somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সখি ভালোবাসা কারে কয়...সে কি শুধু-ই যাতনাময়...

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সতর্কতাবাণী - এই ব্লগের সবগুলো চরিত্র বাস্তব এবং এদের সাথে বাস্তবে যদি কারও মিল পাওয়া যায় তাহলে এরা সবাই আমার পরিচিত এরূপ মনে করবার কোনো কারণ নেই। এই ব্লগটির কন্টেন্ট খুবই ছাপোষা, তাই নিতান্ত অবসর না থাকলে পড়বার কষ্ট করে আমাকে মনে মনে কিংবা সরাসরি গালাগাল করলে আমি দায়ী থাকব না। তবে সবরকম কমেন্ট সাদরে আমন্ত্রিত।

অনেকদিন ধরেই লিখব লিখব করছিলাম। এর আগেও দুই-একবার যে লিখবার চেষ্টা করিনি তা নয়। কয়েক লাইন লিখবার পর মনে হয় - কী লিখলাম এগুলো ?? যত্তোসব!! তাই এবার পহেলা ফাল্গুন আর ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র ফুফুরে আমেজে সাহস করে লিখেই ফেললাম।

“ভালোবাসার আবার দিবস লাগে নাকি? যারা ভালবাসতে জানে তাদের জন্য প্রত্যেক দিন-ই তো ভালেন্টাইন্স ডে”...এই বিখ্যাত উক্তিটি আমার নয়। আমার খুব কাছের এক বন্ধুর ; আভিজ্ঞতা-সম্পন্ন বন্ধুর। অভিজ্ঞতার বলতে যা বোঝাতে চাচ্ছি তা হলো বারবার প্রেম এবং তথাকথিত ছ্যাকা খাবার অভিজ্ঞতা। সেই ভদ্রলোকের প্রেমিক মন - একটি প্রেমের করুন উপাখ্যানের সাথে সাথেই কোথা না কোথা থেকে যেন নতুন প্রেমের রঙ্গিন সূতোটি বের হয়ে আসত তা একমাত্র উপরওয়ালাই জানেন। স্কুল-লাইফের শৈশবকাল থেকে শুরু করে চলমান যৌবন পর্যন্ত সে বেশ ক’জনাকেই -“আসলেই ভালবেসেছে”(তার ব্যাক্তিগত ভাষ্য অনুযায়ী)। অবশ্য আমি তার অনেক কাছের একজন হয়েও তার কাছ থেকে কিছুই শিখতে পারি নি। মাঝে মাঝে তার রোমান্টিক সময়গুলো দেখলে মনে হয়- আমার যদি এরকম কেউ থাকত যে অন্য সবার চেয়ে আলাদা; যে নিজের চেয়েও আমাকে বেশি খেয়াল করবে; যে আমার সাথে হাসবে-কাদঁবে ... এরকম আরও অনেক কিছু। কিন্তু কিছুদিন পর যখন তার/তাদের অন্য চেহারা দেখি তখন মনে হয় -ভাগগিস আমি এখনও সিংগেল। তবে আমার সেই বন্ধুর মনের এই ভাঙ্গা-গড়ায় আর যা-ই হোক না কেন, প্রতি পর্বের পরিশেষে বেশ ভাল কিছু কবিতা আমরা পেতাম।

এরকম কিছু চরিত্র আমাদের বন্ধুমহলে বেশ কমন।তবে একটি পশ্ন আমার মনে থেকেই যায়- ভালোবাসা ব্যাপারটা কি পরিণত বয়সের একটি জটিল সিদ্ধান্ত নাকি অপরিণত বয়সের পাগলামির মাশুল?

