somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিভিউ অফ “দি স্পিড- ডু অর ডাই”

০২ রা জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বলিউডের সুড়সুড়িমার্কা কমেডি সিনেমার ভিড়ে বিশ্বখ্যাত (!) ছায়াছবি নির্মান ইন্ডাস্ট্রি ঢালিউডের দুর্ধর্ষ বিনোদনমূলক অ্যাকশনধর্মী সামাজিক বাংলা ছায়াছবি “দি স্পিড- ডু অর ডাই”।
বেশ কিছুদিন ধরিয়া ভাবিতেছিলাম ক্লাশ শেষ হবার পুর্বে বন্ধুরা মিলিয়া একখান বাংলা সিনেমা দেখিব। এর মধ্যে আমাদের ক্লাশের এক বন্ধুর (আসলে বান্ধবী) সার্টিফিকেট পাওয়ায় সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম “দি স্পিড” দেখিব। উদ্দেশ্য একটাই, নির্মল বিনোদন।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকাল ১১ টায় গিয়ে ৮ খানা টিকেট কাটিয়া ফেলা হইল।শো শুরু ১ টা ৩০ মিনিটে। সব বন্ধুরা একত্রিত হইতে ১২ টা বাজিয়া গেল। এরপর CAPRI CORN এ সবাই মিলে লাঞ্চ করিলাম শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে। লাঞ্চ শেষ করিয়া ১ টা ২০ মিনিটে ঢুকিলাম CINEPLEX এ। ভাবিয়াছিলাম বাংলা ছবি, মানুষ হবে গুটি কয়েক। তবে হলে ঢুকিবার পর আমার সব ধারনা টুইন টাওয়ার এর মত ভাঙ্গিয়া পরিল। হল দেখি হাউজ ফুল। সবাই মিলিয়া আসন গ্রহন করিলাম আর আশেপাশে একটু চোখ বুলিয়ে নিলাম (কোনো মুরুব্বি আছে কিনা দেখে নিলাম)।
CINEPLEX এর আলো বন্ধ করিয়া শুরু হইল সিনেমা। উইমা...... শুরুর টাইটেল স্টাইল দেখে মনে হইল “দি স্পিড” না, “ধুম” ছবির বাংলা ভার্সন দেখতে আসছি। খালি মিউজিক এর যেখানে ধুম শব্দ ছিল, ঐখানে স্পিড বলিতেছে। অভিনেতা/ নেত্রীর নাম একটি একটি স্ক্রিনে ভেসে উঠিতেছিল আর সিনেপ্লেক্সএর দর্শকরা উল্লাসে ফাটিয়া পরিতেছিল। আর্টিস্টদের নাম নানা, নিনো,...... একরকম ছবি শুরুর আগেই বিনোদন শুরু।
শুরুতেই অনন্তকে দেখিলাম ধুমাইয়া জিম করিতেছে, দৌড়াইতেছে, মনে হয় কাঁদিতেওছিল । ট্রেডমিলে দৌড়ের গতি ১৬ কিমি। ভাবিলাম, ঢাকা শহরে এত জোরে গাড়িও চলেনা। জলিল ভাই থুক্কু অনন্ত হইল একজন দেশপ্রেমিক, দশপ্রেমিক, সৎ, নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ী। যে কিনা দারোয়ানের নাম রাখছে জ্যম আর বিনা ইন্টারভিউতে একজনকে দিয়ে দিল চাকরী। উনি যখন চলাফেরা করে, সামনে- পিছনে থাকে একদল অস্ত্রধারী বডিগার্ড (যদিও কারো চেহারা বা বডি সোলেমান খানের মত না)। তার পরিবার বলিতে আছে একমাত্র ভাতিজী দিঘী। সাথে আছে দিঘীকে পাহারা দেবার জন্য দুইজন সাহারা, চরি দুইজন দোপেয়ে গন্ডার। তাহাদের পোশাক দেখিয়া বুঝিতে পারিলাম এই বছর আসলেই একটু গরম বেশী পড়িয়াছে। চিন্তা করিতেছিলাম, ১৫০ টাকা খরচ করিয়া শেষ পর্যন্ত চিড়িয়াখানার গন্ডার দেখিতে আসিলাম!!!!
