বাংলাদেশে টেব্লয়েড পত্রিকা আছে, নাকি বাংলাদেশের সব পত্রিকাই টেব্লয়েড? টেব্লয়েড পত্রিকাগুলো ইউরোপ, আমেরিকায় স্বীকৃত মিডিয়ার অংশ, এরা আজগুবি খবর টবর দেয়; কিংবা খবরকে আজগুবি চরিত্র দিয়ে প্রকাশ করে যাতে মানুষ আকৃষ্ট হয়, কিনে; বাংলাদেশে এই ধরণের খবর প্রতিদন বের হচ্ছে, আপনারা এতে নিশ্চয় অভ্যস্ত। বৃটিশেরা বেশ ইন্টেলিজেন্ট পাঠক, আবার টেব্লয়েডের বেশী পাঠক বৃটেনে।
বৃটিশ টেব্লয়েড "দি সান" (১১/২৭/২০০) একটি খবর প্রকাশ করেছে যে, চীনা বিজ্ঞানীরা নাকি বলেছে, করোনা-ভাইরাস ভারত কিংবা বাংলাদেশ থেকেই শুরু হয়েছে। এই সংবাদ অনলাইনের কারণে বিশ্বের অনেক পাঠকেই পড়বেন; পড়ার পর, কে কিভাবে নেবে সেটাই আসল ব্যাপার। আমার ধারণা, কোন আমেরিকান ইহাকে সিরিয়াস খবর হিসেবে নেবে না; কারণ, ইহা বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, ইহার শুরু চীনের উহানে।
ভারত ও বাংলাদেশের বেশীরভাগ পাঠক এই সংবাদে শিহরিত ও রাগান্বিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে; মনে হয়, বাংলাদেশ ও ভারতীয় ফেইসবুকে ইতিমধ্যে ঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে; এগুলো হচ্ছে, পাঠকদের ভুল রিএ্যাকশন, এতে আজগুবি খবর এক সময় খবরে পরিণত হতে পারে।
চীন ও ভারত তাদের সীমান্ত নিয়ে অকারণ বিবাদে মত্ত হয়েছে; ভারত-বিরোধী প্রচারণা হিসেবে এসব কথা চীনের কেহ কেহ বলতে পারে, চীনের মানুষ সারাবিশ্বে বাস করে, তাদের বিজ্ঞানীর সংখ্যাও অফুরন্ত। কোন ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ কোন দেশে ঘটে, সেটা শুধু উন্নত দেশগুলো কিছুটা বলতে পারে, যদি শুরুটা দ্রুত ধরা পড়ে। বাংলাদেশ, ভারত, বা আফ্রিকান দেশগুলো এসব ভাইরাসের প্রাথমিক সংক্রমণ সম্পর্কে জানার মতো অবস্হানে নেই।
যাক, করোনার প্রাথমিক সংক্রমণ সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষকে ভাবতে হবে না, বিশ্বের বিজ্ঞানীরা জানে যে, উহা উহানে হয়েছিলো; কিন্তু অকারণে নিজেদের মিডিয়ায় ইহা নিয়ে ভয়ংকর রিএ্যাকশন করলে, ইহা একটা সংবাদে পরিণত হতে পারে, অনেক বেকুবের জন্য ইহা ভাবনার বিষয় হয়ে যেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