‘কুকুর হইতে সাবধান’। কিছু কিছু বাড়ির প্রধান গেটে লেখা থাকে এই কথা।
এর মানে কী?
সাধারণভাবে এর মানে দাঁড়ায় বাড়ির ভেতরে কুকুর আছে। দড়ি ছেড়ে দেওয়া বিদেশি কুকুর (দেশি কুকুরের তাও মায়া-দয়া আছে, এদের মধ্যে এই শব্দটিই নেই)। সেই কুকুর থেকে সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে। নইলে কী ঘটবে তা ঘটনা ঘটার পরেই বুঝতে পারবেন।
কারণ কুকুরের কাজ কুকুর করবে। আর আপনাকে করতে হবে আপনার কাজ। সেজন্যই এই সতর্কবাণী, মানে সাবধান থাকাটা হচ্ছে আপনার কাজ। কুকুর ছেড়ে দেওয়া আছে। আপনি নিজেকে সামলে চলুন। ‘সাবধানের মাইর নাই’। এদিক-সেদিক হলেই কামড়।
অনেকে ভাবতে পারেন, এ কেমন কথা। বাড়ি ডেকে নিয়ে এসে অপমান! আমাদের সাবধান না করে কুকুর সামলে রাখলেই তো পারে। অপমানের কী মানে!
তবে এক্ষেত্রে অপমান যতটা না করা হয় তার চেয়ে বেশি দেখানো হয় ভয়। ভয় দেখানোর জন্য কুকুর খুবই উত্তম পন্থা'। বর্তমান সময়ের ডগ স্কোয়াড সে কাজটাই করছে। বিশেষ করে আমাদের দেশের ডগ স্কোয়াড। কাজের কাজ কিছু করুক বা না করুক ভয় দেখানোর কাজটা কিন্তু' আমাদের ডগ স্কোয়াড ভালোভাবেই করছে। কারণ ভয় দেখিয়েই যদি কাজ হয়ে যায় তাহলে কষ্ট করার কী দরকার।
কুকুর হচ্ছে এমন একটি প্রাণী, যাকে মানুষ ভয় পায় আবার ভালোও বাসে। কুকুরকে মানুষ ভালবাসে, কুকুর নিয়ে ঘুমায়, কুকুরকে চুমো খায় আবার ভয়ও পায়। কারণ কুকুর প্রভুভক্ত। প্রভুর জন্য কাউকে কামড়ে দিতে এক সেকেন্ড লাগে না তার। কামড় খাবেন একটা, ইনজেকশন খাবেন ১৪টা। ভয় না পেয়ে উপায় আছে!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




