ধর্মের বক্তব্যের মধ্যে পরষ্পর বিরোধিতার কয়েকটি নমুনা দিচ্ছি-
১। আল্লাহ দয়ালু, তিনি ক্ষমাশীল, তিনি ন্যায় বিচারক।
-ন্যায় বিচারক কখনো দয়ালু বা ক্ষমাশীল হতে পারেন না। কারণ তিনি ক্ষমা করলে আর একজনের প্রতি অন্যায় হবে। দয়ালু হলে তো অপরাধের শাস্তি দিতে পারবেন না। তাহলে ন্যায় বিচারকও হতে পারবেন না।
২। আল্লাহ নিরাকার, আল্লাহ এক।
-নিরাকার কোনকিছু তো এক হতে পারে না। আমরা বলি একটি গাড়ী, একজন মানুষ-যা কিছু সাকার তাই গণনা করা যায়, নিরাকার গণনা করা যায় না।
৩। আল্লাহ্ অমুক কাজ করলে খুশি হন, অমুক কাজ করলে বেজার হন
-খুশি হওয়া এবং বেজার হওয়া একটি মানবিক অনুভূতির ব্যাপার। যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছাতেই সবকিছু ঘটছে- তাই এতে তাঁর খুশি বা বেজার হওয়ার কিছু নেই।
৪। বেহেশতে অমুক জিনিষ ভোগ করা যাবে, দোজখে অমুক শাস্তি আরোপিত হবে।
-ভোগের অনুভূতিগুলো পার্থিব। পানি না পান করতে পেরে আপনার কষ্ট হচ্ছে, যখন পানি পাবেন তখন বিপরীতটা হবে অর্থ্যাৎ ভোগের সুখ হবে। বেহেশতে যদি কোন কষ্ট না থাকে তবে সুখের কোন বোধ থাকার কথা নয়। যৌন সম্ভোগ সুখের কথা নাই বা বললাম।
জনাব আরজ আলীর বইটা দরকার। কোথায় পাবো কেউ কি বলতে পারেন?
অন্যান্য ধর্মেও এরকম অসংখ্য বৈপরীত্য আছে-যা আলোচনা করতে হলে বিরাট এক পুস্তক লেখার দরকার হবে। ধর্ম মানুষের মনের গভীরে বিশ্বাস- এই বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ হতো না যদি ধর্মের ঝান্ডা যারা উঁচিয়ে ধরেছেন তারা গরীবের পক্ষে থাকতেন।
একজন ওয়াজকারী মৌলভী ওয়াজে যত কথা বলেন তার ভাবার্থ হলো এই যে-
১। আমরা, আপনারা পাপী
২। পাপ করলে এই শাস্তি হবে; পক্ষান্তরে পূণ্য করলে এই পুরষ্কার পাওয়া যাবে।
৩। পাপ স্খালনের এবং পূণ্য অর্জনের জন্য কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হবে আর দান-খয়রাত করতে হবে।
এই দান-খয়রাতটা ভাগবাটোয়ারা করে নিবেন কে? কে?
-
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



