অমীমাংসিত
সে কি অবশেষে
ডাবের ভেতরে ঢুকে জল হয়েছিল
লীপূর্ণিমার দিন দুষ্টু বালকের দল
চুরি করে নিয়ে তাকে পেট ভরে করেছে নিঃশেষ?
সরল আদিম সেই রক্তের গহনস্রোতে
এখনো প্রবহমান প্রাণ?
আর কিছু হবে না বলেই
মধু গিয়ে মৌমাছির চাকে গড়া রসায়নে মেশে
আঠা আঠা ঘুমে
সে কি তবে অবশেষে মৌমাছির হুল?
অন্তত একেক কালে নির্জনে কারুর হাতে
জ্বালা হয়ে ওঠা?
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে গেল একাল সেকাল
অবশেষে সে কি তবে কালেরও ওপার
যেথায় সকল রেখা বিন্দু
অদৃশ্যঅশ্রাব্যলোকে
লীন হতে হতে আরও একটিমাত্র বিন্দু এঁকে ফেলে
একটি কোনো রেখা
সে কি তারই নিরন্তর ভাঙা ভাগ্যলেখা!
ভূত
সংসার ঘুমিয়ে গেলে সন্ন্যাসের ভূত
পুরো বাড়ি মাথায় তুলে নাচে অদ্ভূত!
টিনের বান্ধন খোলে, জানালার পাট
উনুন টেবিল খাট ঘরের চৌকাঠ
দুটো হাতে নেড়ে চেড়ে কোথায় সে যায়
সংসার ঘুমিয়ে নিজে সন্ন্যাস জাগায়।
একটি তলোয়ার
একদা একটি তলোয়ার
শূন্য থেকে নেমে এসে আমার হাতের মুঠো খুলে
নিজেই সেঁদিয়ে গেল, আর
কাঁপতে কাঁপতে বলে উঠল, এুণি!
আঙুলের ডগা থেকে
রাশি রাশি তীর ছুটে যাচ্ছিল কোথাও
নাভি থেকে বিষাক্ত সাপের দল
মনসা মনসা বলে কৈলাসের প্রতিষ্ঠানমুখে
কী দুরন্ত গতি
পায়ের তলায় মাটি একটু নিচে সরে গিয়ে
জানালো মিনতি।
ক্রোধ ছিল, স্বপ্ন ছিল, সর্বোপরি শত্র“ ছিল ম্যালা
তবু মহাকাশব্যাপী সহসা জাগ্রত
প্রার্থনায় নিভে গেল বেলা।
কাঁটা
অনেক সহজে ওই চোখ তুলে নেব
আমি নই, আমার ভেতরে কোনো
সূ বড়ইয়ের কাঁটা, যা তোমার পায়ের পাতায়
বাল্যকালে লেগে যেত, তেমন রক্তের
বিষয় আশয় নয়, তবু পিনপিনিয়ে
নীরব ক্রন্দন সে তো ঠিকই বাজিয়েছে
দ্বিপ্রহরে, এখন সে আমি, সে দুপুর
মধ্যরাত, যখন হে তাকিয়ে রয়েছো
মধুরাগ্নি চোখে নিয়ে, আকাশ ব্যাপিয়া
ধোঁয়া, পশম পশম মেঘ জড়িয়েছে
নিরালা আকাশ, কেন এতটা সুন্দর
এত মিষ্টি কেন, কেন বড়ইয়ের কাছে
গিয়েছিল চোরা বাল্যকাল
সহজেই তুলে নেব, ওই চোখ
আমি নই, বড়ইয়ের কাঁটা, সে উজবুক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



