গত বৃহস্পতিবার শহীদ মিনারে পুলিশের মরিচের গুড়া মিশ্রিত টিয়ার স্প্রেতে অসুস্থ হওয়া পটুয়াখালীর এক মাদ্রাসা শিক্ষক মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন, নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ এশারত আলী।
তিনি আরও বলেন, এমপিওর দাবিতে ঢাকায় আন্দোলন করতে এসেছিলেন নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের পটুয়াখালী জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেকান্দার আলী (৪৫)। তিনি জেলার দুমকি উপজেলার চড়বয়রা দাখিল বালিকা মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার শহীদ মিনারে শিক্ষকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করার সময় পুলিশ সেখানে বাধা দেয়। শিক্ষকদের তাড়াতে পুলিশ মরিচের গুড়া মিশ্রিত টিয়ার স্প্রে মারে। সরাসরি নাক, মুখ এবং চোখে এ স্প্রে প্রবেশ করলে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন সেকান্দার আলী। তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও বিকেলের দিকে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন এ মাদ্রাসা শিক্ষক। বৃহস্পতিবারই তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান অবস্থার আরো অবনতি হয় তার। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েও বাঁচানো যায়নি সেকান্দার আলীকে। অবশেষে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আলোচিত এই রাসায়নিক গ্যাস সম্পর্কে সম্প্রতি আমার ব্লগে আরও একটি লেখা প্রকাশ পেয়েছিল, যেখানে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাইকে সজাগ হবার উদাত্ত আহবান জানিয়েছিলাম। সেকেন্দার আলী নামের এই শিক্ষকের মৃতুর পর এর ভয়াবহতা প্রমানে আর কোন সংশয় রইলনা।
বিষয়টি সবাইকেই ভাবতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



