somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লেবাননে যা দেখলাম

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেবাননে যা দেখলাম
চৌধুরী হাফিজ আহমদ
উত্তরে সিরিয়া দক্ষিনে প্যালেস্টাইন - মেডেটিরিয়ান সাগরে থেকে ফাঁড়ি পথে এলে প্রথমে যে উপত্যকা এলাকা পরে তার ই নাম লেবানন । হাজার হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে তাহাদের , তাহাদের সংস্কৃতি আরব্যদের মতই । কথা ও তাহাদের আরবি - বহিরাগত ছাড়া সবার ভাষা ও আরাবি ।জাতিগত ভাবে তাহারা অনেক আগে থেকেই সমৃদ্ধ , প্রায় কঠূর মনোভাবের স্বকীয়তায় এক স্বাধীন চেতনা তাহাদের মধ্যে কাজ করে । গোত্র বা গুষ্টি তে ছড়ানো তাহাদের সত্ত্বা , ধর্ম এবং এই গুষ্টিতে বিভক্ত তাহারা , তাহাদের মধ্যে নানা রকম ঝামেলা হয়েছে , অনেক হাঙ্গামার পরে তাহারা অনেকের মধ্যস্ততায় এখন স্তিতিশীল কিছুটা , তাহাদের প্রেসিডেন্ট হবেন খৃস্টান প্রধান মন্ত্রি হবেন সুন্নি মুসলমান স্পিকার হবেন শিয়া সম্প্রদায় থেকে । সংসদীয় গনতন্ত্র সেখানে , লেবাননের উপরে অনেক অনেক বিপদ আসে আশে পাশে থেকে । এর প্রধান কারন হল প্যালেস্টাইন দখল করে রাখা জারজ ইসরায়েল । তাহারা এই ইসরায়েল কে বিপদ ই মনে করে , যত ঝুঠ ঝামেলা এই ইসরায়েল ই করে থাকে বলে তাহারা বলে । তাহাদের মধ্যে রয়েছে অনেক যুদ্ধের ইতিহাস লড়াই ও কম করেনি তাহারা । আরেক টু আগে গেলে দেখা যায় প্রায় সাত হাজার বছরের কাহিনী রয়েছে তাহাদের । আরব্য ইতিহাসে বর্ণিত যে এলাকা তাই সাহিহ বলে ধরে নেওয়া যায় । অনেক নবী রাছুল দের পদচারনায় ছিল এলাকা মুখরিত । বর্তমান লেবানন যেন আগের চাইতে এক ভিন্ন , এখন কার যে অবস্তা তা আগেকার সাথে মিলালে বলতে হবে তাহাদের স্বর্গে উত্তরন ঘঠেছে , এখনকার লেবাননের আয়তন ১০ বর্গ কিঃ মিঃ জল ভাগ ১,৬ জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখের থেকে কিছু বেশি । বহিরাগতরাই দেশের চালিকা শক্তি , কুর্দিদের উপস্তিতি রয়েছে প্রচুর , আছে তাহাদের প্রভাব ও , লেবাননে চলে ডলার , নতুবা লিরা । লেবানিজ পাঊণ্ড হল তাহাদের জাতিয় মুদ্রা । বেশী চলে ডলার । লেবাননে রয়েছে প্রাকৃতিক এক অপার সৌন্দর্য - আল্লাহ তায়ালা কি যে মেহেরবান মরুর পাশে করছেন অপূর্ব এক কীর্তি যা দেখে মন প্রান জুড়িয়ে যায় । তাই তো আরব্য ইতিহাসে লেবানন কে বলা হয় মধ্যপ্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড বা প্যারিস । প্যারিস কিংবা সুইজারল্যান্ড কে হার মানাবেই যে এলাকা তাই হচ্ছে মন জোড়ান লেবাবন । পৌরাণিক ইতিহাসে বাইরুত নামের এলাকাই এইটি - সেই ধারাবাহিকতায় লেবাননের রাজধানীর নাম হচ্ছে বৈরুত । আমার ভ্রমন করার শখ অনেক , অজানাকে জানার - নতুন নতুন জায়গা কে দেখা - তাহাদের সাথে মেলা মেশার শখ মনে থাকেই । আমার অর্থনৈতিক সিমাব্ধতা প্রচুর তবু কি শখ মানে !! সুজুগের সদ্ব্যবহার করেই শখ মেঠায় উড়াল চণ্ডী এই মন ।