পূর্বের পোষ্ট ২/৩
Click This Link
الأصل الثالث
তৃতীয় মৌল নীতিঃ
সংবাদ বাহক নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম আবদুল্লাহর পুত্র, তাঁর পিতা আবদুল মুত্তালেব, তাঁর পিতা হাশেম। হাশেম কুরায়শ বংশ উদ্ভূত এবং এটি আবর কওম ও গোষ্ঠীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী ইবরাহীম খলীলুল্লাহর পুত্র ইসলাইলের বংশ হতে উদ্ভুত। (আমাদের নবীর উপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক)।
তিনি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় জন্ম গ্রহন করেন। তিনি তেষট্রি ( ৬৩) বছর জীবিত ছিলেন, নবুওত প্রাপ্তির পূর্বে চল্লিশ বছর এবং “নবী ও রাসূল” হিসেবে তেইশ বছর (অতিবাহিত করেছেন)।
সূরা “ইকরা” এবং সূরা মুদ্দাসসির অবতীর্ণ হবার সংগে সংগে তিনি যথা ক্রমে নবূওত ও রিসালাত প্রাপ্ত হয়েছেন। শির্ক থেকে সতর্ক করার জন্যে এবং অদ্বিতীয় আল্লাহর একত্ববাদ প্রচারের জন্য নিজস্ব সংবাদবাহক হিসেবে আল্লাহ তাঁকে প্রেরন করেন।
এ সম্পর্কে কুরআনী ঘোষণাঃ
يآيها المدثر * قم فأنذر * وربك فكبر * وثيابك فطهر * والرجز فاهجر * ولا تمننْ تستكثر * ولربك فاصبر.
(সূরা আল- মুদ্দাসসিরঃ ১-৭)
“হে কম্বলে দেহ আবৃতকারী। উঠে দাঁড়াও, সকলকে সতর্ক কর ও নিজ প্রভুর মহিমা ঘোষণা কর। বস্ত্রসমূহ পাক-সাফ রাখ, শির্কের কদর্যতাকে সম্পূর্ণ বর্জন কর, বিনিময় লাভের আশায় ইহসান করো না। আর নিজ প্রভূর(আদেশ পালনে) ধৈর্য ধারণ কর।
قم فأنذر.
উঠে দাঁড়াও ও সতর্ক করঃ এর অর্থ শির্কের বিরুদ্ধে সতর্ক কর এবং তাওহীদের প্রতি আহবান জানাও।
وربك فكبر.
তোমার প্রভূর মহিমা ঘোষণা করঃ এর অর্থ তাওহীদের মাধ্যমে আল্লাহর মাহাত্ম প্রচার কর।
وثيابك فطهر.
তোমার পোষাক পরিচ্ছদ পাক-সাফ রাখঃ
এর অর্থ “আমলসমূহ”কে শির্কের কলুষ কালিমা থেকে পবিত্র রাখ।
والرجز فاهجر.
কদর্যতা বর্জন করঃ
এর অর্থ প্রতিমা পূজা ও প্রতিমা পূজকদের থেকে দূরে বহু দূরে অবস্থান করে তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার কর।
তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম) বহু বছর ধরে অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রচার কার্য চালাবার পর মি’রাজে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ার আদেশ নিয়ে ফিরে আসেন। অতঃপর মক্কা ভূমিতে তিন বছর উক্ত নামায সূচারুরূপে সম্পাদনের পর আল- মদীনায় হিজরত করার আদেশ প্রাপ্ত হন।
হিজরতের অর্থ শির্ক-কলুষিত স্থান পরিত্যাগ করে ইসলামী রাজ্যে গমন করা। এ উম্মতের (উম্মতে মুহাম্মদীয়া) জন্য শির্ক-কলুষিত স্থান থেকে ইসলামী রাজত্বে হিজরত করা ফরয করা হয়েছে। এই হিজরত কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষন্ন ও অব্যাহত থাকবে।
এর সপক্ষে পবিত্র কুরআনের ঘোষণা নিুরূপঃ
إن الذين توفاهم الملائكةُ ظالمي أنفسهم قالوا فيم كنتم قالوا كنا مستضعفين في الأرض قالوا ألم تكن أرض الله واسعة فتهاجروا فيها فأولئك مأواهم جهنم. وشآءت مصيراً. إلا المستضعفين من الرجال والنساء والوالدان لا يستطيعون حيلة ولا يهتدون سبيلاً. فأولئك عسى الله أن يعفو عنهم وكان الله عفواً غفوراً.
