লাইন এর যেন আর শেষ নাই। সকাল ৮:২০ এ গেলাম মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর আবেদন করতে। এই বৃষ্টিতে পুরানো দিনের সেই সোনালী ব্যাংকে গিয়ে বিশাল জনমানবের লাইন না দেখে মনে মনে খুশী হওয়ার একটু পরেই জানতে পারলাম এখন সব কাজ হয় পাসপোর্ট অফিসেই । যাক ভালো খবর।
এক নাম্বার গেট দিয়ে ঢুকেই বুঝতে পারলাম বাঙালী কি জিনিস! অফিস খুলতে আরো আধা ঘন্টা বাকি থাকলেও টাকা জমা দেয়ার লাইন হয়ে গেছে বিশাল লম্বা। এখন পাসপোর্ট এর ছবি তুলতে হয় অন দ্যা স্পটেই, তাই হালকা যেটুকু মান্জা
এইবার দুই নাম্বার গেট এর পালা। প্রায় হাফ কিলোমিটার দৈর্ঘের বাকাতেড়া সাপ আকৃতির এই লাইন আর উপরে রোদ বৃষ্টির সমন্বিত হুমকি সত্বেও টানা ২ ঘন্টা ধৈর্যের পরীক্ষায় পাশ করে ২ ধাপে ফর্ম ভেরিফিকেশনের পর ছবি তোলার লাইনের সিরিয়াল পাইলাম। ভাবলাম ছবি তোললেই কাহিনী শেষ। কিসের কি! ৫ তলায় আধাঘণ্টা অপেক্ষা করার পর আমাকে যে লাইনে দাড় করাইলো সেইটা যেনো আর আগায়না। ঘটনার খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ফর্মের ডাটা এন্ট্রি করে 'ডেলিভারী স্লিপ' দিবে যেটা নিয়ে দাড়াতে হবে ছবি তোলার লাইনে। তার মানে ছবি তোলার লাইন পাওয়ার জন্যই আরেকটা লাইন। জনগনকে লাইনে রেখেই তাদের ডাটা কম্পিউটারে এন্ট্রি করার কি মানে আমি বুঝিনাই। আপনারা হয়ত বুঝবেন।
তো যাই হোক সকাল সাড়ে আট টা থেকে দুপুর দেড় টা পর্যন্ত প্রায় সারাক্ষণ কোন না কোন লাইনে দাড়িয়ে থেকে থেকে যখন আমার শক্তি প্রায় শেষ তখন দাড়াইলাম ছবি তোলার লাইনে। পাসপোর্টের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি তুলতে মানুষ যে একটু ফ্রেশ হবে তার কোন উপায় নাই। ছোট্ট আকারের বাথরুম এলাকাটা এমন নোংড়া আর দুর্গন্ধময় যে এর সুবাস (!) পুরা রুম জুড়ে পাওয়া যায়। তবুও প্রয়োজন যেহেতু আইন মানে না তাই আজ ও মানেনি। অবশেষে ছবি তোলার পালা শেষ করতে করতে বেলা যখন প্রায় দুইটা তখন আপাততঃ শেষ হইল আমার পুরানো পাসপোর্ট বদলে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