যাব এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অন্য এক দেশে - পথে পরে বৈরুত বাহন উড়োজাহাজ ও তাহাদের ই , যেতে বেলায় সময় কম তাই আসার বেলায় একটু যাত্রা বিরতি , ভাবলাম যেহেতু যাচ্ছি এই দেশের উপর দিয়ে তা হলে শুধু চেহারা দেখব কেন , ভিতরে প্রবেশে তো নেই সমস্যা । ভিসা নিলাম এয়ারপোর্টে এক মাসের তাও মাগনা । লেবাননের অন্যতম আয় হল পর্যটক থেকে , ভ্রমন পিপাসুরা দলে দলে আসে মেডেটেরিয়ান সাগরের তীরে , তা ঘেঁষা টিলায় চড়তে , যা মাউন্টেণ্ট লেবানন বলে পরিচিত । পর্যটকদের আনাগোনায় লেবানন থাকে ব্যস্ত । আমার যাত্রা বিরতিতে সঙ্গ দিল ভাই সুহেল বাড়ি তার বি, বাড়িয়া বাংলাদেশ । কাজ করে এয়ারপোর্টে পরিচর্যার , এক দম যুবক সাহসী বন্দু প্রিয় মিশুক । কিছু কথা বলেই তাহাকে বললাম কাজ করো ভাই দেখা হবে আমি আসি বলে বিদায় নিয়ে পাড়ি দেব গেইট দেখি সে দৌড়ে আসছে আমাকে সঙ্গ দিতে । জিগ্যেস করলাম অসুবিদা নাই তো সে বলল সুপারভাইজারকে বলে মাত্র ২ ঘণ্টার ছুটি নিয়েছে - কেন বলতেই বলল ভাই আমার উৎসাহ আছে ঘুরার নিজ দেশের কাউকে পেলে যেন সেই আগ্রহ আর উপছে উঠে । চলল তাহার ব্যাপারে আলাপ , কি কাজ কত বেতন , কেমন সুবিধা , কেমন অসুবিধা , কি চাই , কি করলে কি হবে । জিবনের আগামিতে করনীয় ,তাহার মনে জমানো সপ্ন সাধ ইত্যাদি । আমার মনে ব্যথা লাগে তাহাদের করুনতা দেখে - তাহাদের কষ্টের কথা শুনলে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায় । কিন্তু নিজেকে শক্ত রাখি হাসি দিয়ে বরন করি এর কারন হল আমার জিবনে ও এই রকম চরম পরিশ্রম আছে । নিজেকে ভালো জীবন মানে চালাতে আমি ও সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খেটেছি । মালিকের আসনের বসা দানব দের অনেক অ যৌক্তিক আবদার রক্ষা করতে হয়েছে । কাজ শিখতে গিয়ে চরম বিরক্তিকর কথা শুনতে হয়েছে । আল্লাহর মেহেরবানিতে আমি সেই পথ থেকে এখন মুক্ত - আমি এখন তাদের থেকে আরও উন্নতি করব আরও এগিয়ে যাব । আল্লাহ আমাকে আলোকিত করেছেন - আমি আরও আলোকিত হবার মানসে শিক্ষার দীপ জ্বালাতে বলতে পারছি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে । সুহেলে দের মত ভাইদের কাজে লাগাতে তাহাদের একটু সাহস অনুপ্রেরনা ই যতেস্ট । তাহাকে আমি অল্পতে ই রাজী করালাম পড়ার ফাকে ফাকে মক্তবে ( বিদ্যালয়ে) যেতে । তাও একদম পুরাপুরি আরবি শিখতে , এক এক করে সে যেন আরবি লিখতে ও পড়তে পারে । সময় এক বছর - তাহাকে আমি লোভ নয় কয়কটি যুক্তি দিয়ে বুঝাতে সক্ষম হলাম এবং সে মেনে আমাকে কথা দিল করবে বলে । নারী কিংবা পুরুষ যেই হোক না কেন সু শিক্ষা হল এমন এক অস্র যা হার মানায় পরাশক্তিকে । এই জন্য ই আল্লাহ বলেছেন '' আল ইলমু নুরুন '' এবং পড়তে বলেছেন তাও রাছুল দিয়ে নির্ভেজাল কিতাব দিয়ে । ঐশী বানীর প্রথম শব্দই হল '' ইক্করা'' পড় এবং তা তোমার প্রভুর নামে । যেথায় যেখানে যে দেশ ই হোক না কেন আমার মিশনে থাকে এই বাণী গোলা কাউকে না কাউকে পৌঁছান । আল্লাহ চাহেত সেই মিশন পুরা করাবেই । আমার বেলায় হল ও তাই - আমি সেই কারনেই অবনত চিত্তে শুকরিয়া আদায় করি '' আলহামদুলিল্লাহ '' । সুহেল ভাই আমাকে সঙ্গ দিল প্রায় অনেক পথ , দেখা যায় এমন কিছু যায়গা । ফাঁকে নিয়ে দেখাল তাহাদের থাকার যায়গা - উফফ দম বন্ধ করা অবস্তা খুবি নোংরা - এক কামরায় ১০ জন উপরে নিচে বেড ,রান্না ঘর এত অগোছালো অপরিষ্কার যা মানুষ দের বেলায় মানায়না , টয়লেট এর অবস্তা তো সকল সভ্যতা কে হার মানায় ।