দুধ একটি পুষ্টিকর খাদ্য। স্বভাবসুলভ ভাবেই বাচ্চারা দুধ খেতে চায়না। তাই অনেক মা ইনিয়ে বিনিয়ে বাচ্চাদের কে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। দুধের উপকারীতা পাওয়ার জন্য কোন মা যদি তার বাচ্চাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে একটু একটু করে চামুচ দিয়ে বা গ্লাসে করে দুধ খাওয়ান তবে ঐ বাচ্চা পুষ্টি পাবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু কোন মা যদি বেশী পুষ্টি পাওয়ানোর আশায় বা সময় বাচানোর জন্য এক কড়াই গরম দুধের মধ্যে বাচ্চাকে চুবিয়ে ধরেন তবে ঐ বাচ্চার কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখুন।
ইসলাম একটি পুর্নাঙ্গ জীবন বিধান এবং শান্তির ধর্ম এটা সকলেই জানে। কিন্তু বর্তমান সময়ের যারা ইসলাম প্রচারক বা তথাকথিত হেফাজতকারী তাদের অবস্হাটা আমার কাছে সবসময়ই ঐ দ্বিতীয় মায়ের মত মনে হয়। তারা ইসলামের উপকারীতা পাওয়ানোর জন্য মানুষের ভিতরে ইসলাম নয় বরং জোর করে ইসলামের ভিতরে মানুষকে ঢুকাতে চান। অরাজকতা করে, মসজিদ ভেঙ্গে, যায়নামাজ পুড়িয়ে, হত্যা করে খুন করে ভয় ভীতি সৃষ্টি করে মানুষকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। এর ফলে উপকারীতা না বুঝেই মানুষ ইসলাম থেকে দিন দিন আরও দুরে সরে যাচ্ছে। যারা হেফাযতকারীরুপে আবির্ভুত হচ্ছেন তাদের হাতেই ধীরে ধীরে ইসলাম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ রক্ষকই ভক্ষক।
যারা ইসলামের বিরুদ্ধে লিখছে বা প্রচার করছে আমার ধারনা তারা এটা করছে নিতান্তই ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকায়। তাকে যদি ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারনা দেয়া হত তাহলে হয়ত সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ইসলাম কে সঠিকভাবে গ্রহন করতো। আর যে ব্যক্তি তাকে এই পথ থেকে সঠিক পথে আনত সে নিতান্তই আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দা হতো। কিন্তু ইসলামকে যুক্ত করে বিশাল বিশাল নাম নিয়ে যারা আজ ইসলামের তথাকথিত সৈনিক বনে গেছেন তারা একবার বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আপনি কয়জন মানুষকে এ যাবৎ ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন, কয়জন মানুষকে ভুল পথ থেকে সঠিক পথে আনতে সমর্থ হয়েছেন? ইসলামের নামে কেউ কিছু বললেই তাকে হত্যা করার মত জঘন্য কাজ করছেন। আমজনতা সহ সবাইকে ঢালাওভাবে নাস্তিক আখ্যা দিচ্ছেন। এই নাস্তিক দের কাছে সঠিক ইসলামের বাণী পৌছানোর দায়ীত্ব কার? জানি এ প্রশ্নের কোন উত্তর বর্তমান সময়ের তথাকথিত ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছে নেই। কারন তাদের কাছে ইসলামের নমে তরুন সমাজের মধ্যে জেহাদের ধারণা ঢুকিয়ে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারেই ফায়দা বেশী।
ইসলাম আল্লাহর মনোনিত ধর্ম এবং এর হেফাজতকারীও একমাত্র আল্লাহ সুতরাং ইসলামের হেফাজতের জন্য আর কোন মানব হেফাজতকারীর প্রয়োজন নেই। এসব ভন্ডামি ছাড়ুন মানুষকে সঠিক ইসলামের দাওয়াত দিন। সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে ইসলাম যে আসলেই শান্তির ধর্ম সেটা তুলে ধরুন। নবী করিম (সাঃ) এর আদর্শ কে ধারন করুন। নিজে সঠিক ইসলাম সম্পর্কে জানুন মানুন এবং অন্যকে জানান। ইনসাল্লাহ এই পৃথিবী একদিন শান্তিতে পরিপুর্ন হবে। কিন্তু ইসলাম মানেই জিহাদ এই মনোভাব যদি পোষন করেন তাহলে শান্তির ধর্ম ইসলাম মানুষের মধ্য থেকে চিরতরে বিদায় নিতে বেশী দিন লাগবেনা। আল্লাহ সবাইকে সঠিক ভাবে ইসলাম জানার এবং মানার তৌফিক দান করুন। আমিন।
(জানিনা এই ব্লগ লিখে আবার ইসলামের হেফাজতকারীদের কাছে আমি নাস্তিক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গেলাম কিনা।)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


