দেশের অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে শেখ হাসিনা ঠিক আগের মতো শক্তিশালী নন; দেশের ইসলামিক দলগুলো এই ধরণের সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলো। ইসলামিক দলগুলো শেখ হাসিনার পক্ষে কখনো ছিল না, কখনো থাকবে না; তারা শেখ হাসিনার সরাসরি বিরোধিতা করার মতো কোন শক্তি হিসেবে গণ্য হয়নি এতদিন; কিন্তু শেখ হাসিনার অসফলতার কারণে তারা সংখ্যায় বাড়ছে, এবং শেখ হাসিনার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্হার অভাবকে কাজে লাগাতে চাইবে একদিন; শেখ সাহেবের ভাস্কর্য নিয়ে তারা শক্তি পরীক্ষা করে দেখছে, শেখ হাসিনাকে বাজিয়ে দেখছে।
দেশে পড়ালেখার মান যতো কমবে, বেকারের সংখ্যা যত বাড়বে, যত বেশী সংখ্যক মানুষ বউ রেখে আরব যাবে, সমাজে যত বেশী বিশৃংখলা দেখা দিবে, ইসলামিক দলগুলোর পাল্লা ক্রমেই ভারী হবে, এটা জাতীয় সমস্যা। জাতীয় সমস্যা সমাধানে জাতির ঐক্যবদ্ধ শক্তির দরকার হয়; শেখ হাসিনার পেছনে জাতির বড় অংশ ঐক্যবদ্ধ নন এই মহুর্তে। এখন উনার সাথে যারা আছে, এরা কি আসলে কোন শক্তি, নাকি কাগুজে বাঘ; সেটা ইসলামিক দলগুলো মাপার চেষ্টা করছে।
ইসলামিক দলগুলো পাক ভারতে কখনো জয়ী হবে না, কিন্তু দেশে বিশৃংখলা ঘটানোর জন্য যথেষ্ট। ইরানে ইসলামিক দল ক্ষমতায় আছে, মানুষ অশান্তিতে আছে; তাদের নিজের দেশের মানুষ বেকার, কিন্তু ইরাক, লেবানন, প্যালেষ্টাইন, সিরিয়ার মিলিশিয়ারা ইরানী টাকায় বেতন পাচ্ছে; এটম বোমা বানাতে গিয়ে একদিন এটম বোমা খেয়েও ফেলতে পারে।
আরেকটি শক্তিশালী জাতি ছিলো তুরস্ক; এখন তারা ইসলামিক জাতিতে পরিণত হচ্ছে, তাদের নেতা এরদেগানের নেতৃত্বে; কাজের মাঝে যা ঘটছে, তারা ইউরোপকে পেছনে রেখে এশিয়ান জাতি হিসেবে, এশিয়ার রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে; এশিয়ায় তাদের কোন ভুমিকা, কিংবা কাজ আছে বলেমনে হয় না; একটা সময়ে, তারা এশিয়ান সমস্যায় ভুগবে, এবং শীঘ্রই।
বাংলাদেশের ইসলামিক মনোভাবের লোকদের কোন ধরণের পেশা নেই, রাজনৈতিক ধারণা নেই, আধুনিক আর্থনীতি ও সমাজজ্ঞান নেই; তারা নিজেরাই চলতে পারে না; তারা একটি জাতি চালানোর মতো জ্ঞান কখনো লাভ করতে পারবে না; সুযোগ পেলে, হয়তো, আরেকটি ইয়েমেনের সৃষ্টি করতে পারবে; তবে, সেই সুযোগ আসবে না; কারণ, বাংগালীরা তাদেরকে ভালোভাবে বুঝে, তাদের দৌড় কতটুকু তা সবাই জানে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১