কোম্পানি দিয়েছে নাকি । আচ্ছা কোম্পানি দিল ভাল - কিন্তু থাকা খাওয়া তো নিজের হাতেই । নিজে সবাই মিলে পরিষ্কার রাখলে ক্ষতি কি ? অমানুষ দের আড্ডা যেন । কামরায় সুহেল ভাইয়ের বন্ধু আর ২ জন পেলাম - বললাম কি রে ভাই এই অবস্তাইয় কি মানুষ বাস করে ? মুহূর্ত দেরি না করে চট করে দৌড়ে বের হয়ে এলাম । লজ্জা পেয়ে ও সুহেল ভাই এল পিছনে । উনারা বললেন ভাই আমরা শুধু ঘুমাই এসে বাকি সব এয়ারপোর্টে ই করি , এমন কি গোসল ও করি সেখানে । আছতাগফিরুল্লাহ আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করেন । পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ । যেখানে থাকবে সেখানেই থাকতে হবে পবিত্র অবস্তা । বৈরুতের বাঙালিদের রুচির ব্যাপারে আমার এক বিরাট ধারনা হল যা খুবই কষ্টকর । সুহেল ভাই লজ্জা পেয়েছেন - কিন্তু বললেন আমি একা ভাই অনেকটা অপারগ ।উনি পথ খুজতেছেন ইউরুপ কিংবা আমেরিকা যাবেন । না গেলে নাকি তিনি মুক্তি পাবেন নাহ । আমি অল্পতে যা দেখলাম তাহাতে বাংলাদেশের বস্তির বা ভাসমান দের ও হার মানাবে । বস্তিতে কিংবা ভাসমান লোক রা ও অন্তত থাকার জায়গা গুছিয়ে রাখে দেখেছি ।লেবাননে অবস্তান রত বাংলাদেশীরা খুবি নোংরা পরিবেশে থাকেন যা আমাকে অবাক করেছে । অথচ নিজেরা এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে অনেক সব হোটেল পরিষ্কার করেন ,। তাহাদের কোন যুক্তি ই আমার কাছে গ্রহন যোগ্য নয় । বাকি রইল তাহাদের দুঃখ দুর্দশা , এর জন্য দায়ী অনেকটা নিজেরাই , আঞ্চলিকতা , ব্যাপারটা প্রকট । মেয়েদের বেলায় ও সমান কথা ই বলব , লেবাননে বাংলাদেশী মেয়েদের কন্ট্রোল করে বাংলাদেশীরাই । এত খারাপ পুরুষ মেয়ে দের দেহ ব্যবসায় দালালি পর্যন্ত করে বাড়তি কিছু টাকা কামাবার জন্য । প্রায় ডজন খানেক নারী পুরুষ দের সাথে আলাপ করে যা বুঝলাম তা হল সমস্যা নিজেদের মধ্যেই । সরকারের কিছু ভুমিকা আছে কিন্তু তা এত প্রকট নয় । লেবাননে মেয়েরা লিভ টুগেদার করে আবার দেহ ব্যবসা করে । এক মেয়েকে জিগ্যেস করলাম বিয়ে করে থাকতেই পারেন - তা না করে এই সব কেন বলেন তো ? জবাবে বলল আপনারা পুরুষ রা কি আমাদের ভালো থাকতে দেন ? বিয়ে করে ও অন্য মেয়েদের সাথে লাইন দেন - একটি ঘটনা বলে তিনি কান্না জুড়ে দিলেন । আমি অবাক হই আমাদের অনেকের চরিত্র দেখে , আরও অবাক হই মেয়েদের খোলা মেলা মিলামেশা দেখে । ইংল্যান্ডে ও দেখেছি নারী সাজে অন্যদের দেখাতে অথচ নিজের অঙ্গনে তিনি একদম বেকার । সেজে গুজে পার্টিতে গেলেই নিজেকে পন্য মনে করেন , পুরুষ ও এমন যে নিজের স্ত্রীকে খোলা পোশাকে সাজিয়ে সাথে থাকেন যাত্রা পার্টির