ট্রাম্পের সরকার জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী করার পলিসি ও পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি এলাকাগুলোকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে গণ্য করার পক্ষে আছে; এজন্য, মাহমুদ আব্বাস আমেরিকা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে, আমেরিকার সাথে আলোচনায় বসবে না। কিন্ত এই ঘোষণায় প্যালেষ্টাইনীরা কি কোনভাবে লাভবান হচ্ছে, নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে? আমেরিকার সাথে আলোচনায় না বসলে, কার সাথে আলোচনায় বসবে: বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তুরস্ক, কিংবা ইরানের সাথে?
১৯৪৮ সালের ১৪'ই মে (ইসরায়েলের স্বাধীনতা ) অবধি প্যালেষ্টাইনীরা প্যালেষ্টাইনে শুধু নিজেদের জন্য ১ দেশ চেয়ে আসছিলো; দু:খের বিষয়, দেশ একটাই হয়েছে, কিন্তু উহা ইহুদীদের জন্য। সেইদিন প্যালেষ্টাইনের প্রতিনিধিদল ইউএন'এ উপস্হিত থেকে নিজেদের জন্য আরেকটা দেশ বুঝে নিতে পারতো, তারা সেটা করেনি; তারা ১২টি মুসলিম দেশের সমর্থনে যুদ্ধ করে, প্যালেষ্টাইনে ১ দেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৫ই মে সকালে যুদ্ধ শুরু করে, এবং পরাজিত হয়। পরাজিত হওয়ার পরপরই যদি তাদের মাথায় বুদ্ধির উদয় হতো, তারা ২/৪ মাসের মাসে ইউএন'এ উপস্হিত হয়ে, নিজেদের জন্য একটা দেশ পেতে পারতো; তারা সেটাও করেনি।
এরপর, কয়েকটি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে তারা তাদের বসবাসের বিরাট এলাকা ইসরায়েলের কাছে হারিয়ে ফেলেছে। ১৯৯৩ সালে, প্যালেষ্টাইনীরা ইসরায়েলকে মেনে নিয়ে, ২রাষ্ট্র-সমাধানে স্বাক্ষর করে; এরপর ২৭ বছর চলে গেছে, এখনো প্যালেষ্টাইন দেশ নেই।
প্যালেষ্টাইনীরা কিভাবে ও কখন তারা নিজেদের বাসস্হানকে দেশে পরিণত করতে চায়, উহার একটা প্ল্যান ও দরকারী পদক্ষেপগুলো বিশ্ববাসীকে (ইউএন) জানিয়ে মতামত চাইতে পারে। আলোচনার পর আলোচনা, চুক্তির পর চুক্তি, আন্দোলনের পর আন্দোলন, যুদ্ধের পর যুদ্ধ, এতদিন তাদেরকে কিছুই দেয়নি। তবে, আলোচনা, চুক্তি, যুদ্ধ যেটাই করতে চান আব্বাস, উহা আমেরিকার সাথেই করতে হবে; কারণ, শুধুমাত্র আমেরিকাই ইহার সমাধান করতে পারবে; আমেরিকাকে বর্জন করলে, প্যালেষ্টাইনের জন্য সামনে কিছুই নেই; আমেরিকা বর্জন মানে বেকুবী করে সময় নষ্ট করা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৩