অনন্ত ভাই এর এন্টাগনিস্ট মানে অপনেন্ট কিবরিয়া ভাই (আলমগীর)। তিনি একজন দুর্নীতিবান ব্যবসায়ী। আর সারাক্ষন একখানা সিগারেট হাতে নাড়াচাড়া করতে থাকেন, মাঝে মাঝে গন্ধ নেন, কিন্তু ধরান না। তাহার মাথা বেজায় গরম। কারন তিনি কোন একটি science পত্রিকায় অনন্তের রুপ-গুনের কথা থুক্কু ব্যবসায়ী সফলতার কথা দেখিয়াছেন।
এরই মাঝে হইল প্রথম গান। অনন্ত ও দিঘী। চাচা ও ভাতিজী। সাথে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। তাহাদের গানের ধরন দেখে আমার এক বন্ধু জিজ্ঞাসা করিল, “দোস্ত, এটাই কি নায়িকা?” তাহারা যেভাবে দুইজন সারা জীবন একসাথে থাকার কথা গানে গানে বলিতেছিল, তাহাতে এই চিন্তা অমুলক নয়।
ছবির প্রথম একশনে দেখিলাম বিখ্যাত গুন্ডা “ডন” এক নেতার কাছ হইতে টেন্ডার তুলিয়া তাহার বসকে দিতেছে। কিন্তু কিছুক্ষন পর ঐ বসকে এমন ভাবে আসমানে তুলিয়া ২ মিনিট ধরিয়া ঘুরাইতে ঘুরাইতে ছুরিয়া ফেলিল, তাহা দেখিয়া আমার মনে হইল “আমার রুমের সিলিং ফ্যানও এত জোরে ঘুরে না”।
আলমগীর ভাই অনন্তকে মারিবার জন্য ডন ভাইকে পাঠাইলেন। ডন ভাই দেখি লাদেনের বাজুকা নিয়া আসছে অনন্তকে মারিবার জন্য। ভিলেন বাজুকা দিয়া অনন্তের সামনের এবং পিছনের গাড়ি উড়াইয়া দিল। গাড়িগুলা উড়িয়া গিয়া মনে হয় চান্দেরদেশে চলিয়া গিয়াছিল। এরই মাঝে নায়ক-ভিলেন মারামারি। অনন্তের ফিগার দেখিয়া পরিচালক মনে হয় একটু কনফিউজ হইয়া গিয়াছিলেন, তাই মারামারির মধ্যেই শুরু হইল বৃষ্টি। এতদিন বাংলা ছবিতে বৃষ্টি ভেজা গান হইত। এখন দেখি মারামারিও হয়। অনন্ত ভিলেনকে এমন মাইর দিলেন যে ভিলেন উড়িয়া আসিয়া আলমগীরের পায়ে আসিয়া পড়িল। মারামারি শেষে অনন্ত আলমগীরকে হুমকি দিয়া আসিলেন, ''নীতিবানেরা দুর্নিতীবাজেদের চ্যালেঞ্জ করেনা, থ্রেট করে!'' ......লুল...।
এরপরেই পাকিস্তানী প্লেনে করে আরেক ভিলেন এন্ড্রু ও নায়িকার অগমন। এন্ড্রু হইল আলমগীরের পার্টনার, আর নায়িকা সন্ধ্যা হইল অনন্তের ফ্যক্টরীর জিএম এর বোন।
নায়িকা এয়ারপোর্ট হইতে আসার সময় ঢাকাকে দেখিয়া বলে “এ শহর দেখে বোঝা যায়না যে এ দেশের মানুষ দারীদ্র সীমার নিচে বাস কারে”। উত্তরে নায়িকার ভাই বলিল, “ইহা এই সরকারের সফলতা”। মনে হইল সিনেমা হলের ভিতর তেলের বর্ষন শুরু হইয়া গেল।
