উহানে ১ জন মানুষেরও চাকুরী যায়নি, ভারতে ১২ কোটী মানুষের চাকুরী গেছে, আমেরিকায় গেছে ৩ কোটী ৩০ লাখের, ফ্রান্সে অল্প শ্রমিকের চাকুরী যাবে। উহানে চাকুরী যায়নি, কারণ চীন জাতি মোটামুটি 'স্বনির্ভর': ওরা তেল, কিছু কাঁচামাল ও খাবার কিনে; আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ক্লিনটানের আগ অবধি স্বনির্ভর ছিলো, ওদের বর্তমান ক্যাপিটেলিজমে, স্বনির্ভর না হলে 'অধিক লাভ' হচ্ছিল; কিন্তু সেটার জন্য মানুষ প্রান ও চাকুরী দিতে হয়েছে; ভারতে সমস্যা হবে; কিন্তু ওদের ব্যুরিক্রেসী শক্ত, পেটেভাতে চলার ব্যবস্হা করে দেবে, ওরা ধরে নিয়েছে যে, ৩০/৪০ কোটীকে সব সময় দাসের মতো করে রাখতে হবে , তাতে সবার মংগল; ফ্রান্সে চাকুরী থাকলে যত টাকা বেতন দিতে হয়, চাকুরী গেলে তার কাছাকাছি বেতন দিতে হয়; ফলে চাকুেরী থেকে তাড়ালে খুব একটা লাভ নেই, ওদের লেবার-আইন বিশ্বের সবার থেকে কঠিন।
বাংলাদেশের শুরুতেই কোন অর্থনৈতিক তত্বকে কাজে লাগায়নি; মিলিটারী আসার পর, উহা পাকিস্তানকে অনুসরণ করার শুরু করে; পাকিস্তান আমেরিকার শিষ্য ছিলো অর্থনৈতিকভাবে, সস্তা টেকনোলোজীর জন্য ওরা চীনের সাথে সম্পর্ক রাখে আসছে। বাংলাদেশও একই পথে গেছে; তবে, বাংলাদেশের ব্যুরোকরেটরা পাকিস্তান থেকে হাজার গুণে দুর্নীতিবাজ, আসলে, দুর্নীতিই ওদের চাকুরীর মুল তত্ব। আমাদের সরকার ও প্রশাসন নিজের নাগরিকদের জন্য বিদেশে 'সস্তা শ্রমের' নামে দাস হিসেবে বিক্রয় করে আসছে, দেশে চাকুরী সৃষ্টির চেষ্টা করেনি, দেশে চাকুরী সৃষ্টি না করে, "বিদেশী বাজার খুঁজছে" আজীবন।
এখন বাংলাদেশ ভুমির তুলনায় অতিরিক্ত জনসংখ্যা সমস্যায় ভুগছে; কিন্তু জনসংখ্যা সমস্যা না হয়ে, আশির্বাদ হতে পারতো, যদি সবাকে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হতো, বাংলাদেশে পড়ালেখার খরচ ছিলো ২ পয়সার সমান ; বাংলাদেশে মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা কোরিয়ান, বা পোল্যান্ডের এইচএসসি'র সমান দক্ষ নয়। একে তো শিক্ষা নেই, তারপর নিচুমানের শিক্ষার কারণে পুরো জাতি ভয়ংকরভাবে পেছনে পড়ে গেছে। সরকারে এসব মানুষেরাই চাকুরী করছে, এরা এত অদক্ষ যে, দেশের নতুন গ্রেজুয়েটদের অর্ধেকই বেকার থেকে যায়।
বাংলাদেশকে এই সমস্যা থেকে বের হতে হলে, জাতিকে উহানের মতো আধা-সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি প্রয়োগ করতে হবে; পুরো সোস্যালিষ্ট নীতি প্রয়োগ করতে গেলে ধর্মীয়রা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে, এদের সংখ্যা দেশে এখন অনেক; দুর্নীতি, এনার্খি ও বেকারত্ব আমাদের দেশে মানুষকে ধর্মের উতোপিয়ার দিকে নিয়ে গেছে; অভাবে পাগল হয়ে, ন্যংটা হয়ে হাঁটলে, সবাই উহাকে 'দরবেশ' মনে করে। এগুলো জাতির চরিত্রের উপর নির্ভর করে; রাশিয়ানরা অভাব, দুর্নীতি, এনার্খি ও বেকারত্বের শিকার হওয়ার পর, সোস্যালিষ্ট বিপ্লব করেছে; বাংগালীরা অভাব, দুর্নীতি, এনার্খি ও বেকারত্বের শিকার হয়ে, ধর্মের উতোপিয়ার মাঝে আশ্রয় খুঁজছে।
সরকার, ধনীক শ্রেণী, ব্যুরোক্রেটরা ও প্রশাসন মানুষকে উহানের মডেলের দিকে যেতে দেবে না; তারা বর্তমান অবস্হা ধরে রাখতে চাইবে যেকোন মুল্যে; কিন্তু শিক্ষিতদের চেষ্টা করতে হবে, একটি অর্থনৈতিক সমাধান বের করার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৪