
প্রজাপতি তার বহুবর্ণিল কাব্যময় পাখাদুটো তুলে দিল মেয়েটির হাতে...
মেয়েটি জানতে চাইল, তোমার কী খুব কষ্ট হচ্ছে?
প্রজাপতির নীল ঠোট, নড়লো সামান্য, বলল, এই দেখো আমি কেমন কথা বলছি...
তোমার কী খুব ঘুম পাচ্ছে?
আমার চোখের পাতা অবাধ্য ভীষণ...
তুমি মরে যাচ্ছো না তো!
আমি একলব্য! আমার বৃদ্ধাঙ্গুল অনাশ্রিত চিরকাল... কেবল রক্তক্ষরণ...
আমার খুব ভয় করছে...
আমার কথা ফুরিয়েছে রাজকন্যা...
আকাশে পুষ্পবৃষ্টি হলো...
এলো জল...
জলে জলে সৃষ্টি হলো সমুদ্র...
মেয়েটি সমুদ্রে নেমে গেল...
মৎস্যকন্যা হলো...
মৎস্যকন্যার পুচ্ছে সুখের রূপালি ঝিলিক...
সমুদ্রের দ্বাররক্ষীরা মৎস্যকন্যার পথ আটকালো...
একটা মৃত প্রজাপতির মন চাই তাদের...
না হলে যে প্রবেশ করা যাবে না জলের স্বর্গে...
মৎস্যকন্যা চিৎকার করে কাঁদলো, তুচ্ছ ভেবে প্রজাপতির মন সে ফেলে এসেছে পথে...
অন্যমনস্ক মেঘ বেদনার জন্ম দিলো...
দ্বিধাগ্রস্ত সমুদ্র ঘর বাঁধলো মৎস্যকন্যার চোখে...
ছবি: সংগৃহীত

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



