পরিবর্তিত জীবনের জন্য দূ:খবোধ নেই, শুধু
প্রত্যাবর্তিত সময়ে নিষ্কাম একপাক্ষিক বায়ূ- ভেদ
করে যাতনার মহাবিন্দু, সেখানে ক্ষোভ বলো ক্রোধ
বলো সেসব কিছু রেখেছিলাম।
নতুন বাতাসের জন্য খুলে রাখি জানালা, অথচ
পৃথিবীভরা নতুন বাতাস কারো কারো ফুসফুসে
পৌছেনা এ নম্র গ্রীষ্মকালে;
তারা দু’টি নলের আশায় দু’চোখ বুজে শুধু আত্মিক প্রমাদে অশরীরী দেখে;
আসমানে- বায়ূসরোবর ব্যাপী।
পরিবর্তিত সময়ে দূ:খবোধ নেই, যেহেতু এখনও জানালা খুলতে পারি-
তফাত করতে পারি অক্সিজেন থেকে কার্বোনডাইঅক্সাইড;
অশ্রু ফোটা রাতের মনান্তরে টুপ করে গাল বেয়ে দাড়ি ভিজিয়ে দিলে অবাক হয়ে ভাবি,
এখনও বেচে আছি-
ক্ষোভ বলো কার কাছে! তুমিই তো ক্ষতের মোহন্ত,
অবিশ্বাসের তুণে জ্বালিয়েছ স্রষ্টার পারদ;
বস্তুগত চোরাবালিতে ডুবিয়েছ কারুকার্যময় যৌবন। তবে কেন
তোমার প্রার্থণা আজও জ্ঞানজ্যোতিহীন!
প্রত্যাবর্তিত সময়ে যেমন মুছে যাবে কিছু নাম,
নীলাকাশে খেলা করবে সমুদ্রচিলের ঝাক;
নতুন বাতাসে তবু নাক ডুবিয়ে অঙ্কুরিত হবে আবারও অবিশ্বাসী অণুরূপদ্যুতি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