পীচঢালা পথে কাল পড়েছিলো একটা মৃত বাঘ, আমি চাঁদের সাথে বাড়ি ফিরছিলাম, মৃত বাঘেরও থাকে শ্লাঘাময় রোশনাই, টিম টিম করে জ্বলে আমার চাঁদ, আমি চাঁদের হাত ধরে টানি, চাঁদ কিছুতেই সেই রোশনাই থেকে মুখ ফেরাতে পারে না। আমি বাধ্য হয়ে নিজের মুঠির ভেতর স্বভাবে নখের আড়ালে লুকিয়ে রাখা ছুরি বের করে জাতিস্মর যাতনার কুপি জ্বেলে মৃত বাঘের চামড়া ছিলতে মনোযোগী হই। একজন দক্ষ চামড়া শ্রমিকের মতো আমাকে মৃত বাঘের চামড়া ছিলতে দেখে চাঁদ আলোকিত হতে থাকে, মৃত বাঘের চামড়া দিয়ে আমি একটা সুন্দর জাফরান রঙের আলোয়ান বানিয়ে গায়ে জড়াই, ঝলমল করে ওঠে চাঁদ, আমাকে জোছনা মুড়ে দিয়ে বললো কেঁদো না চিত্রা, চলো বাড়ি যাই, একটা নদী যখন আমার চোখ থেকে নেমে চর্মহীন মৃত বাঘের পাশে গিয়ে বসলো, তখন পৃথিবীতে নেমে এসেছে অমারাত। আমি আলোয়ানে ঢেকে রাখলাম ক্রীতদাস চাঁদের জ্যোৎস্না, যে নদীকে পেছনে ফেলে এলাম সে কুলকুল করে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো মৃত চর্মহীন বাঘটাকে। চোখ মুছতে গিয়ে দেখি অর্ধেক নদী রয়ে গেছে চোখে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