somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুড়োদেরকে নিয়ে বালিশ নিক্ষেপ খেলা ঠগবাজ কিশোরী ছুড়িগণ

০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার পূর্ববর্তী পোষ্টে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছিলাম। সময়ের প্রয়োজনে সেম টপিকের ওপরে আবারও আপনাদেরকে স্বরণ করিয়ে দিতে এলাম। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় বুড়োবয়সে ভীমরতিপ্রাপ্তরা কিভাবে অন্যদের ঠগবাজীর শিকার হন।

ঘটনা -১:
ষাটোর্ধ জামিল সাহেবের অফিসে নতুন সেক্রেটারী হয়ে এসেছেন সালেহা মমতাজ। জামিল সাহেব যুবক বয়সে প্রচুর খেটেছেন। নারীসংগের তৃপ্তি যাকে বলে, তা পাওয়ার মত সময় তিনি কখনোই ম্যানেজ করতে পারেন নি। স্ত্রীর সংগে রুটিন বাঁধা চড়ুই পাখির মেলামেশার বাইরে তার সারা সময় জুড়ে ছিলো শুধু কাজ আর কাজ। প্রৌঢ় জামিল সাহেব এখন একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ। কিন্তু বয়স বসে থাকে নি, বয়স বসে না থাকলেও তার সেই কামনা-বাসনা এই বয়সেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আগের পোষ্টে যেটা বলেছি, এই ভীমরতি যতোটা না দেহের ক্ষুধা, তারচেয়েও বেশি মনের ক্ষুধা। সালেহা মাত্র কৌশোর পার করলেই হিসেবি মেয়ে। পুরুষ মানুষকে সে রগে রগে চেনে। জামিল সাহেবকে অফেস ঢোকার প্রথম দিন থেকেই সে এক্সপ্লয়েট করে চলেছে। এই বয়সে জামিল সাহেব তেমন কিছুই পান না; কিন্তু চোখের ক্ষুধার খেসারত তাকে দিতে হয় সারাজীবন হাড় ভাঙগা খাটুনি খেটে উপার্জিত পয়সায় দেদারসে উপহার কিনে দিয়ে। এখানেই শেষ নয়। একান্ত করে পাবার আশায় সালেহাকে তিনি আলাদা ফ্লাট কিনে দেন। সালেহা সুযোগ বুঝে তাকে কাঁচকলা দেখিয়ে চাকরীতে ইস্তফা দেয়।

ঘটনা ২:
আসাদ সাহেব অতোটা বয়স্ক নন। সামনের জুন মাসে ৫২ পূর্ণ হবে। এখনও ২৫ বছরের যুবকের ন্যায় দেহে ও মনে সবল। রাজউকের একটি অফিসে মোটামুটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রেম করে সহপাঠিনীকে বিয়ে করেছিলেন। ৫২ বছর বয়স্কা স্ত্রী আছিয়া চৌধুরী দৈহিক মিলনাকাংখা অনেক আগেভাগেই হারিয়ে বসেছেন। শারিরীকভাবেই মেয়েদের যৌবন আগে আসে, আগে যায়। আসাদ সাহেব বিপাকে পড়েছেন। ছেলেমেয়েদের সামনে তাকে মুখ বুজে থাকতে হয়; কিন্তু চাহিদা তো মিটে না। একবার তার অফিসে কাজ করা বিথীর সাথে পরিচয় হয়। বিথী কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে থাকে। আসাদ সাহেব অফিস ট্যুরের কথা বলে বিথীকে নিয়ে কয়েকবার সিংগাপুর-মালয়েশিয়া করেছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলে? বিথীর সাথে একটি ফাইনাল সম্পর্কে তিনি আসতে চান। বিথী ভবিষ্যত নিরাপত্তার কথা তুলে তার অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স দাবি করে। টাকা ট্রান্সফার হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিথীর অন্যরূপ প্রকাশ পেতে থাকে। একসময় রাজউকের চাকুরীটা সে ছেড়ে দেয়। অনেক মানুষের সাথে জানাশোনা এবং ৫০ লাখ টাকার সুবাদে নিজেই একটি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করে।

সম্ভাব্য ঘটনা ৩:
মনে করেন, লেখকদের কোনো একটি ক্লোজড ইয়াহু গ্রুপে আপনি ঢুকতে চান। কিন্তু তারা শুধু বেছে বেছে সদস্য নেয়। চাইলেই আপনি অ্যাক্সেস পাবেন না। এ ব্যাপারে সাহায্য পেতে কোনো ভীমরতিপ্রাপ্ত বুড়োকে খুঁজে বের করুন। তবে আপনার নিকটি অবশ্যই নারী নিক হতে হবে। তারপর তার সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করুন। দেখবেন, তিনি ঠিকই আপনার জন্য কিরা কেটে সুপারিশ করছেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এতে ওই ভদ্রলোকের কোনো স্বার্থপ্রাপ্তিও নেই। যেসব মেয়েদেরকে তিনি সাহায্য করবেন, তারা সুযোগ পেলে ঠিকই তাকে আংকেল ডাকবে। তিনি তারপরও থেমে থাকবেন না। অপমানে টলেনা বীর!

উপরোক্ত আলোচনা হতে এ সিদ্ধান্তে পৌছানো যায় যে, ভীমরতিপ্রাপ্ত বুড়ো তথা বয়স্ক লোকেরা অনেক সময়ই তরুনীকর্তৃক ঠগবাজির শিকার হয়। নারীবাদীগণও এ কথা অকপটে স্বীকার করেন বলে জানা যায়। সুতরাং, আসুন আমরা ভীমরতিপ্রাপ্ত বুড়োদেরকে অপমান না করে, তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। মনে রাখতে হবে, তারা সমাজে অপাংতেয় হলেও তারাও সমাজেরই একটি অংশ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৩৬
৩৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×