somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ধর্ম আমার বিশ্বাস

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোথাও কোন বায়োডাটা সাবমিট করতে গেলে লিখি ধর্ম ইসলাম। কোন কোন ফরম্যাটে গোত্র লেখা থাকলে লিখি সুন্নী। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে আমি অনিয়মিতভাবে ধর্ম পালন করি। শুক্রবারে অন্য সবার মত নিয়মিত যান্ত্রিকভাবে নামাজ পড়তে যাই। মসজিদে যাওয়ার পর হুজুরের বক্তব্য শুনি। একপর্যায়ে হুজুর বলেন ডানদিকের বাক্সগুলো চালান করে দেন। এখন আর ওড়নার মত একটা কাপড়ের কোনা ধরে টাকা তুলতে কোথাও দেখি না। মাঝে মাঝে টাকা দিই, মাঝে মাঝে দিই না। নামাজ পড়ে দোয়ায় সামিল হয়ে চলে আসি। কিন্তু নামাজ পড়তে গিয়ে এবং হুজুরের বক্তব্য শুনে মনে তেমন কোন ভাবান্তর হয় না। শুধু মনে হয়-
যে মসজিদটাতে নামাজ পড়ছি সেই মসজিদটার ইট-কাঠ-পাথর সব বিধর্মীদের আবিষ্কার, কয়েকতলা এই মসজিদ-এ যত প্রযুক্তি ব্যবহার হয় সব অমুসিলমদের অবদান। যে কাপড়টা পড়ে নামাজ পড়ি সেটাও তাদের প্রযুক্তির অবদান। মাথার উপর ফ্যান ঘোরে, টাইলসে মাথা লাগিয়ে সেজদা দিই, ট্যাপের পানি ছেড়ে অজু করি, মাইকে আজান শুনি, মাইক্রোফোনে খোতবা শুনি। আমাদের বিলাসের অন্ত নেই। হুজুরের বক্তব্যে কখনো শুনি না যে, আপনারা সমকালীন বিজ্ঞান আয়ত্ব করেন। বিধর্মীরা ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে।

আমার এখন বয়স হয়েছে। আগের মত শক্তি সামর্থ নেই। মসজিদের সিড়ি বেয়ে দোতালায় উঠতে কষ্ট হয়। ধীরে উঠতে গিয়ে দেখি- ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ধাক্কা দিয়ে, পা মাড়িয়ে তর তর করে উঠে যাচ্ছে। কোনরকমে উঠে যাও বা বসলাম; হুজুরের মূল্যবান কথা গুলো মনযোগ দিয়ে শুনবো ছোট বড় সব মানুষের কথায় মনে হয় এটা একটা জলসা ঘর। খোতবা শুরু হয়ে যায়- কথার গুঞ্জন থামে না। প্রথম রাকাত শেষ হয়ে দ্বিতীয় রাকাতের সুরা পড়া শুরু হলে শব্দ কমতে কমতে থেমে যায়। আবার যেইমাত্র সালাম ফিরানো শেষ হলো সেইমাত্র আবার ছোট বড় অনেকেই ফেরত যাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে উঠেন। একটু যে মোনাজাত করার জন্য বসে আছি, আমার মত সব বুড়ো মানুষদের মাড়িয়ে চলে যাওয়ার মধ্যে কেউ কোন অন্যায় দেখে না বরং বসে থাকাটাই অন্যায়। ছোটবেলায় জেনেছি সমাজের মৌলিক নিয়মটা হলো বয়ষ্কজনদের শ্রদ্ধা সন্মান করা। এই মৌলিক নিয়মটাও কেউ মসজিদ এসেও মানে না।

বিদেশের গির্জাগুলোতে গেলাম- কোন পাদ্রীকে টাকা তুলতে দেখলাম না। কোন হৈ হুল্লোড় করে গির্জার পবিত্রতা ছোট বড় কাউকে নষ্ট করতে দেখলাম না। ছোটদেরকে দেখলাম না বড়দেরকে অসন্মান করতে।

আমার ধর্ম, আমার বিশ্বাস যে সবচেয়ে ভালো তা নিয়ে যদি আমার সন্দেহ তৈরী হয়েই থাকে তবে তাতে কী খুব পাতকী হয়ে পড়বো?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×