আমি বোধহয় নষ্ট প্রকৃতির মানুষ
না-; মানুষ কোথায়
দু'মুঠো স্বপ্নের ানাদি আকাঙ্খা
যার ভুমিষ্টতা নির্ভর করে দ্রষ্টা দ্বিতীয়ার উপলক্ষে
হাড় সর্বস্ব পঁচা মাংসে যার সীমান্ত থেকে থেকে ডাকে
ালি-গলির াহেতুক আচ্ছাদনে যার দিন কাটে
পিঠের উপর মস্ত বড় ফোঁড়া নিয়ে দারুন ক্লেষে
যে বলতে পারে-
আমি দরিদ্র, আমি সংকুচিত
আমি সচকিত দাগী ভিত্তিশূণ্য আসামী
সেই কবেকার কথা; কবেকার দিন-
দীর্ঘ গ্রীবা জীবনের এক াংশে বাঁধা ছিল
কিছু সত্য, কিছু মিথ্যা
একটি ব্যক্তিগত াধিকার নিজেকে সোনালী রোদ ঝাপটায়
ফুঁ-দিয়ে উড়িয়ে নিত
তারপর নীলাভ স্বপ্নকে ঘিরে বলতো
মনে করিয়ে দিতে হয়না যেন;
"তুমি আমার চেনা কেউ"
গাংচিল ভেসে যাওয়া কোন গ্রামে কার জন্ম
শৈশব-কৈশর-যৌবন
একটু দুরে গিয়ে মিশেছির উদ্ভাসিত চোখ, সুনয়নার ভালোবাসা;
হাঁটাতে হাঁটতে শস্যক্ষেতের হলুদ জড়িয়ে যেত পায়ে
বসনকরা আলতো শাড়ির আঁচলে মুখ মুছে দিত আমাকে
এমন করে আমি নিঁখুত সৃষ্টি শিশির
যার একদিকে ছিল ভালোলাগা-
ান্যদিকে কঠোর দাবী আদায়ের তৎপরতা-
হয়নি ভ্রুষ্ট শিশুর কপোল আঁকা
হয়নি সর্বাঙ্গে ফাল্গুনের ক্লান্তিকে ঢাকা
পারিনি তার সাগরের প্রাচীনে শ্লেষ্মাপ্রধান হতে
জানিনি ভালোলাগার ান্ধকারে কতটা শ্লীশূন্য থাকে
আমি বোধহয় জীবনতিকার মৃতু্য
যার চুল সমুন্নত;
যার নখ সমাজবদ্ধ;
যার আরষ্টে লেখা 'তুমি দায়ী'
একটা সময় ছিল
যে সময়কে ধরে কাব্য লেখা যায়
একটা নিয়ম ছিল
যে নিয়মকে ধরে ব্যাভিচার বৈকুন্ঠে রাখা যায়
একটা কিছু আবিষ্কার হয়েছিল-
যে আবিষ্কারের ন্যায় একন ভালোবাসা দেওয়া যায়,
মাথার উপর দারুন গর্বে দাঁড়িয়ে আছে দৌরাত্ম্যা
হাতের প্রাণগতি বন্ধক রেখাগুলো মুছে যাচ্ছে
চোখের পাতা মধ্যহ্নকালের স্বপ্ন দেখে
পায়ের শেকলে বাজে শ্রেষ্ঠ বন্দী শোক
"আমি ানড়বড়; আমি জঠোরা; আমি পরিশিষ্ট;
আমি প্রত্যাহিক যক্ষা যন্ত্রনা"
আমাকে তোমরা ক্ষমা করে দিও-
পৃথিবীর গতিতে চলকে পারিনি বলে
আমাকে তোমরা ক্ষমা করে দিও
প্রবর প্রতিশ্রুতি রাখতে পারিনি বলে।
আমি বোধহয় কালধর্মের নিয়ম ভাঙা াতিথি
যার পায়জামা পুরানো;
যার পাঞ্জাবী শ্বেত শ্বেতে;
যার হাতে আগামীকালের নষ্ট সুখের হাতকড়ি-
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



