পাকিস্তানী আমলে বিহারীরা ছিল এ অঞ্চলের সুবিধাপ্রাপ্ত জাতি। ব্যবসাবাণিজ্য থেকে শুরু করে সবদিক দিয়ে তারা এদেশের বাঙালিদের শোষণ করত। ব্যাংক ঋণও তাদের দেয়া হতো। এদেশের অনেক শিল্পকারখানা যেমন আদমজী জুট মিলও ছিল এক বিহারীর। তৎকালীন সময়ের একজনের অভিজ্ঞতার কথা আমি বলছি। তিনি বলেছিলেন, তখন বায়তুল মোকাররম এলাকায় দোকান রয়েছে এমন এক বিহারীর সাথে উনার কথা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, তোমরা তো ব্যবসা করে অনেক পয়সা কামাও। বাড়ি করছ না কেন?
তারা বলেছিল, ঢাকায় বাড়ি না করে যদি এই টাকা জমিয়ে রাওয়ালপিন্ডি কিংবা লাহোরে বাড়ি করা যায়, সেটাই হবে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য।
বিষয়টি হলো, এই একবিংশ শতাব্দীতে এদেশে এমন একটি সম্প্রদায় রয়েছে, যাদের চরিত্র উক্ত বিহারীদের মতোই। কেবল আপনি রাওয়ালপিন্ডির জায়গায় কলকাতাকে বসাবেন, আর পাকিদের জায়গায় বিএসএফকে প্রতিস্থাপিত করবেন। পাকিস্তানী আমলে এইদেশের সব টাকা যে পশ্চিম পাকিস্তানের পাচার হতো, তা কিন্তু হতো এদেশের বিহারীদের কারণেই। আজ একবিংশ শতাব্দীতে কলকাতায় কারা টাকা পাচার করে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিহারীরা একাত্তরে যথেষ্ট নৃশংসতা দেখিয়েছিল। জ্যান্ত মানুষকে লোহা গলানোর চুল্লিতে তারা ছুঁড়ে ফেলেছিল সৈয়দপুরের রেলওয়ে ওয়ার্কশপে। মিরপুর মুহম্মদপুরের এলাকাগুলো আজও তাদের নৃশংসতার সাক্ষ্য বহন করছে। আজ যারা বিএসএফের প্রতীক্ষায় রয়েছে, তারা কতটুকু নৃশংস হবে তা আমরা গুজরাট কাশ্মীরের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি। তারচেয়ে বড় কথা, বিহারীদের সাথে আমাদের যে ধর্মীয় মিলটি ছিল, তাদের সাথে আমাদের সেটাও কিন্তু নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




