somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

চোরাবালি-
পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

রাজিবের মৃত্যু, দায়বন্ধতা কি শুধু বাস মালিকের??

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দুর্ঘটনা অবশ্যই মর্মান্তিক। এবং অবশ্যই ক্ষতিপূরণ এর দাবিদার।

কিন্তু এদায় কি শুধু বাস মালিকের?? দ্বিতীয়ত এ টাকা কি আদায় যোগ্য? জরিমানাটা এমন হওয়া উচিত যা আদায় যোগ্য। একটি বাসের দাম ১০/১২লাখ টাকা (বাংলাদেশের সিটিতে যে লক্কর যানগুলি চলে)। কি হবে? বাসটি আটক হয়ে থাকলে সে মালিক চিরতরে বাসের কথা ভুলে যাবে। বাস আর থানা থেকে আনতেও যাবে না। যদি থানায় আটক না হয়ে থাকে রং পাল্টে বছরের পর বছর চলবে প্রশাসন খুজে পাবে না। তাই জরিমানাটা এমন হওয়া উচিত যেন বাস মালিকের দেয়ার ক্ষমতা বা সামর্থের মধ্যে থাকে এবং আদায় যোগ্যও বটে।

দ্বিতীয়ত কোন সভ্য দেশে জানালার বাইরে হাত দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে? সাথে সাথে প্রশ্ন কোন সভ্যদেশে বাস ঘেষাঘেষি করে চলে? উত্তর অবশ্যই কোন সভ্যদেশে এভাবে চলে না। অতএব দায়বন্ধতা উভয়েরই। শুধু বাস মালিক বা চালকের না, যাত্রিরও।

তারপর বাংলাদেশে বাসে মানুষ যেভাবে ঝুলে যায় সেটি আসলেই ভয়ংকর ব্যপার। যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বাসের চালক বা হেল্পার কিন্তু জোর করে এভাবে যাত্রি তোলে না; যাত্রিরা ওঠে তাদের প্রয়োজনে। কারণ একটায় বলা হয় গণপরিবহন সংকট। আসলেই কি গণপরিবহন সংকট? আমার দৃষ্টিতে না। যথেষ্ঠ গণপরিবহন আছে। এদেশে ১০মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা। ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয়; না আছে কোন শৃঙ্খলা; না রাস্তার অবস্থা ভালো; রাস্তা যেটি সেটি চলাচলের অযোগ্যই। গাড়ী যখন আটকে থাকে তখন স্বভবাতই সংকট পরে, গাড়ী বাড়িয়ে এ ভোগান্তি বাড়বে, কমবে না।

রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকার দরুন যখনই সুযোগ পায় তখনই জোড়ে চালাতে গিয়ে ঘটে অনেক দুর্ঘটনা; আর সাধারণত একটু অসাবধান হলেই ঘটতে পারে এমন দুর্ঘটনা। এখানে দোষ ড্রাইভারদের তারা কেন তাড়াহুরো করে? যতি তারা তাড়াহুরো না করে অন্যকে চলার স্বার্থেই সুযোগ করে দেয়, পাশ কাটিয়ে যাওয়ার তাদের কপালে জোটে অকথ্য ভাষায় গালি- রাক্সা চালাস নাকি থেকে শুরু করে-- মাদার ---দ, যে যেমন পারে। যাত্রিরাও যেমন অস্থির কেননা তাদের লক্ষ্যে পৌছাতে হবে চালকও, একদিকে গালিগালাজের ভয় অন্যদিকে ট্রিপ প্রতি তাদের আয় নির্ভর। আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় যদি এদেশে যদি পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান থাকত তা হলে ঢাকা শহরে বাস চালানোর লোক পাওয়া যেত না; রাস্তার যে অবস্থা।

এবার মালিকের দোষ কেন তারা ট্রিপ প্রতি মজুরি প্রদান করে? প্রতিটি ব্যাবসায়িই ব্যাবসায়িক দিক বিবেচনা করে। আগে একটি বাস উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৫/৬টা ট্রিপ দিতে পারত, এখন ২/৩টার বেশী সম্ভব হয় না কখনও কখনও সেটিও সম্ভব হয় না। স্বভাবতই মালিক ঘর থেকে টাকা দেবে না; ব্যাবসা হলেই সে টাকা দিতে পারবে। একটা সময় দিন মজুরী প্রদান করা হত; তখন তারা মালিকের অনেক ইনকাম করে দিচ্ছে তারা কম পাচ্ছে এ ধরনের কথা উঠল, মালিকেরা পরিবহণ শ্রমিকদের আবদারে ট্রিপ প্রতি মজুরি প্রদান কেরা শুরু করল। শ্রমিকেরা অনেক বেশী রোজগার পাচ্ছে আগের তুলনায়।

এবার মালিকের খরচ- সকাল বেলা বাস বের হলেই চাঁদাবাজি ২২০টাকা থেকে ৫০০টাকা। প্রতিটি সার্জেন্ট পয়েন্টে মাসিক চাদা, পুলিশ রিকুজিশন নামে আল্লাহর ওয়াস্তে গাড়ী চালানো। কখনও কখনও এমনও আছে তেলও মালিককে দিতে হয় পুলিশ রিকুজিশনের সময়। ড্রাইভারকে খাওয়ার টাকাটাও তারা দেন না, মালিককে বহন করতে হয়। বছর শেষে বিআরটিএতে গেলে টাকা ছাড়া ফাইল সরবে না; তার সাথে আছে উটকো মামলা; পুলিশ যখন মামলার টার্গেট সম্পন্ন করতে না পারে তখন যে কোন সুতোই গাড়ীর বিরুদ্ধে মামলা করে রাজস্ব আদায়ে সহায়তা করে (যারা ব্যাক্তিগত গাড়ী ব্যবহার করেন তারাও ব্যাপারটা জানেন)।

আসলে সমস্যাটা আমাদের কোথায়? আমার মনে হয় সবকিছুর মূলে আমাদের নষ্ট রাজনৈতক সমাজ; যারা আমাদের বিভিন্ন অব্যাবস্থাপনার ফাঁদে আটকে ধ্বংশ করছে আমাদের।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১১
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×