আয়াতের অর্থঃ
“নিশ্চয় যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে, তাদের ‘জান কবয’ করার সময় ফিরিশতাগণ বলবে, কি অবস্থায় তোমরা ছিলে? তারা বলবে, আমরা মাটির পৃথিবীতে ছিলাম অসহায় ও লাচার অবস্থায়। ফিরিশতাকূল বলবেনঃ আল্লাহর দুনিয়া কি এতটা প্রশস্ত ছিলনা যাতে তোমরা হিজরত করতে পারতে? অতএব এরা হচ্ছে সেই সব লোক যাদের শেষ আশ্রয় হবে জাহান্নাম। আর এ হচ্ছে নিকৃষ্টতম আশষ্রয় স্থল। কিন্ত যেসব আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা এমনভাবে লাচার ও অসহায় হয়ে পড়ে যে, কোন উপায় উদ্ভ¢াবন করতে তারা সমর্থ হন না। পক্ষান্তরে পথ সম্বন্ধেও তারা কোন সহায় সম্বল খুঁজে পায় না, এদের আল্লাহ ক্ষমার আশ্বাস দিচ্ছেন, ব¯ত্ততঃ আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাশীল ও পাপ মোচনকারী” (সূরা আন্-নেসাঃ ৯৭-৯৯)
কুরআনে আরও বলা হয়েছেঃ
يا عبادي الذين أمنوا إن أرضي واسعة فإياى فاعبدون.
আয়াতের অর্থঃ
“হে আমার মুমিন বান্দাগণ! আমার যমীন হচ্ছে প্রশস্ত। অতএব তোমরা একমাত্র আমারই বান্দেগী করতে থাক” (সূরা আল-আনকাবুতঃ ৫৬)
আল বাগাবী রহমাতুল্লাহি ‘আলায়হি বলেনঃ
“এ আয়াত অবতীর্ণ হবার কারণ এই যে, যে সমস্ত মুসলমান হিজরত না করে মক্কায় রয়েছে, আল্লাহ তাদের বিশ্বাসী বলে আহবান করেছেন।”
হিজরতের সমর্থনে হাদীস হতে প্রমাণঃ
لا تنقطع الهجرة حتى تنقطع التوبة, ولا تنقطع التوبة حتى تطلع الشمس من مغربها.
“আল্লাহর নবী বলেছেন, তওবা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজরত বন্ধ হবে না আর সূর্য পশ্চিম গগনে উদিত না হওয়া পর্যন্ত তওবার দ্বারও বন্ধ হবে না।”
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম মদীনায় অবস্থান করার পর অন্যান্য আদেশগুলি প্রাপ্ত হন। যথা যাকাত, দান-খায়রাত, রোযাব্রত পালন, কা’বাগৃহ পরিদর্শন, আযান, জিহাদ, ভাল কাজের আদেশ, মন্দ কাজের নিষেধ ইত্যাদি।
হিজরতের পরের দশ বছর তিনি মদীনায় অতিবাহিত করেন। এরপর ইহলোক ত্যাগ করেন। (আল্লাহর রহমত ও শান্তি তাঁর উপর অজস্র ধারায় বর্ষিত হোক!)
