somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কৃষক-কিষাণীর রোজনামচার আপডেট

২৩ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কৃষকের সাথে অনেক বছর পর যখন কথা হল, সে সূত্রে অন্য পুরোনো বন্ধুদের খোঁজ খবর ও পাওয়া গিয়েছিল। সেসব বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ হল, একসময় গত ঈদে আমরা একটা আড্ডাও দিয়ে ফেললাম। কৃষককে বলেছিলাম তুমি দেশে এলে আমরা আরেকটা গেট টুগেদার করবো, এখন তো অনেক গুলো বন্ধুর খোঁজ জানি, সবাইকে ডাকবো। কৃষক আমার আগ্রহ এবং আনন্দে একদম ঠান্ডা বরফ পানি ঢেলে দিয়ে জানালো..... "কোন দরকার নেই, আমি এখন পুরাপুরি ভার্চুয়াল, বাস্তব জগতে আমাকে আর পাওয়া যাবে না। তোমার গেট টুগেদার তুমিই করো।"

মেজাজ চরম গরম হলেও কিছু বলি নাই। যা খুশি করুক, তার ভার্চুয়াল থাকতে ভাল লাগলে আমার কি! আবার ঠিকই খবর নিবে কেমন আড্ডা হল, কে কোথায় কেমন আছে, কার বাচ্চা কাচ্চা কয়টা ইত্যাদি ইত্যাদি।

এর মধ্যে আমি বেশ ব্যস্তই আছি বলা চলে। তারপরও এক বৈদেশ ফেরত বন্ধুর উছিলায় আমরা আবার একখানা জটলা করার সুযোগ পেলাম। আগে ভাগে কৃষককে জানালামও সে কথা। আড্ডার দিন পুরোনো বন্ধুরা সব পুরোনো দিনের গল্প করছে......... ভার্সিটি লাইফের ফাঁকিবাজির কথা শুনতে যেয়ে হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে আসছিল, এত সাধের কাজল গেল মুছে। যাক গে কাজল, এত মজার সময় তো আর পাওয়া যাবে না। আমার ভার্সিটির গল্প বলতে গেলে তো অবধারিত ভাবে কৃষক এর কথা চলে আসে........আমি বলছিলাম আমার ফাঁকিবাজির গুরু হল কৃষক, আমরা কি কি ফাঁকি দিতাম......। (অবশ্য সেদিন কৃষক মেসেন্জারে বলছিল সে নাকি সারাজীবন আমার বুদ্ধিতে চলতো, আমার অবাক হওয়া ছাড়া আর কি করার আছে!) আমাদের বন্ধুরা ১২-১৪ বছর পর দেখা, আমাদের সম্পর্কের ভাঙ্গনের পর এই প্রথম কৃষকের নাম আমার মুখে ওরা শুনলো, অথবা নিজেরাও বলল; ওরা হয়তো একটু অবাক ই হল।

আড্ডা চলার সময় কৃষককে এসএমএস করেছিলাম, কোন মুল্লুকে ছিল কে জানে, কোন রেসপন্স নাই। খাওয়া দাওয়ার পর সবাইকে আমাদের (কৃষক-কিষানীর) পুনরায় যোগাযোগের গল্পটা বললাম। সবাই অতীব আগ্রহের সাথে, পিনপতন নিরবতার মধ্য দিয়ে ঘটনা টা শুনলো। একবার মনে হচ্ছিল ব্লগে লেখা আমাদের মহাকাব্যটার কথাও বলে দিই। পরে ভাবলাম এটা তো আমার একার সম্পত্তি নয়, কৃষকের অনুমতি ছাড়া এটা কাউকে বলা ঠিক হবে না।

ফিরে এসে ছবিগুলো পিসি তে নেয়ার সময় দেখি কৃষক অনলাইনে আছে। তার সাথে আড্ডার গল্প এবং ছবিগুলো শেয়ার করলাম। সে দেখি কাউকেই চিনতে পারে না। বলে কোনটা কে বলে দাও। আমাকে বলল, আমি নাকি মটু হয়ে গেছি। আবার বলে লম্বা চুলগুলা কেটে ফেললাম কেন? আমি বলি সব সময় এক ফ্যাশন ভালো লাগে না, মাঝে মাঝে চেইন্জ করতে হয়। আমি বললাম সবাইকে অনেক কথা বলে দিয়েছি তবে ব্লগের কথা বলি নাই। আমাকে ফোড়ন কাটলো, আমি ভয় পেয়েছি কিনা। এই অপবাদের উচিৎ জবাব কিভাবে দেয়া যায় তাই ভাবছি।

এরপর দিন কৃষক নাকি স্বপ্ন দেখেছে, কক্সবাজার সমূদ্র সৈকতে সে আমার সাথে ঘুরতে গেছে। এইটা বলার জন্য ফোন পর্যন্ত করলো;)। আমি বলি ঘুরতে গেলা আর কি করলা? বলে সেইটা বলা যাবে না। (লজ্জায় লাল হবার ইমো হবে)।

(অনেক দিন কোন পোস্ট দেয়া হয় না..........তাই কৃষক-কিষাণীর জীবন যাপনের একটু আপডেট দিলাম...........কিষাণী)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:০৩
১৪টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×