আজকের দিনটি মানুষের জ্ঞান, বিজ্ঞান, টেকনোলোজীর আরেকটি মাইলষ্টোন।
আজকের দিনটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন; মানব জাতি এই ১ম'বার এতো কম সময়ে ভয়ংকর কোন ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কার করে, ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত; বৃটেন করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে আজকে; বৃটেন যদি আগের থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকে, আজকের থেকেই হেলথ-কেয়ার কর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়ার শুরু করতে পারবে। এই মাসের ১০ তারিখে আমেরিকান ঔষধ নিয়নত্রণ সংস্হা "এফডিএ" ফাইজার ও মডের্না ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়ার সম্ভাবনা; শোনা যাচ্ছে, হাসপাতালগুলো ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে তার আগেই।
আমরা, ব্লগারেরা করোনার সাথে সবচেয়ে বেশী পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি; ভাইরাসটা সম্পর্কে সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা পেয়েছি, ইহার দ্বারা মানব সভ্যতা কিভাবে সামজিক ও অর্থনৈতিভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে তা বুঝার সুযোগ পেয়েছি। এই রোগের থাবা থেকে চীন, কোরিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া কিভাবে সহজে বেরিয়ে এলো সেটা আমরা দেখলাম; কি কারণে আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, ইরান, বাংলদেশ বেশী ভুগলো সেটার কারণগুলোও পরিস্কার হলো।
আমেরিকার ভোগান্তির ব্যাপারটা খুবই ভাবনার বিষয়; এদের হেলথ-কেয়ার, সম্পদ, শিক্ষা, বিজ্ঞান, টেকনোলোজী যেই পর্যায়ে আছে, তাতে ২০০ থেকে ২০০০ হাজারের বেশী মানুষের মৃত্যু হওয়ারও কথা নয়; কিন্তু এদের মৃত্যুর সংখ্যা (২লাখ ৭৫ হাজার), সংক্রমণের সংখ্যা (কম পক্ষে ৪ কোটী), ব্যয়িত সম্পদ, ৬ কোটী মানুষের চাকুরী চলে যাওয়া, প্রেসিডেন্টের পুরো পরিবার অসুস্হ হওয়া আমেরিকার জন্য ভয়ংকর ভাবনার বিষয়।
দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যেই প্রোফাইল, সেই দিক থেকে জাতি খারাপ করেনি; পুরো জাতির আচরণ বিশৃংখল ছিলো পুরো সময়টায়; যাক, দেশের জলবায়ু ও মানুষের শারীরিক প্রতিরোধ শক্তি জাতির পক্ষে ছিলো; এখানে করোনা ছড়ায়ে বিশৃংখলার কারণে, শেষ হবেও বিশৃংখলভাবে; হয়তো, সবার শেষে জাতি করোনামুক্ত হবে; বাংলাদেশের অর্থনীতি দীর্ঘ সময় ভুগতে থাকবে; যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলো, তাদের দীর্মেয়াদী শারিরীক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১২