দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অনেক লুকোচুরি খেলার পর, অনেক রাজনীতিবিদের ভাল মানুষির রঙ্গিন মুখোশ উদ্ধারের পর আমাদের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এসেছে। বাংলাদেশের দুর্নীতির ইতিহাসে একসাথে এতগুলো রুই-কাতলা কখনও এক ঝাঁকে একসাথে ধরা পড়েছে বলে মনে হয় না (এমন ইতিহাস হয়ত বাংলাদেশের মৎস্য বিভাগের কাছেও নেই)। এবারের ভোটারের মধ্যে তরুণ ভোটাররা একটি বিশাল অংশ। এজন্য তাদেরকে-ই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কে হতে পারে তাদের জন্য যোগ্য প্রার্থী? প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তারা বেশিরভাগ-ই বিভিন্ন কারণেই কোন একটি বিশেষ মহল দারা প্রভাবিত থাকেন; যার সম্ভাবনা নতুন ভোটারদের জন্য প্রবীণ ভোটারদের তুলনায় অনেক কম হবার কথা। তবে মাঝে মধ্যেই “হুজুগ” নামক একটি ব্যাপার তরুণদের ভিতর প্রবলভাবে লক্ষ্য করা যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমি নিজের মুখে অনেককেই বলতে শুনেছি “আমি না ভোট দেবো”। কিন্তু “না ভোট”-এর কারণ জানতে চাইলে সঠিক উত্তর করতে পারেন এমন খুব কম-ই ছিলেন। তাই আমার অনুরোধ থাকবে সবার কাছে বিষেশতঃ যারা এবার নতুন ভোটার তাদের কাছে - “হুজুগে চলবেন না”। যাকে যোগ্য মনে হয় তাকেই ভোট দেবেন। অবশ্য যদি আপনার কাউকেই যোগ্য মনে না হয় সেক্ষেত্রে না ভোটের কোনো বিকল্প দেখছি না। তবে মনে রাখবেন আপনার একটি ভোটের পর আপনাকে যেন আগামী বছরগুলোতে পস্তাতে না হয়।
আমাদের রাজনীতির আঙ্গিনায় দীর্ঘ সময় পর দিন বদলের যে জোয়ার এসেছে আমাদের সেই জোয়ারের স্রোতকে কাজে লাগাতে হবে। এখনি তো সময় নিজেদের বদলে ফেলার; এখনি তো সময় নতুন কিছু ভাবার-গড়ার। আমরা যদি এবারের নির্বাচনে সত ও যোগ্য প্রার্থীকে বের করে আনতে না পারি তাহলে আমরা হয়ত আরও অনেক পিছিয়ে পড়ব। অন্যদের কথা যানি না- এবারের নির্বাচনের উপর আমার প্রত্যাশা অনেক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



