শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ন ৫টি বছর পুরান ঢাকার বিভিন্ন মেসে কাটিয়েছি। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অনেকগুলো খারাপ অভিজ্ঞতা আছে।সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে সমস্যা থেকে উত্তরনের দায়িত্ব নিতে হবে নিজেকেও।তাই সবার সাথে কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
পহেলা বৈশাখ ১৪২১।নববর্ষের উপভোগ্য একটি আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিনটিকে উৎযাপন করছিলাম। অংশগ্রহন করলাম পুরান ঢাকায় প্রথমবারেরমত আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রায়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করার পর দুপুরে মেসে এসে বাসার নিচে বৈশাখ উৎযাপনের ধরন দেখে সকল আনন্দ কষ্টে পরিনত হল।পিকআপ এ বড় বড় সাউন্ডবক্স দিয়ে হিন্দি ইংরেজি গানের সাথে নাচানাচি। যা চলে রাত ১১:৩০টা পর্য্যন্ত।
ইংরেজি নববর্ষ, ভালোবাসা দিবস, পহেলা বৈশাখ এসব দিবসে হিন্দী, ইংরেজি গান ও নাচ পুরান ঢাকার নিয়মিত বিনোদন। এছাড়া সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে, জন্মদিন পালন ইত্যাদিতো আছেই।
পুরান ঢাকায় বেকারত্ব অনেক বেশি অন্যভাবে বলাযায় এখানকার মানুয়ের অবসর সময় বেশি। এই অবসর সময়টাকে যাদি সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চায় মনোনিবেশ করা যায় তাহলে সময়গুলো হয়ে উঠবে অনেক অনন্দের সুখের ও মধুর। যাতে উপকৃত হবে ব্যক্তি, সমাজ, ও দেশ। অসুন সবাইমেলে উদ্যোগনিয়ে কিছু একটা করি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এবারই প্রথম পুরান ঢাকার ৪০টি সংগঠনকে নিয়ে অনেক বড় আকারে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে। আশাকরি আগামীদিনগুলোতে আলো বড় বড় আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। যার মাধ্যমে পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আরো বিকশিত হবে।
পুরন ঢাকায় প্রায়ই জোরালো শব্দে ওয়াজ মাহফিল এর আয়োজন করা হয়। সেখানে এতটাই জোরালো শব্দ ব্যবহার করা হয় যে বেশিরভাগ সময়ই তা শব্দ দূষনের পয্যায়ে চলে যায় ।
কোন অসুবিধা নেই কারন দেখে মনে হতে পারে ধর্মীয় চর্চা অনেক ভালো।কিন্তু পরদিনই আবার পার্শবর্তী কোন বাড়ির ছাদে জোরালো শব্দে হিন্দি ইংলিশ গানের শব্দ শোনা যায়। সারারাত চলতে থাকে গান বাজনা। সবাই অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ায় কোন ধরনের কোন ধরনের বাধা আসে না।কিন্তু আমরা যারা পুরান ঢাকার বাসিন্দা নই তাদের অনেক বেশি দুভোগ পোহাতে হয়।পড়াশোনা, ব্যবসা বা জীবিকার তাগিদে পুরান ঢাকায় থাকি।কিন্তু আমাদের সামাজিক অধিকার কি ক্ষুন্ন হচ্ছেনা?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