তবে যাই হোক, ১০ বছর পর দেশে আসা সন্ধ্যা বাসায় না গিয়া গেলেন ভাইয়ের অফিসে। সেখানে চারিদিকে দেখিলেন অনন্তের পোস্টার। আর মনে শুরু হইল ঝড়। এরই মধ্যে ফ্যক্টরীতে লাগিল আগুন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এমনভাবে ফায়ার এক্সটিঙ্গুসার ব্যবহার করিতেছিল যে, দেখে মনে হইতাছিল মশা মারার ঔষধ দিতেছে। অনন্ত তাহার শ্রমিকদের বাচাইবার জন্য ঝাপাইয়া পড়িল। এক এক জন শ্রমিককে এমনভাবে চ্যাংদোলা করে বের করিয়া আনিতেছিল যে দেখে মনে হইতেছিল মানুষ না, মাদামতুসো জাদুঘর থেকে শাহরুক খানের মুর্তি বাহির করিতেছে। আর নায়িকা তাহার আইফোন বাহির করিয়া ফেসবুকে আপলোড করিবার জন্য ভিডিও করিতে লাগিল।
নায়িকা বাসায় ফিরিয়া সেই ভিডিও দেখিতে দেখিতে বেডরুমের ভিতরে প্রবেশ করিলেন, আমিও দেখিলাম, সেই বেডরুমের ভিতর আগে হইতেই অনন্তের অনেক ছবি টানাইয়া রাখা হইয়াছে। আমার ধারনা ভুল প্রমান করিয়া তাহা নায়িকার হ্যলুসিনেশন রুপে দেখানো হইলো, মাঝে একখানা গানও হইয়া গেলো! নায়িকার শরীরের বক্রময়তার সাথে অনন্ত ভুঁড়ি বাকাঁইয়া ধীরগতিতে নাচিয়া লইলেন। সিনেপ্লেক্সের দর্শকরাও প্রথম দফা নাচিয়া লইল।
বড় ভাই দেরী করে অফিস যাইতেছে দেখিয়া সন্ধ্যা বলিল, “এভাবে লেট করলে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে কিভাবে?” সংলাপ শুনিয়া মনে হইল, আগেরবারতো খালি তেলের বর্ষন হইছে, এইবার আমি তেলের সাগরে স্পিডবোট চালাবো।
এরই মাঝে সন্ধ্যা অনন্তের অফিসে একখান চাকুরী জুটাইয়া লইল এবং ঘটনাক্রমে তাহাদের বিবাহ হইয়া গেল। পরের দৃশ্যে দেখা যায় অনন্ত-সন্ধ্যা বাসর ঘরে ঢুকিতেছে। আর সিনেমা হলে পিনপতন নিরবতা, কারন সবাই জানে এখন কিছু একটা ঘটিতে যাইতেছে। সবাই যখন কিছু দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনিতেছিল, তখনি দেখা গেল বাসর ঘরে আম্পায়ার হিসেবে দিঘী ঘুমিয়ে আছে। অনন্ত তাহার বউকে বলিল তাহার ভাতিজী তাহাদের সাথেই থাকিবে। তবে দিঘী এত বোকা না। সে দুইজনকে সবুজ কার্ড দেখাইয়া অন্য ঘরে চলিয়া গেল। এইবার সবাই ভাবলাম কিছু একটা হইবে। কিন্তু কিছু হইবার আগেই নায়িকা পায়ে ব্যাথা পাইল। এ যেন খেলা শুরুর আগেই খেলোয়ার ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত। তবে নায়িকা কয়েক সেকেন্ডে ঠিক হইয়া গেল। শুরু হইল লুকোচুরী, ছোঁয়াছুয়ী খেলা এবং শেষে কাবাডি খেলা। অতঃপর কি হইল, না বলাই ভাল। খালি ভাবিলাম, এত গরমে কম্বলের নিচে ঢোকার কি দরকার ছিল। যাই হোক, সিনেপ্লেক্সে করতালির বন্যা বয়ে গেল।
