এর মধ্যে হঠাৎ অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষক সংকট চলায় তাঁকে মাইগ্রেট করে এই বিভাগে আসার সুযোগ দেয়া হলো। এবার অবশ্য তাঁকে কিছু কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছিল। ছাত্রজীবনে রাজনীতি সংস্পর্শে থাকায় এই বাধায় খানিকটা কষ্টে পার হওয়া গেল। এবার শাহদাতকে পায় কে? সে এখন অর্থনীতির শিক্ষক! যেই ডিপার্টমেন্টে হার্ভার্ড, এম.আই.টির পিএইচ.ডিধারীরা পড়ায় সে এখন তাঁদের মতোই এখন শিক্ষক! কোপা শামসু। অতএব শামসু এখন কোপাতে শুরু করবে। ছাত্ররা তাকে চিনে না। কতিপয় ছাত্র তাঁকে বড় ভাই হিসেবে চিনে। শাহাদাতের সাথে প্রথম পরিচয় হয় পরীক্ষাচলাকালে। শাহাদাতকে দেখা যায় বিনা কারণে ছাত্র ছাত্রীদের খাতা নিয়ে যেতে, ধমক ধামক দিতে। আচোদা পোলাপানদের নিয়ে শাহাদাতের একটি বিরাজনৈতিক চামচা বাহিনী গড়ে ওঠে। নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হতেই দেখা যায় শাহাদাতের কোয়ালিটি কেমন। শাহদাত ক্লাসে এমন কিছু বই রিকমেন্ড করে যা আজকাল পৃথিবীর কোথাও পড়ানো হয় না। লেকচার দেয়ার সময় এমনসব বিষয় পড়ানো হয় যা ‘ইন ডিটেল্স’ আগেই পড়ানো হয়েছে। শাহাদাতের লেকচার শুনে কেউ বিরক্তিতে ঘুমিয়ে পড়লেই বিপদ! কারণ শাহদাত তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেন, আবার ক্লাসে দাঁড় করিয়েও রাখেন। ভার্সিটি লাইফে ছাত্ররা এমন অদ্ভুত শাস্তি আগে পায়নি। এধরণের শাস্তি প্রাইমারি স্কুলেও দেয়া হয় কিনা সন্দেহ। শাহদাতের আচোদা বাহিনী ছাড়াও আরো কিছু বোকচোদ পোলাপান তার সাপোর্টে নাচানাচি শুরু করে, কারণ শাহদাতের মুখস্থবিদ্যার রেসিপি এদের জন্যও প্রযোজ্য। এতে করে দেখা যায় শাহাদাতের ছাত্র নতুন কিছুই শিখছে না। সেমিস্টার সিস্টেম-এর সাথে শাহাদাতের মতো আবালের তাল মিলিয়ে চলা কঠিন। শাহাদাতের অন্য সব কোর্সের মতোই একটি মিডটার্ম, একটি ইঙ্কোর্স, একটি এ্যাসাইনমেন্ট নেয়ার কথা। শাহদাত আগের বছরের প্রশ্ন প্রায় হুবহু ছাপিয়ে ২টি পরীক্ষাই নেয়। এসাইন্মেন্ট দেয় কপি পেস্ট মার্কা। যাই হোক তার ছাত্রদের মধ্যে তেমন অসন্তোষ চেপে রাখলেও, রেজাল্ট বেরুনোর পর তা খানিক্টা প্রকাশিত হয়। রেজাল্টে দেখা যায়, যারা আগের সেমিস্টারে ভালো করেছিল তাদের ২/৩ জনকে a+ মার্কিং করে বাকিদের গড় নম্বর ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। দু’একজন যারা পরীক্ষায় এটেন্ড করেনি তারাও গড় মার্ক পেয়ে গেছে! মোদ্দা কথা হলো শাহাদাত কারো খাতাই পড়ে দেখেনি। ছাত্ররা কেউ খাতা দেখতে চাইলে তাদের নানারকম হুমকি ধামকি দিয়ে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। কেউ খাতা দেখে যদি নম্বর বাড়ানোর যুক্তি না দেখাতে পারে তবে আরো ৫ মার্ক্স কেটে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। খিস্তি খেউড় শাহদাতের সাথে খাতার নম্বর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নানা ধরণের গ্রাম্য-অকথ্য গালিগালাজের সাথে পরিচিত হতে হয়েছে।
শাহদাতের বিচরণ শিক্ষা-গবেষণা ইন্সটিটিউটেও, সেখানে সে জোর দাপটে ক্লাস নেয়। তার পড়া ছাত্ররা কিছুই বোঝে না। অন্যদিকে উন্নয়ন অধ্যয়নের একটা কোর্স তার হাতছাড়া হয়ে যাওয়াতে অমুক বিভাগের ছাত্ররা প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



