প্রতি বছর রমজান মাসে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমে সাধারণ মুসল্লিদের জন্য ইফতারের আয়োজন করে ইসলামী ফাউন্ডেশন। এতে থাকে ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু ও সাদা পানি।
কেন সাধারণের জন্য এমন মানহীন ইফতারের আয়োজন করা হয় এ নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই মনে ক্ষোভ পোষণ করেছিলেন। কিভাবে যেন জেনেছেন রোজার প্রথম দিনেই ইসলামী ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান
ব্যস, কালাচান মিয়া খুঁজে খুঁজে হাজির হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সর্বোচ্চ যাকাত প্রদানকারীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে। সেখানে উপস্থিত হয়েই তিনি জানান, আজ মন্ত্রীর কাছে জানবেন কেন গরিবদের মানহীন ইফতার খেতে দেওয়া হয় আর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা উন্নতমানের খাবার খান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান উপস্থিত হতেই প্রশ্ন করার জন্য দাঁড়ান ষাটোর্ধ্ব রিক্সাচালক কালাচান মিয়া। কিন্তু তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়েই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা তাকে টেনেহেঁচড়ে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে নিয়ে যান।
কালাচান জানান, প্রতি বছর প্রথম রোজা থেকে শেষ রোজা পর্যন্ত রিক্সা চালিয়ে গ্যারেজ মান্ডায় যাবার পথে সন্ধ্যায় বায়তুল মোকারমে ইফতার সেরে নেন। আজ পর্যন্ত পিয়াজু ছোলা এবং পানি বাদে কিছুই পাননি।
তার দাবি মাঝে মধ্যে নাকি ইফতার করতে আসা গরিবদের সামনে ভাল ইফতারের বক্স রেখে ছবি উঠিয়ে নেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ক্যামেরাম্যান।
কালা চানের কথার সূত্র ধরে সরেজমিনে দেখা যায়, ১০০ থেকে ১৫০ লোকের সাথে বসে মন্ত্রী ও মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল বোর্ডরুমের ভেতরে ইফতারি করছিলেন মুরগির গ্রীল, দইবড়া, ছানার মিষ্টি, বগুড়ার দই, কুমিল্লার রসমালাইসহ প্রায় কুড়ি আইটেম দিয়ে। ধর্মসচিব চৌধুরী মো. বাবুলসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন।
ইফতার আইটেম ও উপস্থিতিদর ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন তাদের নিজস্ব ক্যামেরাম্যান।
এ কেমন ইফতার ?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