তাঁর প্রচারিত ধর্ম রোয কিয়ামত পর্যন্ত বিদ্যামান থাকবে। তিনি তাঁর উম্মতকে যাবতীয় সৎকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করে দিয়েছেন আর যাবতীয় অপকর্ম সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছ্নে। সর্বোত্তম যে পথ তিনি দেখিয়ে গেছেন তা হচ্ছে তাওহীদের পথ, আর দেখিয়েছেন সেই পথ যা আল্লাহর নিকট প্রিয় এবং তাঁর পছন্দনীয়। এবং সর্ব নিকৃষ্ট ব¯ত্তু যা হতে তিনি সকর্ক করে দিয়েছেন তা’ হচ্ছে শির্ক এবং এমন সব কাজ যা আল্লাহ অপছন্দ করেন।
আল্লাহ নবী (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লম)কে এই নিখিল ধরণীর সকল মানুষের নিকট প্রেরণ করেছেন এবং সমস্ত জ্বিন ও ইনসানের পক্ষে তার আনুগত্য অপরিহার্য করে দিয়েছেন।
এর সমর্থনে কুরআরেন ঘোষণাঃ
قل يأيها الناس إني رسول الله إليكم جميعاً
আয়াতের অর্থঃ
“বল (হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয় সাল্লাম) হে মানব মন্ডলী। আমি (আল্লাহ কর্তৃক) তোমাদের সকলের জন্য প্রেরিত রাসূল।” (সূরা আল-আ’রাফঃ ১৫৮)
মহান আল্লাহ স্বীয় নবীর মাধ্যমে তাঁর এই ধর্মকে পূর্ণপরিণত করেছেন। এর সমর্থনে পবিত্র কুরআনের আয়াত এইঃ
اليوم أكملت لكم دينكم وأتممت عليكم نعمتى ورضيت لكم الإسلام ديناً
আয়াতের অর্থঃ
“তোমাদের (কল্যাণের জন্যে) আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম, আমার নে’য়ামতকে তোমাদের প্রতি সুসম্পন্ন করলাম আর ইসলামকে তোমাদের ধর্ম (দ্বীন) হিসেবে মনোনীত করলাম।” (সূরা আল-মায়েদাঃ ৩)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লামের অবধারিত মৃত্যু সম্পকে কুরআনের বজ্র গম্ভীর ঘোষণাঃ
إنك ميت وإنهم ميتون ثم إنكم يوم القيامة عند ربكم تختصمون.
আয়াতের অর্থঃ
“(হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম) তোমার মৃত্যু হবে এবং ওদের কে একদিন মরতে হবে। ব¯ত্ততঃ তোমরা সকলে তোমাদের প্রভূর সন্নিধানে মহাপ্রলয়ের দিনে বাদ বিসম্বাদ করতে থাকবে।” (সূরা আয্-যুমারঃ ৩১-৩২)
আর মানুষ যখন মরবে, তখন তাকে অবশ্যই (কিয়ামতের দিন) পুনরুত্থিত করা হবে।
এ বিষয়ে কুরআনে ভুরি, ভুরি প্রমাণ বিদ্যমান। যেমন বলা হয়েছেঃ
منها خلقناكم وفيها نعيدكم ومنها نخرجكم تارة أخرى.
আয়াতের অর্থঃ
“আমি তোমাদের মৃত্তিকা হতে সৃষ্টি করেছি আর ওর মাধ্যেই তোমাদের প্রত্যাবর্তিত করব এবং তার থেকেই একদিন আবর তোমাদের বের করে আনব।”(সূরা আত্-তাহাঃ ৫৫)
এ প্রসংগে কুরআন হতে আরও দলীল প্রমাণঃ
والله أنبتكم من الأرض نياتاً. ثم يعيدكم فيها ويخرجكم إخراجاً.
