ডেংগু মোটামুটি গরীবদের রোগ, মশা গরীবদের ঘরে সহজে যাওয়া আসা করতে পারে; দরিদ্র বসতি এলাকাগুলোতে খোলা নালা-নর্দমা, আবর্জনা, গর্ত, ভাংগা রাস্তা, ঘনবসতি, নেটহীন দরজা-জানালা, সবই মশার জন্য বন্ধুত্বপুর্ণ পরিবেশ। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে এখন দরিদ্র রোগিরাই বেশী। ডেংগু চলাকালে, ও ডেংগু থেকে সুস্হ হওয়ারপর রোগীকে অনেক ফলমুল, ভালো পানীয়(ডাবের পানি), ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হয়। এখন যেসব রোগী হাসপাতালে আছে, তাদেরকে আমাদের প্রেসিডেন্ট ডাব, ফলমুল, সামান্য আইসক্রীম ইত্যাদি পাঠাতে পারেন আগামী ২/৩ মাস; উনাকে নিজের পকেট থেকে ১ পয়সাও খরচ করতে হবে না।
ঢাকাতে এখন মানুষের আর্থিক অবস্হা ভালো, হাজার হাজার মানুষ ডেংগু রোগীদের ও তাদের পরিবারকে সাহায্য করবেন, যদি আমাদের প্রেসিডেন্ট ডাক দেন। তিনি যদি ইউনিভার্সিটি থেকে হাজার খানেক ভলনটিয়ার নেন ও প্রতি হাসপাতালে ৫ জন করে ভলনটিয়ার দেন; যারা মানুষ থেকে ডাব, ফলমুল সংগ্রহ করে, রোগীদের পৌঁছিয়ে দেবে; এতে, দরিদ্র রোগী ও তাদের সাথে অবস্হানকারী পরিবারের লোকদের কষ্ট অনেকটুকু লাঘব হবে।
উনার দরকার, টেলিভিশনগুলোতে গিয়ে, মানুষকে বলা, যাঁরা রোগীদের জন্য ডাব, ফলমুল ও কিছু রেডিমেইড খাবার দিতে চান, তাঁরা যেন উনার অফিসে ফোন করেন। উনার অফিসে ৫০ জন ভলনটিয়ার রাখতে হবে, যারা মানুষের ফোন ধরবেন, ও দাতাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভলনটিয়ারদের কাছে পাঠাবেন, ও ধন্যবাদ দেবেন। যদি প্রয়োজন মত ফলমুল ও খাবার পেয়ে যান, মানুষকে ধন্যবাদ দিয়ে বলবেন যে, সেদিন আর পানীয় বা খাবারের দরকার নেই।
অসুস্হদের মাঝে অনেক শিশু আছে, মানুষ যদি শিশুদের জন্য কোন খেলনা দিতে চান, সুন্দর কোন জামা কাপড় দিতে চান, সেটাও নেয়া যেতে পারে; এতে শিশুদের মন ভালো হবে, ওরা তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে, ও হাসপাতালে অবস্হানের কষ্টটুকু লাঘব হবে। এটা যদি উনি করেন, উনি নিজেই বড় হবেন, ও সবাইকে বড় করতে পারবেন উনার সাথে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