প্রেম বিষয়ে আমার যা অভিজ্ঞতা তার পুরোটাই মূলতঃ পরোক্ষ বা যাকে বলা দেখে দেখে শেখা। আমার আরেক বন্ধুর কথা বলি- নাম সোহেল (আমার বানানো নাম) তার সম্পর্কে আমাদের বন্ধুমহলের মতামত হলো- “he is neither single nor double;...... always triple”। বানিয়ে বলছি না; সে সর্বদা একটি “লাভ ট্রাইএংগেল”এর ভিতর বসবাস করে। কোনো না কোনো একজনের সাথে তার কিছু না কিছু নিয়ে মনঃমালিন্ন্য চলতেই থাকে। ঠিক সেই সময়েই ঘটে আরেক নায়িকার আবির্ভাব। নতুন নায়িকা তার সমস্যাগুলো বোঝে, তাকে মানসিক শক্তি প্রদান করে এবং খুব-ই বুদ্ধিমতি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়। এরপর যা হয় তা কিছুটা রসায়নের SN2 বিক্রিয়ার মত। নতুন নায়িকা প্রথম নায়িকাকে স্থলাভিসিক্ত করে। কিছুদিন যাবার পরই একই কাহিনী। সেই একই কারণে নায়িকার সাথে তার আবার দন্দ শুরু হয়। তখন সেই মেয়েটি আর আগের বুদ্ধিমতিটি নেই কারণ সে তো এখন প্রথম নায়িকার ভূমিকায়। তারপর যা ঘটে তা ৪-৫ লাইন আগেই বলে এসেছি।

এদের ভালোবাসা-ভালোবাসা খেলা দেখলে মনে হয় এক ধরনের hypocrisy। আদৌ কী তারা ভালোবাসার মানে জানে? এদের রোমান্সে ভাল-ভাল ডেটিং-স্পট আছে; দামি-দামি রেস্টুরেন্ট আছে; ফাইনাল পরীক্ষা শিকায় তুলে রাতের পর রাত জেগে মোবাইলে কথা বলার তাগিদ আছে; পকেটমানি কিংবা ঈদের জামা কেনার টাকা বাচিঁয়ে উপহার কেনার মত উদারতাও আছে - কিন্তু কোথায় যেন কিছু একটা জিনিস বাদ পড়ে যায়। এই বাদ পড়া জিনিসটিই হয়তঃ ভালোবাসা।

আমার কাছে মাঝে মাঝে(সবসময় নয়) মনে হয় ভালোবাসা ব্যাপারটা একরকম সার্থপরতা। যারা প্রেমের পাখি তারা আমার উপর রাগ করবেন না; আমি বুঝিয়ে বলছি। ভালোবাসায় আমরা শুধু নিজেরটাই পুরোপরি আদায় করে নিতে ব্যাস্ত- আমাকে নিয়েই বেশি ভাববে; আমার সাথে কাদঁবে-হাসবে; শুধু আমার সাথেই কথা বলবে - এই সবকিছুর মধ্যে “আমার” শব্দটিই কি সবচেয়ে বেশি প্রতীয়মান হয় না? এখানেই কি আমাদের শঠতা নাকি এখানেই ভালোবাসার পূর্ণতা?

আমি ভালোবাসার পক্ষে না বিপক্ষে এটি কোনোভাবেই আমার লেখার প্রতিপাদ্য নয়। আমার মনে কিছু প্রশ্ন ছিল যার কয়েকটি তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি মাত্র।উত্তরগুলোর জন্য আমি পাঠক-সমালোচকদের উপর নির্ভর করে থাকলাম। তারপরও অনেক লিখে ফেলেছি। সম্পূর্ণরূপে ব্যাক্তিগত অভিমত নির্ভর একটি লেখা - তাই ভুল-ভ্রান্তির পরিমাণ ব্যাপক। পোস্টটির পর বাইরে গিয়ে আমার প্রেমিক-প্রেমিকা বন্ধুদের হাতে গণধোলাই এর কবলে না পড়লে পরে অন্য কোনো দিন না-হয় “ভালোবাসা” আর “ভালো বাসা” নিয়ে তর্ক করা যাবে। বেশি বড় ব্লগ পড়াও আবার বিরক্তিকর। তাই আজ এখানেই ক্ষান্ত দিচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩৩
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×