আমার কিছু গেস্ট আসবেন সোহাগ ভলবো বাসে করে মালিবাগে । আমার দায়িত্ব পড়লো তাদেরকে মালিবাগ থেকে উত্তরায় নিয়ে আসার জন্য । আর সেজন্য একটা NOAH ভাড়া করলাম । সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে গাড়ি নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য রওনা দিলাম । এয়ারপোর্টে সার্জেন্ট গাড়ী আটকালো । সব কাগজ দেখে ড্রাইভারকে বললো গাড়ি রিকুইজিশন করা হলো । ড্রাইভার তো হতবাক । আমি নেমে বললাম, আমার যাত্রী আসবে । তাদের সাথে অনেক ব্যাগ-লাগেজ আছে এবং শিশু আছে । সার্জেন্ট আমাকে অভয় দিয়ে বললো রাজারবাগ পুলিশলাইনে গেলে আধাঘন্টায় কাগজ করে ছেড়ে দিবে গাড়ি । রিকুইজিশন আজকে না । কাল থেকে ৭২ঘন্টা । আমাদের সাথে একটা ট্রাফিক পুলিশ দিল । ঐ ট্রাফিক পুলিশও বললো সর্বোচ্চ আধাঘন্টার কাজ । গেলাম পুলিশ হেডকোয়ার্টারে । ঐ ট্রাফিক পুলিশ আমাদেরকে সমজিয়ে দিয়ে গায়েব । গাড়ি রিকুইজিশন করা হলো । আমি সবকিছু খুলে বলেও লাভ হলো না । আমাকে চলে যেতে বললো । আর গাড়ি রেখে দিল । আমি রাজারবাগ থেকে একটা রিকসা নিয়ে ছুটলাম মালিবাগে যাওয়ার জন্য । কারণ ইতিমধ্যে আমার গেষ্টরা অপেক্ষা করছেন । হোসাফ টাওয়ারের কাছে এসে ভিড় দেখে রিকসা ছেড়ে দিলাম । দৌড়াতে দৌড়াতে গেলাম মালিবাগ । তারপর দুইটা ট্যাক্সিক্যাবে করে নিয়ে আসলাম ।
আমার কথা হলো রিকুইজিশন করো ঠিক আছে । কিন্তু আমাদের মত সাধারণ পাবলিককে হয়রানি করে কেন ? আমাকে এয়ারপোর্টে যদি বলা তো আপনি নতুন আরেকটা গাড়ি নিয়ে যান । তাহলে তো আমাকে এতো হয়রানির শিকার হতে হতো না । পুলিশ নাকি জনগনের বন্ধু । তার হাতেনাতে প্রমাণ পেলাম । তবে বেশি খারাপ লাগছে গাড়ির ড্রাইভারটার জন্য । তিনদিন ওর ঘরে হয়তো বা বাজার হবে না । রিকুইজিশন করা হলে কেবল তেল/গ্যাসের টাকা দেয়া হয় । নিজের পকেটের টাকা খরচ করে তিনবেলা খেতে হয় ওদের । আর এই তিনদিন ওদের কোন রুজি নেই । আমি সেদিন দৌড়াইছি এবং পুলিশকে অনবরত গালি দিয়েছি । আপনারাও দিতে পারেন । কোন সমস্যা নেই । এগুলো গালি খাওয়ার মত পাবলিক ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৩৩