মতো । লেবাননের বাঙ্গালীর অবস্তা দেখে আমি শঙ্কিত । আমি আরও শঙ্কিত বাংলাদেশের বেলায় কারন ওরাই যায় আসে দেশে বেশী । পরিবেশ কে ঘোলাটে করতে তাহাদের বেশী সময় লাগবেনা তাই সময় থাকতেই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত । বাংলাদেশীরা যেখানেই গেছেন যেখানেই কোন না কোন ক্যাচাল করেন । লেবাননেও তাই তবে সাবধান সময়ে সব অপকর্মের জবাব দেবে , লেবাননের ভাইদের বিনীত ভাবে বলব অনুগ্রহ করে নিজেদের দিকে খেয়াল করুন , শিক্ষা অর্জন করুন , টাকা কামাবেন তা বিলাতে পারবেন না কষ্ট হবে - যদি নিজে শিক্ষা অর্জন করেন তা হলে তা বিলাতে কষ্ট হবেনা অনায়াসে পারবেন তা বিলাতে এবং ভাল হয়ে চলতে কিংবা অপরকে ভাল হয়ে চালাতে ও পারবেন বেগ পেতে হবেনা । আঞ্চলিকতা পরিহার করে লেবানিজদের মত সমৃদ্ধ হতে চেষ্টা চালান , এতে অনেক উপকার আসবে । বাংলাদেশীদের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা একটু বেশী চালাতে হবে । প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ব্যবতাপনা , রেমিটেন্সের স্বার্থে ই লেবানন এর দিকে নজর দেয়া উচিত । সুহেল ভাইকে বললাম উনার সময় হয়ে গেছে চলে যেতে - তিনি ও ভারাক্রান্ত মনে গেলেন বুঝলাম তিনি আমার কথাবার্তায় খুশী হননি । সত্য তে কেউ অখুশি হলে আমার কিছু ই যায় আসেনা । সত্য সব সময় অপ্রিয় - আমি সত্য পথে চলি তাই বন্ধু কম , সত্য পথে চলায় বাহবা কম - সত্য মনোভাব পোষণ করায় সাথী কম । কিন্তু এতে আমি ব্যথিত নই - আমাকে আমার রব বলেছেন সত্য বলতে , সত্য মানতে , এবং আমি কামনা করি রবের কাছে আমার মাউত পর্যন্ত যেন তিনি আমাকে মেহেরবানি করে হিদায়াতের পথেই রাখেন । লেবানিজ খাবার বিশ্ব ব্যাপি প্রিয় ।ইউরুপে লেবানিজ খাবারের কদর অনেক বেশী , যেহেতু বৈরুতে আছি তাই এর স্বাদ নিতে পিছপা হলামনা । বেশ নাদুস নুদুস খাবার খেলাম আহা কি যে মজা - তাজা খাবারের জুড়ি মেলা ভার - আল্লাহর রাহমত কামনা করে খেলাম এবং বারাকাত ও পেলাম - রঙ চা সহ বিল দিল মাত্র ৪ ডলার । সুবহানাল্লাহ এত বারাকাত মুল্যে যা ইংলান্ডে কল্পনাই করতে পারিনা । এবারে আমার দৌড়াবার পালা , সময় হাতে কম , তাই ভাবলাম দেখি আরও কিছু , নতুন এই লেবাননের রূপকার হলেন মরহুম রাফিক বা আল দিন হারিরী , তিনি লেবানিজ সৌদি ধনী ব্যবসায়ী । তিনি ই একমাত্র ব্যক্তি এই পর্যন্ত যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন লম্বা সময় , কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী তিনি । তাহাকে ই লেবাননের উন্নয়নের রূপকার বলা হয় , তিনি একজন সুন্নি সৎ মুসলিম হিসাবে পরিচিত ছিলেন । তাহাকে এখন ও লেবাননের মানুষ স্মরণে রেখেছেন , এয়ারপোর্ট থেকে মিউজিয়াম সড়ক শপিং মল ইত্যাদিতে শুধুই হারিরী নাম । এই রাফিক হারিরী সাহেব কে হত্যা করা হয়েছে বোমা মেরে । চারিদিকে কানাঘুষা এখন ও নাকি হয় ইসরায়েল ই তাহাকে হত্যা করতে বোমা রেখেছিলো । এর কারন লেবানন শান্তি হলে ইসরায়েল নাকি অশান্তিতে পরবে , তিনি নাকি ছিলেন