একদিন পথভুলে এক বৃদ্ধাশ্রমে ডুকে পড়েছিলাম,
হঠাত করে কেউ একজন চেঁচিয়ে উঠলো-আরে তপু নাকি?
এই দেখ দেখ,
কে কোথায় আছো দেখে যাও-আমার তপু এসেছে,
একটা চিমসে যাওয়া হাত আমার মুখের উপর,
আমি পরিস্থিতিতে নিরুপায় হতবাক,
মায়ের চোখে পানি,
কিন্তু এই পৃথিবীর বাইরের কোন সুখ মায়ের চোখে মুখে।
ক্ষণিকের জন্য আমি তপু হলাম,
মা আমায় জড়িয়ে কতশত আলাপ করলেন।
নান্নু,টুনি,স্নেহা কেমন আছে আরও হাজারো প্রশ্ন,
বাড়ীর পাশে পুকুরে মাছ কত বড় হল,টুনি কি এখনও পুতুলের জন্য কাঁদে,স্নেহা দেখতে কেমন হয়েছে?
হাজারো প্রশ্ন,হাজারো দুঃখের সুখ,
মা আমার কপালে একরাশ চুমু খেলেন,
সকাতরে বললেন,আবার আসিস,আজকাল তোদের খুব দেখতে ইচ্ছে হয়,
আমার নান্নুটা আমাকে ছাড়া ঘুমাতে পারে(?)এমন প্রশ্ন করে অনেকটা লজ্জায় মুখ ডেকে নিলে নিলেন।
শেষমেশ বললেন-খোকা আমার এই আশ্রমে ভাল্লাগে না,
আমায় বাড়ি নিয়ে যাবি?
আমি বৌমাকে একদমই জ্বালাতন করবো না,
শুধু নান্নুকে বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে থাকবো।
একদিন পথভুলে এক বৃদ্ধাশ্রমে ডুকে পড়েছিলাম,
তারপর আর কখনোই পথ ভুল হয়নি,মা আমার সাথেই থাকেন আজকাল।