রা - ওয়ান নিয়ে জনতা হতাশ। শাহরুখ খান নিজেও সম্ভবত তাই ই। তারপরে ডন ২। অমিতাভ বচ্চনের জুতোয় পা গলানো চাট্টিখানি কথা নয়। ডন ১ (রিমেক) মোটামুটি ব্যবসাসফল, অত্যন্ত বাজে একটি ছবি। ডন ২ কতটা ঠিকঠাক হবে তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। এত দোলাচলের মাঝে সিনেমাটি রিলিজ করলো।২ ডি ও ৩ ডি তে।
এবং প্রমান পেল যে এ ছবির হিরো শাহরুখ নয়, ফারহান আখতার।
গল্পের গরু শুধু গাছেই ওঠেনি, এ গাছ থেকে ও গাছ লাফালাফি করে বেড়িয়েছে গোটা ছবি জুড়ে। মোটামুটি ঘটনা এ রকম -
ডন ফিরে এসেছে (কি করে, কোথা থেকে জানি না!)। যেহেতু ডন কোনো শত্রুকে কখনো ক্ষমা করে না, তাই সে স্বেচ্ছায় মালেশিয়াতে পুলিশের হাতে ধরা দিয়ে জেলে ঢোকে (যেনো গোটা মালেশিয়াতে একটাই জেল) যেখানে বন্দী আছে বরধান (বোমান ইরানি)। বরধানকে নিয়ে জেল থেকে পালায় ডন (এতো জঘন্য Jailbreak যে যারা Prison Break বা Shawsank Redemption বা Escape from Alcatraz দেখেছেন তাদের বমিও আসতে পারে!
এরপরে যে ডনকে ১১ টি দেশের পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছে সে কিরে হুট করে বার্লিন চলে আসে কে জানে।
সেখানে সে বরধান, এক লোকাল গুন্ডা আর এক হ্যাকারের সাহায্যে গড়ে তোলে এক প্ল্যান যাতে সে বার্লিনের ট্যাঁকশাল থেকে ইউরো ছাপার প্লেট হাতাতে চায়।
তারপর বহু চাল চেলে, অনেক সার্কাসের পরে ডন তার প্ল্যানে সফল হয়।পুলিশের বন্ধু হিসেবে নিজেকে দেখায় সে। জার্মানিতে ইমিউনিটি পেয়ে যায় ডন। এর পর থেকে ডনকে শুধু ১০ টি দেশের পুলিশ খুঁজবে।
প্রিয়ান্কা চোপড়ার সাথে অহেতুক টাইমপাস না হয় বাদই দিলাম।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাপারগুলো হলো -
১। ঝকঝকে ক্যামেরার কাজ
২। ডনের সর্বক্ষন কুঁককুঁক করে অসহ্য হাসি
৩। বার্লিন গেটের সামনে একাধিক গাড়ি ওড়ানোর পারমিশন জোটানো
৪। প্রায় বৃদ্ধ বয়সে শাহরুখের জটা গজানো
৫। দর্শকের মাথা থেকে প্রিয়ান্কা চোপড়ার নাম মুছে গিয়ে "কালি বিল্লী" হয়ে যাওয়া
৬। অবাক হয়ে দেখা যে মুখোশ খোলার সাথে সাথে গলার স্বর বদলে যায়
৭। কুনাল কাপুর আর ওম পুরীর এই সিনেমায় কাজ করতে রাজী হওয়া।
শেষ কথা - একবার দেখার জন্য ঠিক আছে, তার বেশী কোনো ভাবেই নয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