তিনজন মিলিয়া কক্সবাজার গেল হানিমুনে। ত্রৈমুখিক পারিবারিক সঙ্গিতের এক পর্যায়ে আলমগীরের লোকেরা তাহাদের আক্রমন করে। গুন্ডারা যেভাবে বালির ভিতর হইতে বাহির হইল তাহা দেখিয়া আমি বেপুক ভুই পাইলাম। নেক্সট টাইম কক্সবাজার গেলে সাথে একখানা মাইন সুইপার নিমু। যাইহোক, তীব্র গোলাগুলি চলিতেছে। নায়কও মুরালির স্পিন বলের মত পল্টি খাইতেছে। নায়ক একখানা গ্রেনেড এমন ভাবে ক্যাচ ধরিলেন যে, আইপিএলে ইহা নিশ্চিত কার্বন কামাল ক্যাচ হইত। এযেন সাগরে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেয়ার মত বিপদ। গুন্ডাগুলো যখন গুলি করিতেছিল, তখন তাহাদের হাতের কাপুনি দেখিয়া ভাবিলাম, উনাদের মনে হয় ট্রেমর আছে। ফলাফল ক্রসফায়ারে দিঘীর মৃত্যু। আর হবেই না কেন, গুলি লাগছে কক্সবাজারে, আর ভর্তি করছে ঢাকার হাসপাতালে।
এতক্ষন সব হইছে বাংলাদেশে। মানে হোম ম্যাচ। এইবার এওয়ে ম্যাচ খেলিবার জন্য অনন্ত- সন্ধ্যা গেল মালয়শিয়ায়। পিছে পিছে গেল কিবরিয়া আর এন্ড্রু। সেইখানেও আবার গান। তবে এইবারেরটা ভাল ছিল। হাবিবের গান + সুন্দর চিত্রায়ন। কিন্তু গান শেষ হইতে দেরী হইলেও ভিলেনের আক্রমনের দেরী নাই। কিবরিয়া অনন্তের বুকের বাম দিকে গুলি করিয়া নায়িকাকে তুলিয়া লইয়া গেলেন। একদিকে আলমগীর বারে নাচিতেছে, আরেকদিকে নায়কের বুকে অস্ত্রপাচার চলতেছে। যখনি আলমগীরকে বারে দেখানো হয়, তখনি সিনেপ্লেক্সে আলমগীর আলমগীর বলিয়া চিৎকার হইতে থাকে। ঠিক যেমনটি হয় স্টেডিয়ামে সাকিব যখন ছক্কা পিটায়, তখনকার মত। অবশেষে ডাক্তাররা কামানের সেলের সমান একখানা গুলি বাহির করিলেন। ভিলেন এন্ড্রু অনন্তকে হাসপাতালে একটি সিডি আর একটি ঘড়ি পাঠায়। অনন্ত নার্সকে সিডিটা দেয় চালানোর জন্য। ইহা দেখিয়া আমার এক বন্ধু চিৎকার করিয়া বলিয়া ওঠে, “নিউমার্কেটের সিডি হাসপাতালে চালাইস না, বাসায় গিয়ে চালাইস”। পরে দেখিলাম সিডিতে করে ভিলেনরা লাদেনের মত ভিডিও ক্লিপ পাঠাইছে।ভিডিওতে বলা হইছে পারভীনকে দুরে কোথাও একখানা গ্যাস চেম্বারে আটক করিয়া রাখা হইয়াছে।হাতে সময় পাঁচ দিন,পাঁচ ভিলেনের রেটিনা স্ক্যান করিয়া তাহাকে ঐ চেম্বারের পাসওয়ার্ড খুলিতে হইবে। অন্যথায় অক্সিজেন কমিবে, বাড়িবে কার্বনডাইঅক্সাইড, বিপন্ন হইবে নায়িকার জীবন। পুরাই সাইন্টিফিক ভিলেন।