আয়াতের অর্থঃ
“আল্লাহ তোমাদের যমীন হতে উদ্ভুত করেছেন এক বিশেষ প্রণালীতে। এরপর তিনি আবার এতে প্রত্যাবর্তিত করাবেন এবং (এর মধ্য হতে) বের করবেন যথাযথ প্রকারে।” (সূরা আন্-নূহঃ ১৭-১৮)
আর পুনরুত্থানের পর প্রত্যেক (জ্বিন ও ইনসান) এর চুলচেলা হিসেব-নিকেশ নেওয়া হবে এবং তাদের আমল অনুযায়ী পুরস্কার অথবা শাস্তি প্রদান করা হবে।
এ প্রসংগে পবিত্র কুরআনের ঘোষণাঃ
ولله ما في السموات وما في الأرض ليجزى الذين أساءوا بما عملوا ويجزى الذين أحسنوا بالحسنى.
আয়াতের অর্থঃ
“আর নভোমন্ডল ও ভূমণ্ডলে অবস্থিত সমস্ত কিছুই একমাত্র আল্লাহরই অধিকার ভুত্ত। তিনি দুস্কর্মকারীদের কর্মানুসারে তাদের উপযুক্ত বদলা দিবেন, পক্ষান্তরে পুণ্যফল দিবেন সৎকর্মশীলদের।”(সূরা আন্-নাজমঃ ৩১ আয়াত)
আর যারা পুনরুত্থান দিবসকে অস্বীকার করে, তারা কাফির বা অবিশ্বাসী পবিত্র কুরআন এর প্রমাণ ঃ
زعم الذين كفروا أن لن يبعثوا قل بلى وربي لتبعثن ثم لتنبّؤن بما عملتم وذلك على الله يسير.
আয়াতের অর্থঃ
“কাফেররা মনে করে যে, তাদের পুনরুত্থিত করা হবে না। (হে রাসূল), তুমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দাও ঃ হাঁ, আমার প্রভুর শপথ, নিশ্চয় তাদের উত্থিত করা হবে, তখন তোমদের জ্ঞাত করানো হবে, আর আল্লাহর নিকট একাজ অতি সহজ।” (সূরা তাগাবুন ঃ ৭)
আল্লাহ পাক, সমস্ত নবীদের প্রেরণ করেছেন শুভ সংবাদ প্রদানার্থে আর (অকল্যাণ হতে) সতর্ক করার জন্য।
পবিত্র কুরআনে এর প্রমাণ ঃ
رسلاً مبشرين ومنذرين لئلاَّ يكون للناس على الله حجة بعد الرسل
আয়াতের অর্থঃ
“এই রাসূলগনকে আমরা প্রেরণ করেছিলাম সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে যেন রাসূলগনের আগমনের পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানবকূলের পক্ষে কৈফিয়ত দেওয়ার মতো কিছুই না থাকে।” (সূরা আন্-নেসাঃ ১৬৫)
রাসূদের মধ্যে হযরত নূহ ‘আলায়হিসসালাম প্রথম আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ এবং তিনি (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লাম) সংবাদবাহক নাবী ও রাসূলদের মধ্যে সীলমোহর স্বরূপ। হযরত নূহ ‘আলায়হিস্ সালাম সর্বপ্রথম রাসূল, এর সমর্থনে কুরআনের স্পষ্ট ঘোষণাঃ
إنا أوحينا إليك كما أوحينا إلى نوح والنبين من بعده
আয়াতের অর্থঃ
“নিশ্চয়ই (হে রাসূল!) আমি ওহী প্রেরণ করেছি তোমার প্রতি যেমন অহী প্রেরণ করেছিলাম হযরত নূহ ‘আলায়হিস্সালামের প্রতি ও তাঁর পরবর্তী নবীগণের প্রতি”। (সূরা নেসাঃ ১৬৩)
নূহ ‘আলায়হিস্সালাম হতে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত প্রতিটি জাতির নিকট সংবাদবাহক প্রেরণ করা হয়েছিল’ যাতে করে তারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে এবং তাগুতের পূজা থেকে বিরত থাকে।
