খুব অল্পদিনেই রাজনীতিতে ভালো অবস্থান করে নিয়েছে। ২য় ব্যচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনীতিতে বলাচলে ওর অবস্থানই সেরা।
একবার আমাকে জবি ছাত্রলীগের তখনকার অহ্বায়কের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলল ”ভাই পরবর্তী নির্বাচনে হাসানকে সোসাইটির সাধারন সম্পাদক বানাইতে হইব। ও খুব ভালো কাজ করে।”
ছেলেটি খুব সাংগঠনিকও ছিল। তাই বড় ভাইরা ওকে গুরুত্বও বেশি দিত।
এখন ওর পরিচয় বিশ্বজিত হত্যামামলার যাবতজীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি। একসাথে ক্যম্পাসে কাজ করতাম তাই একটু খারাপ লাগছে। তবে ভালো লাগছে যে, জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীদের এই ঘটনাটি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যা বাইশ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রম্নবিদ্ধ করেছে।
যানিনা কিসের লোভে, কোন মানসিকাতা নিয়ে এ ধরনের নিন্দনীয় এবটি ঘটনা ঘটিয়েছে।
ইতোমধ্যে অনেকেই এই রায়ের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন। অনেকেই রাজনৈতিক সার্থে নিজের মত ব্যখ্যা দিচ্ছেন। অনেকের মনে হতে পারে একজন অষ্টমশ্রেনীপাস বিশ্বজিতের জন্য কেন ২১ জন স্মাতক শিক্ষার্থীর জীবন তছনছ হয়েগেল। উত্তর একটাই শিক্ষিত খুনির চেয়ে অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত দর্জিই উত্তম।
তরুনরা দেশের প্রানশক্তি কিন্তু সেই তরুনের কোন প্রয়োজন নেই যাকে রাস্ট্র শিক্ষিত করবে বিনিময়ে সে খুন করবে। তার কোন প্রয়োজন নেই যে শিক্ষা লাভ করে দুর্নিতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজি করবে।
কেউ আবার বলছেন শত শত মানুষ চোখের সামনে মারাযাচ্ছে তার কোন বিচারতো দুরের কথা আসামিকেই চিহ্নিত করতে পারছেনা। অথচ একজনকে খুনের দায়ে ২১ জনের ফাঁসি ও জেল। আমি যাদি ভুল করে না থাকি উত্তর হচ্ছে বিশ্বজিত হত্যার ভিডিও ফুটেজের মত এরকম সরাররি প্রমানপত্র অন্যকোন খুনের ক্ষেত্রে পাওয়া সম্ভব হয়নি। পেলে অবশ্যই তার বিচার হবে।
যেমনটি ঘটেছিলো কিছুদিন আগে মার্জেটের সিসি ক্যামেরায় ধরা পাড় খুনি। পরদিনই তাকে গ্রেফ্তার করা হয়েছে। পরে সে ক্রসফায়ারে মারা যায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