ইসরায়েল এর বিপক্ষে । ২০০৫ সালের ভালেইন্টাইন দিবসে এক বোমার আঘাতে এই বীর পুরুষ শহীদ হন । তাহার কর্ম কাঁথা আজো বলে যেন চিৎকার করে লেবাননের আকাশে বাতাসে । উনাকে আবার দুর্নীতিতে ও অভিযুক্ত হতে হয়েছিল বেশ কয়েকবার । সিরিয়ার সাথে কলহের সময় তাহার সম্পদ নাকি এমন এক পর্যায়ে গিয়েছিল যা ছিল আকাশ ছোঁয়া - তবে নিন্দুকেরা স্তায়ি হতে পারেনি । তিনি ই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন লেবানন কে , তাই তাহাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে মর্যাদা দেয়া হয়েছে । রফিক আল হারিরী যেন আজো জীবন্ত তার কর্ম কাণ্ডে ।লেবাননের জন মানুষদের বিচরন এখন বিশ্ব ব্যাপি । খ্রিষ্ট সুম্প্রদায়ের যাহারা তাহারা বেশ প্রভাব রাখে ইউরুপে । তাহাদের মহিলাদের খোলামেলা চলাফেরার কথা ও বেশ জোরে সোরে আলচনা হয়ে থাকে ওই সব বিলাসী সমাজে । এদের চলা ফেরায় নাকি খোদ ইসরায়েল অসন্তুষ্ট , কিন্তু তা তাহারা উপেক্ষা করেই চলছে ।কোন এক কালে তাহারা ও ছিল যাযাবর , ফিলিস্তিনের তীর্থ যাত্রীদের খিদমাত করেই চলত তাহাদের জীবন - কালের আবর্তে এখন তাহারা মধ্যপ্রাচ্যে এক বিশাল প্রভাবশালী দেশ । জনসংখ্যা অনুপাতে তাহাদের মাথাপিছু আয় ৬.১০ ডলার ।লেবাননের আকাশে এখন বইছে শান্তির পায়রা - এই শান্তি যেন বজায় থাকে সেই কামনা আমি করি - এর সাথে সাথে যেন হয় তাদের জীবন মানের উন্নয়ন , যেন দেয় শান্তি পায় শান্তি । লেবানন ঘুরে আমার মনে হয়েছে আমি যেন জয় করেছি এক বিশাল উপতক্যা । তাহাদের একতা এখন দুনিয়ার জন্য এক উদাহরণ । তাহাদের জাতীয় সঙ্গীতের কথা মালা বেশ মনে ধরেছে - কুল্লুনা লিল ওয়য়াতান ওয়য়া উলা লিল আলাম -মিলু আইন ইজ জামান - সাইফুনা ওয়াল ক্কালাম - অর্থাৎ আমরা সবাই দেশের জন্য , আমাদের জয় আমাদের ফ্লাগ ,আমাদের সার্থকতা বলবে যুগ যুগ আমাদের দেখেই । এক কথায় বলতে চায় তাহারা - আমরা সবাই দেশের জন্য । আবার ও যাত্রা পথে যাব হয়তো বলে আমার বিদায়ের ঘণ্টায় ইমিগ্রশনে বললাম সু দুরশিনী কে জবাবে - কুল্লুনা লিল ওয়য়াতান লিল অউলা লিল আলাম দাড়িয়ে স্যলুট দিয়ে বলল মারহাবা আখি আবার এসো । [email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৌলবাদ: ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রযুক্তি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১




মজার বিষয়—

আজকের মৌলবাদীরা রোকেয়া বেগমকে মুরতাদ ঘোষণা করে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, অথচ নিজেদের অস্তিত্ব টিকেই আছে যাদের ঘৃণা করে— সেই “কাফেরদের” বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে। ইতিহাস পড়লে এদের বুকফুলা হাওয়া বের... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩



শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট

লিখেছেন আরোগ্য, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬



ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×