পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি’র সন্ত্রাসী ওহাবীগোষ্ঠী ‘আনসার দাইন’ কয়েক শতাব্দির পুরনো ‘সুফি মুসলিম’-এর মাজার শরীফ ধ্বংস করেছে। মালি’র টিম্বুকটু শহরে অবস্থিত মাজারটি ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনের তালিকাভুক্ত ছিল।
স্থানীয় সাংবাদিক ইয়েইয়া টান্ডিনা জানিয়েছেন, “ইয়াওমুস সাবতি (শনিবার) ওহাবী গোষ্ঠী আনসার দাইনের সদস্যরা কয়েকটি পিক-আপে করে ভারী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাজারটি ঘিরে ফেলে। এরপর তারা সেখানে হামলা চালায়। এ সময় অসহায় জনতা তাদের দিকে ঠায় তাকিয়ে ছিল। টান্ডিনা আরো জানিয়েছেন, এর আগে এ গোষ্ঠীটি মালির আরো তিনটি মাজার এবং অন্ততঃ সাতটি সমাধিসৌধ ধ্বংস করেছে। এগুলোর মধ্যে ‘সিদি মাহমুদ’, ‘সিদি আল মোখতার’ এবং ‘আলফা মোইয়া’ মাজার শরীফ পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে সমধিক পরিচিত ছিল।
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আব্দুল্লাহ বোউলাহি সিদি মাহমুদ মাজার ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “মাজার শরীফটির আর কোন অস্তিত্ব নেই এবং জায়গাটি এখন একটি মাঠের মতো খা খা করছে।” তিনি আরো জানান, “প্রায় ৩০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী মাজার শরীফেরর কাছে এসে তাদের কালাশিঙ্কভ রাইফেল মাটিতে রেখে কুড়াল ও শাবল দিয়ে মাজারটি ধ্বংস করে ফেলে। টিম্বুকটু শহরের জনগণের জন্য এ দৃশ্য ছিল অত্যন্ত মর্মান্তিক।”
মালি সরকার সুফি মুসলিমের মাজার শরীফ ধ্বংসের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনাকে যুদ্ধ অপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছে। সরকার এক বিবৃতিতে আরো বলেছে, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছেও এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাজার শরীফ জিয়ারত করা খাছ সুন্নত, কিন্তু ভ্রান্ত আক্বিদা সম্পন্ন ওহাবীরা এই সুন্নতি আমলকে শিরক বলে থাকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




