রাষ্ট্র মহীউদ্দিন খান আলমগীরের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার বলে রাজনীতি সংশ্লিষ্টগণ মনে করছেন। সাম্প্রতিককালে দেশব্যাপী জামাত-শিবিরের তান্ডব এবং ইসলামী দল গুলোর বিক্ষোভ নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারা, মন্ত্রণালয়ের সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার চেষ্টা, বিভিন্ন মহল থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তার বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগে, পুলিশের উর্ধতন কর্মর্কতাদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার, দলীয় নেতাকর্মীদেরকে মূল্যায়ন না করার মতো হাজারো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ফলে তাকে নিয়ে সরকার পুরো অস্বস্তিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, মহীউদ্দিন খান আলমগীরের সঙ্গে ক্ষমতাশীন দলের কোন স্তরের নেতৃবৃন্দের সুসম্পর্ক নেই। তার নিজ মন্ত্রণালয়েও তিনি বন্ধুহীন। তিনি এককভাবে ক্ষমতাকে এমন ভাবে কুক্ষিগত করে রেখেছেন যে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সামসুল হক টুকুর অফিসে বসে চা সিঙ্গারা খাওয়া ছাড়া তেমন কোন কাজই নেই ।
মহাজোঠ সরকারের গত চার বছরে যেসকল শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা অনেকটা স্ব-উদ্যোগী হয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিনরাত কাজ করে যেতেন তারা সকলেই হাত গুঠিয়ে বসে আছেন কেবল মাত্র মন্ত্রীর বাড়াবাড়ির করণে। কর্মকর্তাদেরকে মূল্যায়নতো দুরের কথা। অধিকন্ত সিনিয়র কর্মকর্তাদেরকে জুনিয়ারদের সামনে ধমকা ধমকি একটি নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। ফলে মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন বাহিনীতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মন্ত্রী পর্য়ায়ের একজন লোক হয়ে সম্প্রতি তিনি যে একটি ব্যাংকের মালিক হয়েছেন তা নিয়েও সরকারের সর্ব মহল থেকে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হচ্ছেন। এই সমালোচনার উত্তর দেবার মতো যুক্তিগ্রাহ্য বক্তব্য প্রধান করা যাচ্ছে না কিংবা জনগণেকে বিশ্বাস করানো যাচ্ছে না।
মন্ত্রী হবার পর তিনি বিভিন্ন কারণে এবং কথায় কথায় রাগ হয়ে যাচ্ছেন এবং প্রায় সকলের সঙ্গে দুব্যবহার করছেন।দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা তার রুমে ঢুকতে পারে না। অন্যদিকে অচেনা অজানা লোকদের ভীড়ে তার সরকারী অফিসে ও বাসা পরিপূর্ণ থাকে। বিশেষ করে যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের অভিযোগ সীমাহীন। তাদের বক্তব্য, মন্ত্রী মহোদয়ের রুমে সবসময় অজানা ললনাদের ভীড় লেগেই থাকে। মন্ত্রী সেই সব ললনাদেরকে এতো আদর আপ্যায়ন ও খাতির করেন যে নিজেদেরকে খুবই ছোট মনে হয় এবং ক্ষেত্র বিশেষ অপমানিত বোধ করি ।
বিভিন্ন মহল থেকে হাজার হাজার অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও বিষয়টি গুরুতের সঙ্গে ভাবা হচ্ছে। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সূত্র ও কৃতজ্ঞতায়:http://www.dnewsbd.com/single.php?id=20304

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



