জীবন যেন সময়নদী; বইছে- অবিরত।
সময় যেন গন্তব্যহীন ঢেউ, আশা আর আক্ষেপের বিকল্প সমতা।
পাড়ে জন্মিয়াছে পাতাময় দারুন সব ম্যাপল বৃক্ষ, শোভিত এবং বিপুল।
অথচ, এখন চলছে পাতাঝরার মৌসুম।
সময়নদীতে ঝরাপাতার প্লাবন; অপেক্ষার কোঠরে বিচিত্রবর্ণ মাছরাঙা,
আদ্যিকালের দু’টো ভূতুম- কন্ঠকারসাজিতে ছড়াচ্ছে অন্ধকারের ভয়!
মৃত্যু যেন স্লুইসগেইট-
কখনও অবিরাম বইয়ে চলা সময়নদীর আচনক শাসক;
লাগাম টেনে মথিত করছে সাগ্নিক শোক।
ক্রন্দনের হলকায় বইছে সুরভিত শেষবাতাস। তারপরই সব হয় শেষ।
দেখতে দেখতে সবুজপাতাসমূহ হলুদ আর বাদামী হয়ে আমার পায়ে জড়িয়েছে স্পষ্ট;
আমার বুটের কার্ণিশে ছোপ লাগছে পান্ডুর এ বিবর্ণতার।
আমি চোখ বুজে ভাবছি এই বৃক্ষ পাতাটির অপূর্ব যৌবনে-
তুমি আমি কতটাই না দূরন্ত হয়েছিলাম পত্রপল্লব বিনির্মানে!
কখনও সাড়াশি কখনও মই দিয়ে পেড়ে এনেছি সবুজাভাব পত্রশিরাপল্লব!
আর আজ আমার পদতলে তাদের সমভিব্যাহার,
গন্তব্যের ধারনা কিছুটা কি বদলে দিচ্ছে!
নাকি, তুমি আমি কি বোধের দেনায় নিয়ত বিকোচ্ছি নিয়তির শোক!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০২