সাত সকালে ঘুম ভেংগে যায় পাগল পাগল লাগে
দিনের শতেক জ্বালার ছবি মনের ভেতর জাগে।
টয়লেটে যাই ফ্রেশ হবো তাই পানি না পাই কলে
মুঠোফোনে বাড়িওয়ালা কারণ জানায়, বলে
"বিদ্যুত নাই রাত থেকে তাই মটর চলা বন্ধ
বুঝতো যে কেউ আপনি ছাড়া চোখ থাকিতেও অন্ধ
গালাগালি হজম করি টু শব্দও নাই
ব্যচেলরের বাড়ি পাওয়া বড্ড কঠিন, তাই।
পয়সা দিয়ে পানি কিনি মাম কিংবা ফ্রেশ
ব্রাস করতে, মুখ ধুইতে দুটা বোতল শেষ
রেডি হয়ে জুতা পড়ে পথে যখন নামি
ট্যাক্সিওয়ালা রিক্সাপুলার সবাই তখন দামী।
কষ্টে ভীষণ করাই রাজী কবুল ডবল ভাড়া
তারপরেতেও বখশিস চাই, নইলে 'হতচ্ছাড়া'
বসের মুখে হাসি দেখার কপাল আমার নাই
সকাল সকাল ডেস্কে বসার আগেই ঝাড়ি খাই
কাজ করি নাক-মুখ বুলে তাওযায় না দেখা শেষ
কামলার কাজ, কেরানীগিরি 'কর্পোরেট জব',বেশ
দশ মিনিটে লান্চটা সেরে ফের অফিসে এসে
ঢুকবো নেটে ইচ্ছা ছিলো, তাও হলোনা শেষে
কাজ হয়না ফান হয়না কোথায় বলো যাই
ঝিমাই আমি, ঝিমায় অফিস কারেন্ট এখন নাই
সন্ধ্যা পরে সূর্য ডুবে ক্লান্ত শরীর নিয়ে
রাতের খাওয়া সেরে ফেলি লোকাল হোটেল গিয়ে।
বাসায় যেয়ে শান্তি তো নাই কারণ ভীষন গরম
লোডশেডিং এর ডিস্টার্ব টাও চলছে এখন চরম।
দুই ঘন্টা থাকবেনা সে এটা এখন ফিকস
থাকার বেলায় আধঘন্টা পনেরো মিনিট মিকস
ঘামতে থাকি ঘুম আসেনা দুটি চোখের কোনে
নরক কি ছাই এর চেয়ে টাফ? প্রশ্ন জাগে মনে
অঘুমো রাত এপাশ ওপাশ জোর করে চোখ বুজি
হাজার রকম দুঃখ ভুলে শান্তিটারে খঁুজি।
রাত হলে ভোর সেইতো একই স্ক্রিপ্ট মোর ঠিক
দিন কেটে যায়, মাস গুজরায় আধার চতুর্দিক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



