সামজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে বিশ্বব্যাপী এক বৈপস্নবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে ফেসবুক। দেশ, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, ছোট-বড় - সকল বয়সের মানুষই ব্যবহার করে ফেসবুক নামের এই আধুনিক প্লাটফর্ম। আর ক্রমেই বাড়ছে ফেসবুকের ব্যবহার। এখন ফেসবুক কেবল বন্ধুদের মধ্যে যোগাযোগের একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি ব্যবহূত হচ্ছে নানামুখী মত বিনিময় আর জনসংযোগের কাজেও। সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘটনায় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নানামুখী তৎপরতা তারই প্রমাণ দেয়। পাশাপাশি বিনোদনের ক্ষেত্রেও ফেসবুক এগিয়ে রয়েছে অনেকখানি। ফটোশেয়ারিং এ ফেসবুক ইতোমধ্যেই যোজন যোজন দূরত্ব এগিয়ে গেছে বিশেষায়িত ফটোশেয়ারিং সাইট থেকেও। ভিডিও শেয়ারিং এর ক্ষেত্রেও ফেসবুক রয়েছে প্রথম দিকেই। বাকী ছিলো চলচ্চিত্র। সেই অভাবও পূরণ করতে যাচ্ছে হলিউডোর প্রথম সারির চলচ্চিত্র প্রযোজনা পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্স। প্রথমবারের মতো তারা ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে চলচ্চিত্রকে। প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে তারা ফেসবুকে দিচ্ছে 'দ্যা ডার্ক নাইট' চলচ্চিত্রটি। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এখন থেকে ফেসবুকেই দেখতে পারবেন এই চলচিত্র। তবে তার জন্য তাদের প্রদান করতে হবে ফেসবুকের ভার্চুয়াল কারেন্সি 'ক্রেডিট'। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের এই উদ্যোগের ফলে ফেসবুক নিঃসন্দেহে নেটফ্লিক্স বা আইটিউনসের মতো চলচ্চিত্র দেখার সাইটের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি ফেসবুকের ভার্চুয়াল কারেন্সি ক্রেডিটের ব্যবহার পেপাল বা অন্যান্য অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গেও প্রতিযোগিতায় নামতে পারবে। প্রথমবারের মতো একটি চলচ্চিত্র ফেসবুকে দেয়ার পাশাপাশি ওয়ার্নার ব্রাদার্স আশা করছে তারা সময়ের সাথে সাথে ফেসবুকের জন্য আরও চলচ্চিত্র প্রদান করবে যদি প্রথমবারের এই উদ্যোগ সকলের মাঝে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশনের প্রেসিডেন্ট থমাস গিউক এক সাক্ষাৎকারে জানান, 'এটা নিশ্চিতভাবেই পরীক্ষামূলক একটি উদ্যোগ। এ উদ্যোগে কেমন সাড়া পাওয়া যায়, তার উপরেই নির্ভর করবে আমরা একে চালু রাখবো কি না।' অলনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম এর প্রভাব সম্পর্কে ট্রায়ালপে'র চিফ এক্সিকিউটিভ জানান, 'এটা বেশ ভালো একটি উদ্যোগ এবং ফেসবুক ক্রেডিট ব্যবহারের মাধ্যমে চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পাওয়াটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত যৌক্তিক।' উল্লেখ্য ট্রায়ালপে তাদের বিভিন্ন পণ্যের জন্য গাহকদের ফেসবুক ক্রেডিট প্রদান করে থাকে। ফেসবুক তাদের এই ভার্চুয়াল কারেন্সি ব্যবহার করে আসছে প্রায় ২ বছর ধরে ভার্চুয়াল গেমের ক্ষেত্রে। তবে এখন তারা তাদের এবং সব ধরনের অনলাইন ডিজিটাল পণ্যের জন্যই এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়। এর জন্য ইতোমধ্যে তারা ওয়াল-মার্ট, টার্গেট বা বেস্ট-বাই এর মতো বড় বড় চেইন শপের জন্য প্রিপেইড গিফট কার্ডের ব্যবস্থাও করেছে। এর ধারাবাহিকতাতেই ফেসবুকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র সংযোজন। কে জানে, ভবিষ্যতে হয়ত ফেসবুক কারেন্সিই হয়ে উঠবে অনলাইন কেনাকাটার অন্যতম প্রধান মুদ্রা।
source

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