অনন্ত ঐ ঘড়িখানা বুকে জড়াইয়া একখান দুঃখের গান গাইলেন। গান শেষ হইতেই হাজির রাশিয়ান নায়িকা ক্রিস্টিনা। ইহা সিনেপ্লেক্সের দর্শকদের জন্য ছিল “মেঘ না চাইতেই তুফান” এর সমান। তাহাকে নিয়া অনন্ত পিস্তল কিনিলো (যদিও গুলি কিনেছিল কিনা, তা দেখিনাই), গাইলো আইটেম সং, করিলো মারামারি। একে একে চার ভিলেনকে মারিল ও তাহাদের আই কন্টাক্ট (রেটিনা স্ক্যান ) লইল। ঘটনাক্রমে অনন্তের আবারো গুলি লাগিল, আর নায়িকা তাহাকে সেবা করিয়া বাচাইয়া তুলিল। কিন্তু বিধিবাম, পরবর্তি মারামারিতে ক্রিস্টিনাও গুন্ডাদের হাতে মারা গেল। তবে কি কারনে মারা গেল, বুঝিতে পারিনাই। খালি দেখিলাম কিস্টিনা, থুক্কু ক্রিস্টিনা একখানা ঝোপের ভিতর হইতে বাহির হইয়া আসিল এবং পটল তুলিল।
পরের দৃশ্য কি হইছিল তা বলিতে পারিবনা, খালি এটুকু বলি, অনন্ত লজ্জা না পাইলেও সিনেপ্লেক্সের সবাই লজ্জা পাইয়াছিল।
সব ভিলেনের রেটিনা স্ক্যান শেষ করিয়া অনন্ত এইবার আলমগীরের সামনে আসিয়াছেন। আলমগীর সারা ছবিতে যে সিগারেটের গন্ধ লইয়াছে, সেইটা এইবার ধরাইলান। এবং অনন্তকে মারিবার সুযোগ না দিয়া নিজেই আত্মহত্যা করিলেন। অনন্ত আলমগীরের রেটিনা স্ক্যান করিতে গিয়া দেখে মরা মানুষের চক্ষু খোলেনা। চোখ খোলার জন্য তাহার সে কি সংগ্রাম। ঠিক যেরকম শাহাদাত হোসেন এক রান করিবার জন্য সংগ্রাম করে। দেখে মনে হইতেছিল ফেসিয়াল নার্ভ টেস্ট করিতেছে।
অনন্ত ব্যর্থ হইল। কোনো উপায়ে সে গ্যস চেম্বার খুলিতে পারিলনা। পরিশেষে তার গলায় থাকা তাবিজ খানা ধরিল । আর চেম্বারের কাঁচ ভাঙ্গিয়া পড়িল। দেখে মনে হইল হরতালে গাড়ির গ্লাস ভাঙল। বাচ্চাকালে বিটিভিতে দেখা আলিফ-লায়লার কথা মনে পড়িয়া গেল।
ছবির শেষ দৃশ্যে মালয়শিয়ার আদালত অনন্তকে পুরস্কৃত করিল ভিলেনদের মারিবার জন্য।

ছবি শেষ হইয়া গেল। কিন্তু ছবির নাম দি স্পিড কেন হইল বুঝিতে পারিলামনা। যাই হোক, আড়াই ঘন্টা নির্মল বিনুদুন পাইয়া সিনেপ্লেক্স থেকে বেড়িয়ে আসলাম। ইসসসটপ , কিসসসটিনা', আই কোনটাক, ও মাই গোট ...পারফেক্ট বিনোদন! জীবনে কোন ছবি দেখিয়া এত হাসি নাই।
ঘটনা এখোনো শেষ হয় নাই। ছবি দেখার সময় ভাবিয়াছিলাম নায়িকা সন্ধ্যা বাংলাদেশী আর ক্রিস্টিনা মালয়শিয়ান। পরে বাসায় এসে জানিতে পারিলাম নায়িকা সন্ধ্যা আসলে মালয়শিয়ান আর ক্রিস্টিনা রাশিয়ান!!! যাইহোক, এখন অপেক্ষার পালা জলিল ভাই এর পরবর্তি ছবি মোস্ট ওয়েলকাম আর খোঁজ- THE SEARCH 2 এর জন্য।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×