ولقد بعثنا في كل أمة رسولاً أن اعبدوا الله واجتنبوا الطاغوت
আয়াতের অর্থঃ
“প্রত্যেক উম্মতের নিকট আমি এক একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যেন তোমরা সকলে আল্লাহর ইবাদত করতে থাক ও সকল প্রকার তাগুতের পূজাঁ থেকে বেঁচে থাক।”(সূরা আন্-নাহালঃ ৩৬)
আল্লাহ পাক সমস্ত মানুষকে তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং তাগুতকে (প্রতিমা পূজাসহ গায়রুল্লাহর পূজা ও আনুগত্য বরণ) অস্বীকার করার আদেশ প্রদান করেছেন।
প্রখ্যাত মনীষী ইবনুল কাইয়েম রহমাতুল্লাহি ‘আলায়হি বলেছেনঃ“তাগুত” শব্দটির অর্থ হলঃ সীমালঙ্ঘনকারী ব্যক্তি।
এই ব্যক্তিটি উপাস্য ব্যক্তি হতে পারে আবার উপাসনাকারীও হতে পারে, অনুগত ব্যক্তিও হতে পারে আবার যার আনুগত্য করা হয় সেই ব্যক্তিও হতে পারে।
‘তাগুত অনেক প্রকারের রয়েছে।
এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে পাঁচটিঃ
যথাঃ-
(১) শয়তান (তার উপর আল্লাহর অভিশাপ নিপতিত হোক)।
(২) যার উপাসনা করা হয় এবং সে উত্ত উপাসনায় পুরোপুরি সম্মত থাকে।
(৩) যে ব্যত্তি নিজের উপাসনার জন্যে মানুষকে আহ্বান জানায়।
(৪) যে ব্যত্তি অদৃশ্য বা ভবিষ্যৎ জ্ঞান আছে বলে দাবী করে।
(৫) যে ব্যত্তি পবিত্র কুরআনে যার কোন প্রমাণ বা সমর্থন মেলেনা এমন সব আইন-কানূন দ্বারা শাসনকার্য্য পুরিচালনা করে।
পবিত্র কুরআন এর প্রমাণ সাক্ষ্যঃ
لا إكراه في الدين قد تبين الرشد من الغي فمن يكفر بالطاغوت ويؤمن بالله فقد استمسك بالعروة الوثقى لا انفصام لها والله سميع عليم.
(সূরা আল-বাকারাঃ ২৫৬)
“ইসলাম ধর্ম বা দ্বীনের মধ্যে কোন প্রকারের জবরদস্তী বা বল প্রয়োগ নেই, নিশ্চয় হেদায়াত বিভ্রান্তি পরস্পর হতে স্পষ্টরূপে পৃথক হয়ে গেছে। তাই যে ব্যক্তি সমস্ত “তাগুতকে” অমান্য করল এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনল, নিশ্চয় সে এমন একটি সুদৃঢ় বন্ধন বা অবলম্বনকে আঁকড়ে ধরল যা কোনদিন ছিন্ন হবার নয়। ব¯ত্ততঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বজ্ঞাতা।
এটাই হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর অর্থ তাৎপর্য।
আর হাদীরস রয়েছেঃ
رأس الأمر الإسلام وعموده الصلاة وذروة سنامه الجهاد في سبيل الله
“সব শীর্ষ হচ্ছে ইসলাম এবং ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে নামায, আর এর উচ্চুর শৃংগ হচ্ছে আল্লাহর পথে জিহাদ (ধর্মযুদ্ধ)। আর আল্লাহই হচ্ছেন প্রত্যেক ব্যাপারে সর্বজ্ঞাতা।
সমাপ্ত
মূলঃ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব
অনুবাদঃ মুহাম্মাদ ইব্রাহীম
-----------------------------------------------------------
পিডিএফ/ ওয়ার্ড আকারে ডাউনলোড করতে চাইলে http://www.islamhouse.com/p/281

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




