আমি সালমান শাহ ফারদীন। জন্ম ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৯৬। দিনটা বিখ্যাত হলেও আমি মানুষটা মোটেও বিখ্যাত। আমার সামান্য অভ্যাস আছে। মাঝে মাঝে কবিতা-টবিতা লিখি। বড় হয়ে একজন ভাল লেখক হওয়ার ইচ্ছা আছে।
হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। তার রচিত সব ধরনের লেখা আমার পছন্দ। বিশেষ করে তার রচিত হিমু চরিত্রটি আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয়। মাঝে মাঝে হিমু হয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
তখন আম হিমুর মতো আচরন শুরু করি। উদ্ভট ধরনের কথা বলি। চোখ বুজে ময়ুরাক্ষী নদীটার কথা ভাবতে শুরু করি। মানুষকে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করি।
আর সুযোগ পেলে রুপার মতো একটা বান্ধবী খুজি।
এসব দেখে কেউ আমাকে হিমু বলে না। সবাই আমাকে পাগল বলে।
[বি: দ্র:
জোত্স্না রাতে আমি বাইরে বের হতে ভয় পাই।
আমার কোনো হলুদ পাঞ্জাবী নেই। আমি কখনো খালি পায়ে রাস্তা দিয়ে হাটি না।]
আমার সম্পর্কে আরো দু-একটি বলতে চাই।
আমি খুব সাধারন একজন মানুষ। সবসময় হাসি-খুশি থাকতে পছন্দ করি। বলা ঠিক না, তবু বলছি- আমি ভয়াবহ রকমের নির্লিপ্ত একজন মানুষ। হঠাত্ হঠাত্ আমি রাগ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। এই জিনিসটা সব সময় হয় না। মাঝে মাঝে হয়। তখন সবাই ভাবে, আমি একটা নির্লজ্জ এবং বেহায়া।
খুবই কঠিন পরিস্থিতি।
আমাকে তারা রাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি নিজেও বুঝতে পারি, এখন আমার রাগ করা উচিত। রাগের চোটে ঘুষি মেরে দাত ভেঙ্গে দেওয়া উচিত। কিন্তু আমি রাগ করতে পারি না। ফলে ঘুষি মেরে দাত ভেঙ্গে দেওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
একাকী সময় কাটাতে পছন্দ করি। বেশিরভাগ সময় আমি একা থাকি। তখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চশ্রেনীর চিন্তা ভাবনা শুরু করে দেই এবং ফাকে ফাকে ফেসবুকে দু-একটা স্ট্যটাস দেই।
"আগন্তুক কাক" নামে সামুতে লেখালেখি করি।
বাসের ছাদে বসে আনন্দ করতে করতে কলেজে যাই। এই জিনিসটা আমার কাছে খুব ভাল লাগে।
বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করি। তবে সব সময় না। সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন। কোথাও ঘুরতে যেতে ভাল লাগে। অনেক দুরে। যেখানে আমি সবার অপরিচিত। পাখির কিচির-মিচির, সাগরের ঢেউয়ের গর্জন এসব আমায় ডাকে দুরন্ত আকর্ষনে। যেদিন কোনো বাধা থাকবে না। নদীর কিনারা ঘেষে হেটা যাব দুরে।
আমি স্বপ্ন বিলাসী একজন মানুষ।
হারিয়ে যাই আমি স্বপ্নে ভেসে ভেসে,
আমাজান কিংবা হিমালয়ের দেশে।
===

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


