ব্যাস্ততার কারনে অনেকদিন মুভী গুলো পরে ছিলো হার্ড-ডিস্কে। যেখানে গত বছর পর্যন্ত প্রতিদিন একটা (সময় না পেলে অন্তত ১০-১৫ মিনিট যাই হোক না কেন) মুভী না দেখলে ঘুমাতে পারতাম না, সেখানে বিগত ৬-৭ মাসে মনে হয় ১০-১২ টার মত মুভী দেখা হইছে ! গত ২ সপ্তাহ আগে হঠাৎ মনে হলো এভাবে আর কত দিন। এখনো ২০১১ এর মুভী গুলোই দেখে শেষ করতে পারলাম না??? ধিক্ আমাকে, ধিক্ । অবশেষে ব্যাস্ততার মধ্যেও আবার মুভী দেখার প্রজেক্ট হাতে নিলাম। বেশ অনেক গুলো মূভী দেখে ফেলছি । মোটামূটি একটা লিষ্ট সহ একটা পোষ্ট ও করে ফেলছি (পোষ্ট সংখ্যা বাড়ানোর এক অপচেষ্টা আরকি ) সব মুভীই হয়তো বেশিরভাগ মুভী প্রেমিকদের দেখা হয়ে গেছে। মুভী গুলোর মধ্যে লক্ষ্য করলাম Contagion নিয়ে তেমন মাতামাতি হয় নাই, কিন্তু অসাধারন লেগেছে আমার কাছে।
CONTAGION [2011]:
imdb rating 6.8, Rotten tomato rating 84% :
Steven Soderbergh পরিচালিত এই মুভীটি দিয়ে শুরু করেছি মুলত Marion Cotillard, Laurence Fishburne, Jude Law, Gyneth Paltrow, Matt Damon, আর Kate Winslet এর মত মহা তারকাদের ভীড় দেখে। imdb রেটিং খুব চমকপ্রদ না হলেও আমি মুলত মুভী সিলেক্ট করি Rotten tomato রেটিং দিয়ে- এদের ক্রিটিকাল রেটিং গুলো বরাবর আমার সাথে মিলে যায় বলেই।
কাহিনী শুরু হয় Day -2 থেকে (অর্থাৎ Day -1 থেকে যাবে রহস্যে), যেখানে দেখা যায় বেথ এমফ নামের এক নারী ব্যাবসায়ী হংকং থেকে বিসনেস ভিসিট শেষে শিকাগো (যেখানে সে তার পুরাতন প্রেমিকের সাথে মিলিত হয়) হয়ে মিনেপলিশে ফিরে । পথে সে খুবি অসূস্থ ফিল করে কিন্তু জেট-লেগের প্রভাব মনে করে নেয়। এর মধ্যে তাদের পুত্র ক্লার্কের মাঝেও একি ধরনের সিম্পটম দেখা দেয়। ২ দিন পর বেথ এর অবস্থার চরম অবনতি হয়। এই অবস্থায় তার স্বামী, মিচ, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই সে কাতরানো অবস্থায় মারা যায়। ডাক্তাররা একে এক অজ্ঞাত ভাইরাস যা ব্রেনের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিষ্টেমে এটাক করেছে বলে জানায়। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে মিচ দেখে তার পুত্রও মারা গেছে। এতে মিচ খুবি আতঙ্কিত হয়ে পরে, কিন্তু সার্জনরা আবিস্কার করে জেনেটিকালি কোন এক কারনে মিচ এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবে না। কিন্তু সে তার বেচে থাকা মেয়েকে নিয়ে খুবি চিন্তিত হয়ে পরে।
এদিকে পৃথিবীর আরো ২-৩ স্থানে একি ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যায় এবং জানা যায় যে এই ভাইরাস ফ্লু ভাইরাসের মত অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পরে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ভাইরাস ভয়ানক হারে ছড়িয়ে পরতে থাকে, বাড়তে থাকে মৃত্যুর হার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় প্রথমে এটিকে জীবানু আক্রমন মনে করে। Centers for Disease Control and Prevention এর প্রধান ডঃ এলিস শিভার এ ঘটনা তদন্ত করতে ডঃ মেয়ার্স কে মিনেপলিশে পাঠায়, যেখানে ভাইরাস প্রথম ধরা পরে। আবিস্কার করার চেষ্টা করে বেথ এমফ কিভাবে ভাইরাস টি কোথা থেকে বহন করে নিয়ে আসেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে ডঃ নিজেই ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
একি তদন্তের জন্য WHO এর ডঃ ওরান্থেস হংকং এ যায়, বেথ এমফ কার কার সাথে দেখা করে, কি কি করে – তা জানার জন্য? কিন্তু কিছু দিন পর যখন ভাইরাস বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে, সে হংকং এ তার সহকর্মিদের কাছে অপহৃত হয়। অপহরণকারীদের দাবী, ভাইরাসের প্রতিকার আবিস্কার হলে তাদের কাছে ভেক্সিন পৌছে দিতে হবে।
Centers for Disease Control and Prevention ভাইরাসের সুত্রপাত এবং এর প্রতিকার আবিস্কারের প্রানান্ত চেস্টা করে যায়। তারা এই ভাইরাসের নাম দেয় MEV-1 । কিন্তু জানা যায় যে এখনো যদি এর প্রতিকার জানা যায় তারপরো ব্যাপক ভাবে এর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যাওয়া, বিভিন্ন স্থানে পৌছে দেয়া অন্তত ৫-৬ মাস লেগে যেতে পারে। তত দিনে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। এমন খবরে সাধারন মানুষ অস্থির হয়ে যায়।
এভাবে জমতে থাকে অসাধারন এক কাহিনী। শেষ না দেখে উঠতে পারবেন না, এই গ্যারেন্টি আমি দিচ্ছি
আমার রেটিং ৭/১০।
টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্ক
আই, এম, ডি, বি লিঙ্ক