাকে ওয়েটারের সাথে খাতির জমিয়ে দিলাম।লম্বা জার্নির কারনে শরিরকে রেষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক্ষন বসে থাকলাম।তরুন আর কাষ্টমার সার্ভিসে ভদ্র-চালাক ওয়য়েটারের কাছে জানতে চাইলাম কোথায় হোটেলে উঠলে ভাল হয়।সে বলল দেখেন আসছেন ঘুরতে এখন এই বনরুপায় থাকতে পারেন কারন এটি শহরের প্রানকেন্দ্র।কিন্তু যদি নিরিবীলি প্রাকৃতিক পরিবেশ চান তাইলে শহরের 'রিজার্ভ বাজার' নামক এলাকায় চলে যান।সেখানে দুয়েকটা আবাসিক হোটেলেরও রেফারেন্স সে দিল।বেরিয়ে চলে গেলাম রিজার্ভ বাজার এবং একটি মোটামোটি ভাল মানের হোটেল ও পেয়ে গেলাম।লম্বা ঘুম দিয়ে বিকেলে বেরুলাম রাঙ্গামাটির রাঙ্গা-গুধুলির স্বাদ উপভোগ করতে।ঘুরলাম টানা রাত ১১টা পর্যন্ত।রাজমন বৌদ্ব বিহার,চাকমা রাজবাড়ি,বনরুপা পয়েন্ট,ঝুলন্ত ব্রিজসহ শহরের নানা জায়গা ঘুরলাম।আগেই বলেছি আমি এর আগেও রাঙ্গামাটি গিয়েছি একবার তাই নতুন করে কিছু দেখার ছিলনা।আমার কাছে মুল আকর্ষনের বিষয় ছিল রিক্সাবিহীন নিরিবীলি অপরুপ এই শহরের নিরবতা আর এর প্রাকৃতিক নৈস্বর্গিকতাকে উপভোগ করা।আমার হোটেল যেখানে ছিল তার পেছনে ই অর্থাৎ হোটেলের পেছনের লনে বসে বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে দিয়ে নীলাভ পানির বড় লেকের ঝনঝনানি শব্দ শুনার মজা আলাদা।আমি মোহাগ্রস্থের মত বসে ছিলাম ঘন্টার পর ঘন্টা।রাত যত গভির হয়েছে আমিও ভাবনার সাগরে অতল থেকে অতলে ডুবেছি।মহান মনিবের কৃপায় ইউরোপের বেশ কিছু দেশ/দ্বীপঘুরার সুযোগ হয়েছে কিন্তু বিশ্বাস করুন বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই রাঙ্গামাটি রিজ্জার্ভ বাজারের হোটেলের বেলকনীতে বসে ঝোনাকি পোকার ঝি-ঝি আর লেকের পানির ছলাত ছলাত শব্দের মাজে যেই মনোমুগদ্বতা কাজ করে তা অতুলনীয়।রাঙ্গামাটি অনেকে ই গিয়েছেন হয়ত তাই এখানে আমি রাঙ্গামাটির অপরুপ সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়।পার্বত্য চট্রগ্রাম অর্থাৎ রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি এবং বান্দরাবান বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর ভু-রাজনৈতিক গুরুত্বও অপরিসীম।সেই বৃটিশ আমল থেকে ই এখানকার দরিদ্র্য উপজাতীদের নিয়ে এদের মধ্যে সন্ত্রাসের বীজরুপে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।মানবাধিকারের নামে খৃষ্টান মিশনারিগুলোর ষড়যন্ত্র,আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর সন্ত্রাস ও স্বাধিকারের আন্দোলন এবং বর্তমান বাস্তবতা আর আমাদের কি করা উচিত এসব বিষয়াদী নিয়ে প্রবাসের ব্যস্ত জীবনের ফাকে ধারাবাহিক আলোচনা করব।নয় মাসের রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধিনতা এজন্য আনেনি আমার বাবা-দাদারা যে,৫৬হাজার বর্গমাইলের এ বাংলার একটি অংশ কোন একটি নির্দিষ্ট গোশ্তির জন্য ছেড়ে দেব।।।।(আগামী পর্বে চোখ রাখুন যদি ভাল লাগে)

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×